শুভেচ্ছা সবাইকে।
আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএ’র সাবেক এজেন্ট জেরার্ল্ড ক্লার্ক। গোয়েন্দা অপারেশনে গিয়ে একটি হাত হারানোর পর থেকেই অবসরে জেরার্ল্ড। চ্যালেঞ্জিং জব থেকে হুট করেই অবসরে চলে যাওয়ায় ডিপ্রেশনে পড়ে যান সিআইএ’র সাবেক এই এজেন্ট। বিষন্নতা কাটাতে বেরিয়ে পড়লেন অ্যামাজন জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। অ্যাডভেঞ্চার খুঁজতে গিয়ে জঙ্গলে হারিয়ে যান তিনি। চার বছর পর যখন ফিরলেন, সবাই দেখলো অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। দুই হাত নিয়ে পরিপূর্ণ এক তরুণ হয়ে ফিরে এসেছেন জেরার্ল্ড ক্লার্ক। তার এই পরিবর্তন দেখে রীতিমতো সবাই তো অবাক। এই রহস্য ভেদ করতে বেরিয়ে পড়েন অভিযাত্রীদের একটি দল। সেই অভিযাত্রী দলের মাধ্যেমেই সামনে আসে আমাজনের গহীনে থাকা আদিবাসী এক জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য ক্ষমতার কথা। রোগহীন, অমর জীবনের রহস্যভেদ করা এই আদিবাসী জাতির কল্পকাহিনী লিখেছিলেন জেমস রোলিন্স, তার অ্যামাজানিয়া উপন্যাসে।
কিছুদিন আগে ‘কালা পানি’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ বেশ সাড়া ফেলে। আন্দামান নিকোবরের আশ্চর্য এক জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্মিত সিরিজটিতেও যে আদিবাসী গোষ্ঠীকে দেখানো হয়, তাদেরও কোন মহামারি কাবু করতে পারতো না।
এতোক্ষণ যে দুটি ঘটনা বললাম, দুটোই কল্পকাহিনী। কিন্তু বাস্তবতা কখনো কখনো কল্পনার থেকেও বেশি অবাক করা হয়ে উঠে।
আজব ক্ষমতাধর জনগোষ্ঠী নিয়ে বলতে গেলে, প্রথমেই আসে আন্দামান নিকোবারেরই আদিম জনগোষ্ঠী সেন্টিনেলিজের কথা। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ এই নর্থ সেন্টিনেল। ৬০ বর্গ কিলোমিটারের এই দ্বীপের দৈর্ঘ্যে ৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৭ কিলোমিটার। এখানকার আদিবাসীদের বলা হয় ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জাতি’। নিশ্চিত করে বলা না গেলেও, ধরে নেয়া হয়- এরাই পৃথিবীর সর্বশেষ জাতি যাদের সাথে বাইরের দুনিয়ার সাথে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগই হয়নি। বিভিন্ন গবেষকের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ৬০ হাজার বছর ধরে এই দ্বীপে আছে সেন্টিনেলিজরা। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে কখনো তারা বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগই করেনি। মানুষ বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা এটাকে ভালোভাবে নেয়নি। বেশ কয়েকবার তো তীর-ধনুক নিয়েই মানুষের ওপর হামলা করেছে তারা। এই অভিজ্ঞতা থেকেই বলা যায়, নিজেদের ছাড়া বাইরের কাউকেই সহ্য করতে পারতো না সেন্টিনেলিজরা।
নিজেদের আড়াল করে রাখার এই ব্যাপারটি দেখে আরও কৌতুহলী হয়ে উঠেন গবেষকরা। ২০১৮ সালে জন অ্যালেন চাউ নামের এক আমেরিকান মিশনারি নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আইনে সেখানে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলেও, চাউ যেহেতু খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারের মিশনে ছিলেন, তাই আইন ভেঙেই তিনি সেখানে গিয়ে ধর্ম প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন। বাবা-মায়ের জন্য রেখে যাওয়া এক চিঠিতে ধর্ম প্রচারের বিষয়টা জানিয়েছিলেনও তিনি।
অ্যালেন চাউ স্থানীয় এক জেলেকে ২৫ হাজার রুপি দিয়ে নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। কোস্ট গার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে ১৪ নভেম্বর রাতে তাদের যাত্রা শুরু হয়। রাতে যাওয়ার কারণটাও ইন্টারেস্টিং, যাতে কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি সেন্টিনেলিজদেরও চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখানে পৌঁছানো যায়। সাথে নিলেন একটা ‘গো প্রো ক্যামেরা’। খাবার হিসেবে নিয়েছিলেন কিছু শুঁটকি মাছ। জরুরি প্রয়োজন হিসেবে কাঁচি, কায়াকিং নৌকাও নিয়েছিলেন। আর সেন্টিনেল দ্বীপের অধিবাসীদের জন্য উপহার হিসেবে নিয়েছিলেন ফুটবল এবং বাইবেল।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ভোরবেলায় দ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে জেলেদের নৌকায় অপেক্ষা করতে বলে কায়াক নিয়ে রওনা দেন অ্যালেন চাউ। একা যাওয়ার কারণ ছিল স্থানীয় জেলেরা যেন বিপদে না পড়েন। সেন্টিনেল দ্বীপের কাছাকাছি যেতেই নারীকণ্ঠ শুনতে পান অ্যালেন চাউ। নামার পর দেখতে পান, তার দিকেই তীর-ধনুক তাঁক করে দাঁড়িয়ে আছেন দুই সেন্টিনেলিজ নারী। অ্যালেন কথা বলার চেষ্টা করেন। বাইবেল দেখিয়ে বলেন, “I am John, I love you and Jesus loves you.”
সেন্টিনেলিজ নারীরা তার কথা বুঝতে পারেন না। আক্রমণাত্মক মনোভাব কমছেও না – আঁচ করতে পেরে পিছু হটেন অ্যালেন, কায়াক নিয়ে এবার কিছুটা ঘুরে দ্বীপের উত্তর পাশের সৈকতে কায়াক ভেড়ান। নেমে হাঁটতে থাকেন ভেতরের দিকে, দেখা মেলে আরও কয়েকজন সেন্টিনেলিজের। এবারও কথা বলার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘তোমাদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে এসেছি উপহার হিসেবে, স্বয়ং জেসাস আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তোমাদের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দেয়ার।’ নিশ্চিতভাবেই ভাষা এখানে মূল বাধা ছিল, তা তো বুঝতেই পারছেন।
উপহারগুলো এক এক করে এগিয়ে দিতে থাকেন তাদের দিকে। অন্যদিকে সেন্টিনেলিজরা তীর-ধনুক তাঁক করে এগিয়ে আসছিল। তাদের মধ্যে কমবয়সি একজন অ্যালেনের বুক লক্ষ্য করে তীর ছুঁড়ে বসে। ভাগ্য ভালো, তীরের ফলা বাইবেলে লাগায় বেঁচে যায় সে। ভয়ে পালাতে গিয়ে জন দেখেন কায়াক উঁধাও, সেন্টিনেলিজরা কায়াক সরিয়ে ফেলেছে। সাঁতার কেটেই কোনোমতে জীবন নিয়ে পালান অ্যালেন, ফেরেন নৌকায়।
অ্যালেনের কাছে মনে হয়, এই দ্বীপ হয়তো শয়তানের দ্বীপ। এটাই হয়তো শেষ অঞ্চল যেখানে জেসাসের বাণী পৌঁছেনি। এ ভাবনাই তার ভয় কাটিয়ে দেয়, রাতে আরো শক্ত প্রতিজ্ঞা করে বসেন অ্যালেন, বাবা-মায়ের কাছে শেষ বিদায়ের চিঠি লেখেন। সকালে রওনা দেন দ্বীপের উদ্দেশ্যে। পরের গল্প আমরা জানি না।
১৬ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখের পর আর কখনো জন অ্যালেন চাউকে দেখা যায়নি।
সেন্টিনেলিজদের জনসমক্ষে তেমন করে দেখা যায়নি কখনোই, তারপরও আরো অনেকবার তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। সেন্টিনেল দ্বীপ রয়ে গেছে রহস্যের আঁধারেই।
তবে পৃথিবীজুড়ে রয়েছে এমন আজব অনেক জনগোষ্ঠীর বসবাস, যাদের সম্পর্কে আমাদের সভ্য সমাজ খুব কমই জানে। তাদের কেউ হয়তো মায়ান সভ্যতার মতো জ্ঞান-বিজ্ঞানে সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে, আবার কেউ হয়তো অ্যামিশ ভিলেজের মানুষদের মতো – ২০২৪ সালে এসেও যারা সচেতনভাবে এড়িয়ে চলছে প্রায় সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি। মায়ান সভ্যতা এবং অ্যামিশ ভিলেজ নিয়ে দুটো আলাদা কনটেন্ট আছে আমাদের চ্যানেলে, ডেসক্রিপশন বক্সে লিংক দেয়া থাকবে, দেখে আসতে পারেন। তবে তার আগে চলুন, পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আদ্যোপান্ত জেনে আসা যাক।
প্রায় সাড়ে সাতচল্লিশ কোটিরও বেশি আদিবাসী ছড়িয়ে আছে গোটা পৃথিবীজুড়ে। পাঁচ হাজারের মতো আদিবাসী গোষ্ঠীর খোঁজ আছে বিজ্ঞানীদের কাছে। ভাষা এবং সংস্কৃতির দিক থেকে তারা ভিন্ন। চার হাজারেরও বেশি ভাষার খোঁজ পাওয়া যায় ট্রাইবালদের মাঝে, কোনো কোনো বিজ্ঞানীর মতে অবশ্য মোট আদিবাসী ভাষার সংখ্যাটা সাড়ে ছয় হাজারেরও কিছু বেশি।
পৃথিবীর ৯০টি দেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠী আছে। শুধু ভারতেই সাতশ’র বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠী আছে, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশেও আছে বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী। আর তাদের জীবনধারণের বিচিত্রতাই এ অঞ্চলের সৌন্দর্যকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীদের বাস বেশি, তবে ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট ও অন্যান্য সমতল অঞ্চলেও কমবেশি বসবাস আছে আদিবাসীদের। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী চাকমা সম্প্রদায়— প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে মারমা, সাঁওতাল ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশে বসবাস করা মোট আদিবাসী ও নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি। সংখ্যা হিসেবে, প্রায় ১৭ লাখের কাছাকাছি আদিবাসী আছে বাংলাদেশে। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশই আদিবাসী। আর এই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর হাত ধরেই দেশে ভিন্ন সংস্কৃতি আর খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে।
নানান জাতিগোষ্ঠীর এই সাংস্কৃতিক ভিন্নতা আসলে একটা দেশকে অনেক বেশি রঙিন আর বৈচিত্র্যময় করে তোলে। একেকটা গোষ্ঠীর নিজস্ব রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার, এবং ঐতিহ্য মিলে গড়ে ওঠে একটা সমৃদ্ধ সংস্কৃতির মিশেল। আর যখন আমরা একে অপরের সংস্কৃতিকে সম্মান করি, ভালোবাসি, তখনই বৈচিত্র্য আরও বেশি সুন্দর আর অর্থবহ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর যেকোনো দেশের আদিবাসীরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে টিকে থাকুক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কারণ, এই সংস্কৃতিগুলো হারিয়ে গেলে শুধু তারা নয়, আমরা হারিয়ে ফেলবো অনেক অনেক কিছু।
ধন্যবাদ সবাইকে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Sentinel Island – Beyond Civilization
Greetings,everyone!
This is the story of Gerald Clark, a former CIA agent. After losing a hand during an intelligence operation, Gerald retired from his challenging job. The sudden transition to retirement led him into depression. To overcome his despair, Gerald set out for the Amazon jungle in search of adventure. However, he got lost in the jungle. Four years later, when he returned, everyone witnessed an unbelievable transformation—Gerald Clark had returned as a young man with both hands intact.
This astonishing change left everyone in awe. A team of adventurers set out to unravel the mystery, leading to the discovery of an indigenous Amazonian tribe with extraordinary powers. This tribe, immune to diseases and claiming the secret to immortality, became the subject of James Rollins’ fictional novel, Amazonia.
Similarly, a web series called Kala Paani created a stir recently. The series, set in the Andaman and Nicobar Islands, depicted an indigenous group immune to any pandemic.
The two events I just mentioned are fictional. But reality can sometimes be even more astonishing than fiction.
When discussing extraordinary indigenous groups, the first name that comes to mind is the Sentinelese, the ancient tribe of the Andaman and Nicobar Islands. North Sentinel Island, spanning 60 square kilometers, is home to these people. The island is about 8 kilometers long and 7 kilometers wide. The Sentinelese are often referred to as “the most isolated tribe on Earth.” Though not confirmed, it is believed they have lived on the island for around 60,000 years, without any contact with the outside world.
Attempts to make contact with them have often been met with hostility, with the Sentinelese using bows and arrows to fend off outsiders. Their rejection of any external presence has only fueled researchers’ curiosity.
In 2018, John Allen Chau, an American missionary, decided to visit North Sentinel Island. Despite legal restrictions, Chau, driven by his mission to spread Christianity, planned the journey. In a letter to his parents, he mentioned his intention to spread the gospel among the Sentinelese.
Chau paid a local fisherman 25,000 rupees to take him to North Sentinel Island. They began their journey on the night of November 14, evading both the Coast Guard and the Sentinelese. Carrying a GoPro camera, some dried fish, scissors, a kayak, and gifts like a football and a Bible, he set out.
On the morning of November 15, Chau instructed the fishermen to wait at a distance while he took his kayak closer to the island. Upon nearing the island, he heard women’s voices and saw two Sentinelese women aiming bows and arrows at him. Attempting to communicate, he showed them the Bible and said, “I am John. I love you, and Jesus loves you.”
Unsurprisingly, they didn’t understand his words and remained hostile. Realizing the danger, Chau retreated and attempted to explore another part of the island. There, he encountered more Sentinelese and tried again to communicate, saying, “I’ve brought you gifts and food; Jesus himself has instructed me to bring his message to you.”
The language barrier was clearly a significant issue. As he offered the gifts, the Sentinelese aimed their bows and arrows. One young member shot an arrow that struck the Bible Chau held, saving his life. Terrified, he fled back to the fishermen’s boat, only to find his kayak had been taken by the Sentinelese. He swam back to the boat and barely escaped.
Chau believed the island to be a “devil’s island,” perhaps the last place on Earth where Jesus’ message hadn’t reached. That thought emboldened him. He wrote a farewell letter to his parents that night and set out again the next morning.
What happened next remains a mystery. John Allen Chau was never seen again after November 16, 2018.
The Sentinelese remain shrouded in mystery. Although attempts to contact them have continued, the island and its people remain largely unknown.
Across the globe, there are many such mysterious indigenous groups. Some may be as advanced as the Mayans in knowledge and science, while others, like the Amish, consciously avoid modern technology even in 2024.
We’ve already made content on the Mayan civilization and the Amish community, and you’ll find the links in the description box. But for now, let’s explore the stories of some unique indigenous tribes from around the world.
Globally, over 475 million indigenous people belong to more than 5,000 tribes. They speak over 4,000 languages, and some scientists estimate the total number of tribal languages to be over 6,500. Indigenous communities are spread across 90 countries, with over 700 tribes in India alone.
In Bangladesh, indigenous groups are primarily concentrated in the hilly regions, but many also live in Mymensingh, Rajshahi, Sylhet, and other plains. The largest indigenous group in Bangladesh is the Chakma community, with a population of nearly 500,000. The Marma, Santal, and Tripura communities rank second, third, and fourth, respectively.
According to the Bureau of Statistics, Bangladesh has 50 recognized indigenous groups, totaling nearly 1.7 million people—around 1% of the country’s population. These communities significantly contribute to the country’s cultural diversity.
This cultural diversity enriches a nation, with each group bringing unique customs, traditions, and heritage. When we respect and celebrate one another’s cultures, the world becomes more beautiful and meaningful.
Let us all hope that indigenous communities worldwide can continue to preserve their unique identities and traditions. Losing them would mean losing an invaluable part of our collective human heritage.
Thank you, everyone. Stay healthy and take care.
“Your writing style is engaging and clear, love it!”
“This post has helped me solve my issue, thanks a ton!”