সূর্য মাথার উপর উঠার আগেই নিউইয়র্ক থেকে পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কেস্টার কাউন্টির উদ্দেশে রওনা হলাম। তিন ঘণ্টার জার্নি শেষ করে আমরা ঢুকেছি সেই কাঙ্ক্ষিত অ্যামিশ ভিলেজে। সুনসান রাস্তা, হর্নের কোনো শব্দ নেই, চারদিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ আর সবুজ। এসব দেখলে যে কারোরই মনটা ভালো হয়ে যাবে মুহুর্তে।
অ্যামিশ ভিলেজ। অ্যামিশ ভিলেজের কথা আমরা সবাই জানি। প্রযুক্তি ছাড়া যে সম্প্রদায়টি এখনো এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও টিকে আছে এবং তারা আধুনিক সকল ধরণের প্রযুক্তির বাইরে থেকে নিজেদের জীবনযাপন এবং প্রাত্যহিক জীবনের কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এটি আসলে এই সময়ে এসে একটি বিস্ময়। আগামী একদিন আমরা এখানে থাকবো এবং এই মানুষদের জীবনযাত্রা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
অ্যামিশ ভিলেজে এটা আমার তৃতীয় বার আসা। এবার এখানে একদিন থাকার জন্য অ্যামিশদের একটি বাড়ি ভাড়া করেছি।
আমরা অবশেষে পৌছে গেলাম অ্যামিশ ভিলেজের অ্যামিশদের বাড়ি।
যে অ্যামিশ পরিবারের সাথে আমরা থাকবো, তারা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। অবাক করে দিয়ে তারা আমাদের সাথে কথা বললেন, ক্যামেরার সামনেই।
এ যেন এক পরম পাওয়া, যাত্রাপথের সব ক্লান্তি ভুলেই গেলাম।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে তাদের সাথে কথা বলা এবং তাদের সম্পর্কে জানা। শুনতে চাই তাদের জীবণাচারণ অভ্যাস, রীতিনীতি সব, সবকিছু। যদিও আগের দুবারই কারো সাথে কথা বলতে পারিনি। তাই কোটি মানুষ যারা ভিডিও দেখেছেন, তাদের মত আমারও বেশ আফসোস রয়েই গেছে। কারণ অ্যামিশরা বাইরের কারো সাথে তেমন কথা বলে না, আর ছবি তোলার ব্যাপারেও তাদের নিজস্ব সংস্কার রয়েছে। আর সেকারণেই হয়তো গণমাধ্যম কিম্বা সোস্যাল মাধ্যম – কোথাও তাদের সরব উপস্থিতি আমাদের চোখে পড়েনি।
অ্যামিশদের বাসা। অ্যামিশ পরিবারে যারা থাকেন, আট-দশটা অন্য বাসার মতো একই ধরনের। তবে এদের কিছু ট্র্যাডিশন আছে। সেখানে ব্যবহৃত হয় এমন জিনিস, মনে হয় কখনো কখনো একশো-দুইশো বছর আগের যে ট্র্যাডিশনাল তৈজসপত্র থেকে শুরু করে ফার্নিচার, তারা সেরকমই ব্যবহার করে। খুবই ইন্টারেস্টিং। চলুন আমরা দেখে আসি,
বাড়ির মালিক সু বলছিলেন, তাদের বাড়িটি বেশ পুরনো। নিজেরা প্রযুক্তিবিহীন থাকলেও অতিথিদের জন্য হয়ত সব সুবিধার বন্দোবস্ত রেখেছে। অ্যামিশরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে না। ক্ষেত্র বিশেষে জেনারেটর রাখে অনেকে। কিন্তু এই বাসায় আমরা বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছি। হয়ত অতিথিদের সুবিধার জন্যই বিদ্যুতের এই ব্যবস্থা। ঠান্ডায় যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য রুম হিটার এমনকি গরম পানিরও ব্যবস্থা ছিল।
অ্যামিশদের বাসার অভ্যন্তরীণ চিত্র এটি, দেখুন, দেয়ালের যেসব কারুকাজ এবং এদের ব্যবহৃত যেসব জিনিসপত্র সেগুলো অনেক পুরোনো এবং পরিবেশবান্ধব। আমরা কজন পারছি তাদের মতো পরিবেশবান্ধবভাবে জীবনযাপন করতে? আমরা মুখে বলি জলবায়ু পরিবর্তন, বা টেকনোলজি থেকে দূরে থাকবো, কিন্তু আসলে কি আমরা পারছি?
আমরা রাতে খাবার জন্য নিউইয়র্ক থেকে রান্না করে বাংলাদেশী বিরিয়ানি নিয়ে এসেছিলাম আমরা। সু এবং তার ছেলে মেলভেন ফিশারকে দাওয়াত দিলাম রাতে খাওয়ার। আমাদের অবাক করে দিয়ে তারা স্পাইসি বিরিয়ানি এবং ডিম ভুনা খেলেন। বিরিয়ানি খেতে খেতে সু বলছিলেন তার শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং তাদের জীবনাচরণের কথা।
কথোপকথন-
যত শুনেছি ততই মুগ্ধ হয়েছি। ভেবেছিলাম স্পাইসি এমন বিরিয়ানি তারা খেতে পারবে না কিন্তু লক্ষ্য করলাম সু প্লেটের পুরোটায় শেষ করেছে।
কথোপকথন-
অ্যামিশ ভিলেজে একটা জিনিস দেখতে আমার খুব ভালো লাগে, তা হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। এটাকে তারা বাগি বলে ডাকে।
বাগি। অ্যামিশদের প্রধান যানবাহন। কোথাও দূরবর্তী স্থানে যেতে গেলে তারা বাগি ব্যবহার করে। মজার ব্যাপার হলো একটি বাগিতে একটি কারে যা কিছু আছে সব এখানে বিদ্যমান। হর্ন ছাড়া একটি যানবাহন কীভাবে সুন্দরভাবে যেতে পারে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই পুরোনো আমলের বাগি)
ঘোড়ার গাড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে। কিন্তু এখানকারটা একটু স্পেশাল। কারণ দানব আকৃতির একটা ঘোড়াই টেনে নিয়ে যায় চারজন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি বাগি। একেকটি ঘোড়া অন্তত ১৭ বছর বাগি টানতে পারে।
……………
সু-এর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এমন বাগি ভ্রমণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা? সু নিজেই আগ্রহ দেখিয়ে আমাদের বাগিতে চড়ানোর কথা বললেন।
I am gonna be the driver and He is gonna be with you.
আমি গাড়ি চালাব আর সে তোমার সাথে থাকবে।
যেই কথা সেই কাজ। সু-এর নিজের বাগি না থাকলেও আমাদের জন্য সে তার বাবার একটা বাগি নিয়ে এসেছে। এই বাগি চালাবে সে নিজেই। ১৪-১৫ বছর বয়সেই তিনি বাগি চালানো শিখেছেন।
অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা। আমরা অনেক শুনেছি অ্যামিশ ভিলেজের যে রাইড, বিশেষ করে এই বাগি হর্সের মাধ্যমে চালানো হয়, সেটির অভিজ্ঞতা এখন নিতে পারছি। ছোট্ট একটি গাড়ি, কোনো যন্ত্র ছাড়াই। হর্সটি দেখতেও যেমন সুন্দর, অনেক বড় এবং উনি নিজেই এটি ড্রাইভ করবেন। এটিকে উনারা বলেন ড্রাইভ, নট রাইড।
এখানে একটা ব্রেকও আছে।
হ্যাঁ, এখানে ব্রেক আছে।
তাহলে, এটি পুরোপুরি একটি গাড়ি।
হ্যাঁ।
গাড়িটির নাম কি?
এটা বাগি।
আচ্ছা, বাগি।
বাগিতে করে যাত্রা করছি আমরা মেইন রাস্তার দিকে।
বাগিতে করে সু তাদের গোটা এলাকা ঘুরে দেখালেন। অ্যামিশদের কৃষিখামার, বাড়িঘর, ব্যবহৃত জিনিসপত্র সবকিছু। আমার মাথায় যত প্রশ্ন ছিল, সবই করেছি। তিনি উত্তরও দিয়ে গেছেন অবলীলায়। এতদিন অ্যামিশদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি প্রবন্ধ, গবেষণা এবং লেখা পড়ে। এখন একজন অ্যামিশের কাছ থেকে সেগুলো সরাসরি শুনছিলাম আর মিলিয়ে নিচ্ছিলাম।
……………….
এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অ্যামিশ ভিলেজে বাগিতে চড়ে আমরা রাস্তায় চলছি, দারুণ।
এখন সে দ্রুত চলছে, কারণ সে জানে কোথায় যেতে হবে।
আচ্ছা।
ঘোড়ারা তাদের পথ চিনতে পারে।
ঠিক আছে। তাহলে তার গতি বেড়েছে।
হ্যাঁ।
অ্যামিশ ভিলেজে এসে সকাল সকাল এই বাগিতে চড়ার অভিজ্ঞতা এবং ছোট্ট একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার জীবনেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আপনারাও চাইলে এই বাগিতে ভ্রমণ করতে পারেন এবং অ্যামিশ জীবনযাত্রা দেখে নিজেদেরকেও সে ধরনের পরিবেশসম্মত লাইফস্টাইল এগিয়ে নিতে পারেন।
অ্যামিশ সম্প্রদায়ের মানুষ আসলে নিজেদের কমিউনিটির সাথেই মিলেমিশে থাকে। আমাদের মতো দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো তাদের খুব একটা পছন্দ না। অনেকে তো আছেন এই পেনসিলভেনিয়া থেকে বেরই হননি কখনো। তবে অনেক অ্যামিশ অবকাশ যাপনের জন্য ফ্লোরিডার পাইনক্রাফটে বেড়াতে যান। এই জায়গাটাকে আমেরিকানরা অ্যামিশ লাসভেগাস নামেও ডাকে। সেখানে গাড়ি কিংবা বাসে নয়, ট্রেনে চড়ে যান সবাই। তবে সু-এর মতো মানসিকতার অ্যামিশরা মাঝেমধ্যে অন্য স্টেটেও যান। যেমন সু নিউইয়র্ক গেছেন, যদিও তা অনেক বছর আগে।
আমরা এখানে পৌঁছেই অসংখ্য অ্যামিশ পিপলের দেখা পেলাম, তাদের সাথে কথা বললাম, এবং তারা কীভাবে তাদের প্রাত্যহিক জীবন এগিয়ে নিচ্ছে, সেটি আমরা চলুন তাদের কাছ থেকে শুনি, জানি এবং দেখে আসি।
পিচঢালা রাজপথ, কিন্তু শান্ত-সুনসান সেটি বলা যাবে না। কারণ, এই রাজপথে দ্রুতগতিতে গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এর মাঝেও কিছু সময় পরপর বাগির দেখা পাচ্ছি। এখানে অ্যামিশ পিপল তাদের নিত্যদিনের কাজকর্মের জন্য বেরিয়ে পড়েছেন।)
আসলে অ্যামিশদের জীবনযাপন মার্কিনিদের যান্ত্রিক জীবনযাপন থেকে অনেক বেশি সাদাসিধে। এআই প্রযুক্তির যুগে এ ধরনের মানুষ খুঁজে পাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ।
আজকের সকালটা সুন্দর।
আসলেই।
আমার জন্যেও এটি এক বিরল অভিজ্ঞতা।
তাদের মধ্যে নেই কোনো লোভ-লালসা। ক্ষেত-খামারের কাজ নিয়েই যত ব্যস্ততা অ্যামিশদের। তবে, শীতকালে চাষাবাদ বন্ধ থাকায় এ সময়টায় তাদের তেমন কোনো কাজ থাকে না।
আমাদের জমিগুলো সব পেছনের দিকে।
পেছনের দিকে?
হ্যাঁ
যুদ্ধবিগ্রহ, খাদ্যাভাব এবং ধর্মীয় কারণে ১৭’শ শতকে ইউরোপ থেকে আমেরিকায় চলে আসে অ্যামিশরা। তারা কয়েকটি স্টেটে বসবাস করলেও পেনসিলভেনিয়াতে তাদের বড় বসতি। আলাদা লাইফস্টাইলের জন্য অনেক সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই তারা আগ্রহের কেন্দ্রে।
আমরা এখন ঘুরে দেখবো অ্যামিশ পরিবারের পরিচালিত একটি দোকান। চলুন, দেখা যাক দোকানের ভেতরে কী আছে, কারা কাস্টমার এবং কী বেচাকেনা করছে তারা।)
এখানে বেশিরভাগ দোকান অ্যামিশ মালিকানাধীন। অনেকে নিজের দোকান পরিচালনা করেন, আবার অনেকে বাইরের লোকদের কাছেও দোকান ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এসব দোকানে মূলত অ্যামিশদের নিজস্ব খাবার-দাবার যেমন ব্রেড, জ্যাম আর হাতে বানানো কেক পাওয়া যায়! তাদের সব খাবারই ঘরোয়া আর স্বাস্থ্যকর। অ্যামিশদের খাবারের একটা বৈশিষ্ট্য হলো তারা প্রাকৃতির স্বাদ বজায় রেখে খাবার তৈরি করে।
দুপুরে আপনারা কী খেতে পছন্দ করেন?
সাধারণত আমরা স্যুপজাতীয় খাবার অথবা হালকা কিছু খাই, স্যুপ অথবা স্যান্ডউইচ।
কোন ধরনের স্যান্ডউইচ, মাংস নাকি ডিমের?
মাংস, চিজ আর লেটুস দিয়ে খাই।
আর সকালের নাস্তায়?
সকালের জন্য আমরা… মূলত মেলভেন আর আমি সিরিয়াল খাই। কিন্তু অ্যামিশদের অনেকেই সকালে ডিম খায়।
শুধু ডিম?
না, তারা টোস্ট আর বেকনও খায়।
একসাথে কতগুলো ডিম খায়?
সাধারণত দুটি।
রাতে কী খাও?
আমরা মাংস, সবজি আর আলু খাই।
তাই!
রাতে?
তোমরা রাতে কখন খাও?
যেকোনো সময় বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে।
সাড়ে ৪টা থেকে ৬টা?
হ্যাঁ।
এবং দুপুরের খাবার দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে?
হ্যাঁ।
আর সকালের নাস্তা? সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে?
না, মেলভেনকে সকালে সাড়ে ৭টায় স্কুলে যেতে হয়, তাই আমরা সকাল ৭টায় নাস্তা করি।
৭টায়?
হ্যাঁ
তোমরা কি এর মাঝের সময়ে স্ন্যাকস খাও?
হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে। যেমন ফল, আঙুর আর আপেল।
কফি আর চা খাও না?
ওহ, হ্যাঁ। আমি কফি খুব পছন্দ করি। সারাদিন ধরে খেতে পারব।
তাহলে মেলভিন, তুমি কফি পছন্দ করো?
না।
সে ক্যাপুচিনো আর হট চকলেট পছন্দ করে।
এছাড়া তারা নিজেরাই হস্তশিল্প তৈরি করে। চমৎকার সব কাঠের কাজ, বেতের ঝুড়ি, আর ল্যাম্প পাওয়া যায়। যারা বাইরে থেকে ঘুরতে আসেন এখানে, তারা ব্যাগ ভর্তি করে হস্তশিল্পের নানান জিনিস কিনে নিয়ে যান। আমিও কিছু স্যুভেনির কিনলাম।
এটা আপনার
ধন্যবাদ
অ্যামিশদের জামা-কাপড়ের প্যাটার্ন অনেকটা কাছাকাছি। শুধু পুরুষরা টুপি আর মেয়েরা মাথায় সাদা স্কার্ফ পরে। কালো, সাদা, বাদামি ও অ্যাশ কালারের কাপড় তাদের পছন্দ। অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, তারা জামায় বোতাম ব্যবহার করে না। আসলে তারা বিশ্বাস করে, এত ফ্যাশনে না গিয়ে সাদামাটা জীবনই সুখী জীবন।
ছোট্ট মেলভেনকে তার মা পুরো বাড়িটি আমাদের ঘুরিয়ে দেখার দায়িত্ব দিলেন।
তোমার নাম কী?
মেলভেন
মেলভেন…আচ্ছা…মেলভেন
আমরা এখন মেলভেনের সাথে করে তাদের অ্যামিশ ভিলেজের যে বাড়িটি এবং এর আশেপাশের এলাকাটি ঘুরে দেখব। মেলভেনকে সাথে নিয়ে আমরা যাচ্ছি, পুরো অ্যামিশ ভিলেজ ঘুরে দেখব।
মেলভেন এখন আমাদের ট্যুর গাইড।
শুভ সকাল
শুভ সকাল
মেলভেন, এখানে কারা কাজ করেন?
এখানে কারা কাজ করেন
তিনজন রয়েছেন।
তারা এখনো কাজে আসেননি?
তুমি কি জানো এটা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়?
তুমি জানো না?
না, আমার মা এগুলো বানায়।
তাহলে তোমার মা এই দুটি যন্ত্র ব্যবহার করেন?
হ্যাঁ। তিনি এটা আর এই অংশটা ওই মেশিন দিয়ে বানান। আর এই গোলাকার অংশটা ওই মেশিন দিয়ে।
আচ্ছা, এখানে দুটি অংশ আছে। প্রথম অংশটা এই মেশিনে তৈরি।
এটা প্রথম অংশ। এটা দ্বিতীয় আর তৃতীয়। তারপর আমরা এটা এখানে দেই।
ঠিক আছে।
সুন্দর
সেখানে সু নিজেই এবং অন্য মিস্ত্রিরা কাজ করে। সকাল হওয়াতে তখনও কাজ শুরু হয়নি সেখানে।
এটা কে বানিয়েছে?
আমার মা
তোমরা ফসলের চাষ করো না?
না।
এরপর বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখালো মেলভেন।
What is it?
এটা কী?
You enjoy the swing?
তুমি দোলনা পছন্দ করো?
Yeah.
হ্যাঁ।
Is it okay?
ঠিক আছে?
রাস্তার পাশে এই দোলনাটি তার খুব পছন্দ।
Can we sit? May I?
আমি কি বসতে পারি?
হ্যাঁ।
আচ্ছা এসো।
সে এখানে অনেক সময় কাটায়।
Sit, Okay.
বসো, ঠিক আছে।
So Melven, do you like Amish life? You like?
তারপর মেলভিন, তুমি কি অ্যামিশ জীবন পছন্দ করো?
হ্যাঁ।
তোমার স্কুল কোথায়? কাছেই?
হ্যাঁ, ওই মাঠটার ওপারে।
ঠিক মাঠটার ওপারেই?
হ্যাঁ।
বাসা থেকে মেলভেনের স্কুল খুবই কাছে। তার স্কুলে যাওয়ার বাহনটিও দেখলাম। অ্যামিশ স্কুলগুলোতে আধুনিক কোনো সুবিধা নেই। অ্যামিশরা সর্বোচ্চ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে- এর বেশি পড়াশোনা করতে চাইলে কমিউনিটি ছেড়ে সাধারণ আমেরিকান হয়ে যেতে হবে। মেলভেনের বয়স ১২ বছর। পড়ে ক্লাস সিক্সে। এই বয়সে আমাদের দেশের বাচ্চারা সারাক্ষণ টিভিতে কিংবা মোবাইলে ইউটিউব দেখেই দিন কাটিয়ে দেয়। আর এখানে ইউটিউব নামে যে কোনো স্যোসাল মিডিয়া আছে তাই নাকি শিশুটি জানে না। কী অদ্ভুত!
আমাদের ট্যুর গাইড হিসেবে কি তোমার কাজ শেষ? আরো কিছু দেখানোর বাকি আছে?
বাই মেলভেন, তোমার দিনটি ভালো যাক।
অ্যামিশরা প্রযুক্তি কেন এড়িয়ে চলে, জানেন? তাদের মতে, প্রযুক্তি মানুষকে একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং অহংকার বাড়ায়। এজন্য তারা মোবাইল ফোন, টিভি, ইন্টারনেট এমনকি বিদ্যুৎও ব্যবহার করে না। তবে, কিছু সম্প্রদায় সীমিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেমন- সৌর বিদ্যুৎ বা ব্যাটারি। তবে সেটিও খুব নিয়ন্ত্রিত।
অ্যামিশরা খুব ধর্মপ্রাণ। তাদের প্রতিদিনের জীবনধারায় ধর্মের অনেক প্রভাব আছে। এই যে দেখুন, তাদের গির্জা। তারা বাইবেলের নিয়ম মেনে চলে। তারা মনে করে, অহংকার এড়িয়ে সাদাসিধে জীবনধারাই ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার পথ।
অ্যামিশরা বাইরের মানুষের সাথে কথা কম বললেও নিজেরা খুবই ঘনিষ্ঠ। কেউ সমস্যায় পড়লে, পুরো সম্প্রদায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। তাদের বিয়ের আগে প্রেম করার কোনো নিয়ম নেই। আর বিয়ে হয় শুধু অ্যামিশ সম্প্রদায়ের মধ্যেই।
একটু বয়স হলে, ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে যেসব শিশুরা বা তরুণরা বড় হয়ে সাধারণ জীবনযাপন অন্য মানুষ যেভাবে করছে সেটা দেখে আসেন। দেখে আবার ফিরে এসে তাদের যে জীবনযাত্রা সেভাবেই তারা জীবনধারণ করছেন। এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত এবং অনন্য উদাহরণ।
আমার মতো আপনারাও যদি কখনো অ্যামিশ গ্রামে আসেন, তাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে ভুলবেন না। অনুমতি ছাড়া তাদের ছবি তুলবেন না। তবে, তাদের ঘোড়ার গাড়ি, হাতে তৈরি জ্যাম, ব্রেড, আর পনির এগুলোর স্বাদ অবশ্যই নিবেন।
সু, এই যে তোমার চাবি। আর আমরা চলে যাচ্ছি।
আমরা এখানে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি।
ধন্যবাদ আসার জন্য।
আসলে অ্যামিশরা এত বেশি সহজ-সরল আর অতিথিপরায়ণ, এখানে না আসলে এ বিষয়ে কোনা ধারণাই হতো না।
মেলভিন, তোমাকেও শুভকামনা।
আবার আসবে।
ভালো।
আর যদি আমরা আসি, তাহলে অন্তত ২ দিন থাকার পরিকল্পনা করব।
আচ্ছা, ভালোই।
অনেক ধন্যবাদ। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ।
এই অ্যামিশ পরিবারে গত একদিনের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে অনন্য। আমরা অনেকেই পরিবেশের দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এই অ্যামিশরাই পরিবেশের সবকিছু রক্ষা করে চলেছে। যারা অ্যামিশদের মতো জীবনযাপন করতে চান, তারা অনেক কিছুই নিজেদের লাইফস্টাইল থেকে পরিবর্তন করে বিশ্বকে ভালো রাখতে, পরিবেশকে ভালো রাখতে এগিয়ে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
Amish eat Bengali biryani
One day in the Amish Village
Before the sun rose overhead, we left New York for Lancaster County, Pennsylvania. After a three-hour journey, we entered the desired Amish Village. Deserted streets, no sound of horns, clean and green everywhere. Seeing all this will make anyone feel good instantly.
Amish Village. We all know about the Amish Village. The community that is still alive in the 21st century without technology and they continue to carry out their daily life and activities outside of all modern technologies. This is actually a surprise at this time. We will stay here one day and present the lifestyle of these people to you.
This is my third time in the Amish Village. This time I rented an Amish house to stay here for a day.
We finally reached the Amish house in the Amish Village.
The Amish family we will be staying with is waiting for us. They surprisingly spoke to us, right in front of the camera.
What’s your Name?
My Name is Sue.
Oh, Shu. It is really cozy, right? Very Nice. How long have you been staying here? Were you born and raised here in this house?
I have been here all my life.
This is like an absolute find, I forgot all the fatigue of the journey.
I have wanted to talk to them for a long time and learn about them. I want to hear about their lifestyle, habits, customs, everything. Although I couldn’t talk to anyone the previous two times. So, like the millions of people who have seen the video, I am also very sorry. Because the Amish don’t talk to anyone outside, and they have their own rules about taking pictures. And maybe that’s why we haven’t seen their strong presence anywhere in the media or social media.
Okay. So you are over 50 years old?
Yeah.
You look very young.
Thank you.
But I’m over 50.
Are you from an Amish family?
Yeah.
How many children do you have?
I have one son.
Is he staying with you?
Yes. he is 11 years old. I think he might be out in the field right now.
Oh. So do you have a horse or a cow?
No, we don’t have a horse. I just use my dad’s course across the road.
Okay
So yes, I don’t have one.
Do you have any vegetable or corn farms?
No.
So, what do you do?
Well, for summertime, I have a big garden for vegetables like corn, beans and tomatoes.
Okay. So in winter you don’t have anything.
No. In winter we kind of have slow and it gives us a break.
Oh okay that’s good.
Yes
It is nice to meet you.
Home of the Amish. The Amish families who live in the house are eight to ten people, the same as in other houses. But they have some traditions. The things they use there, it seems that sometimes they use traditional utensils from a hundred or two hundred years ago, starting from furniture. Very interesting. Let’s see,
The owner of the house, Su, was saying that their house is quite old. Even though they are without technology, they have made arrangements for all the facilities for their guests. The Amish do not use electricity. In particular, many keep generators. But in this house, we have electricity. Maybe this electricity system is for the convenience of the guests. So that there is no problem in the cold, there was a room heater and even hot water.
This is the interior of the Amish house, look, the wall decorations and the things they use are very old and environmentally friendly. How many of us can live as environmentally friendly as them? We say that we will stay away from climate change or technology, but are we really able to?
We had cooked Bangladeshi biryani from New York for dinner. We invited Sue and her son Melvin Fisher for dinner. To our surprise, they ate spicy biryani and fried eggs. While eating biryani, Sue was talking about her childhood, upbringing and their lifestyle.
The more I heard, the more impressed I became. I thought they would not be able to eat such spicy biryani but I noticed that Sue finished the entire plate.
One thing I really like to see in the Amish Village is the horse-drawn carriage. They call it a buggy.
Buggy. The main vehicle of the Amish. When they go to some distant place, they use a buggy. The interesting thing is that everything that is in a car is available here in a buggy. This old-fashioned buggy is a great example of how a vehicle can go beautifully without a horn.
Horse-drawn carriages are found in different countries of the world. But the one here is a little special. Because a giant horse can pull a buggy with a capacity of four people. Each horse can pull a buggy for at least 17 years.
……………
I asked Sue if such a buggy trip could be arranged? Sue herself showed interest and said she would take us on a buggy ride.
I am gonna be the driver and He is gonna be with you.
That’s what she said. Even though Sue doesn’t have her own buggy, she brought one of her father’s buggy for us. She will drive this buggy herself. She learned to drive a buggy when she was 14-15.
An amazing experience. We have heard a lot about the rides in the Amish Village, especially the buggy rides that are driven by horses, and now we can experience it. A small car, without any equipment. The horse is beautiful to look at, but it is also very big and she will drive it herself. They call it a drive, not a ride.
There is a break also.
There is a break here
So it’s a complete car.
Yeah.
What’s the name of this car?
It’s a buggy.
Buggy, Yeah
Well, buggy.
We are traveling in the buggy towards the main road.
Sue showed them around the area in the buggy. The Amish farms, houses, used goods, everything. I asked all the questions I had in my head. She answered them without hesitation. So far, I have obtained various information about the Amish by reading articles, research and writings. Now I was listening to them directly from an Amish and comparing them.
……………….
This is an extraordinary experience. We are riding on the road in the Amish village in the buggy, it’s great.
Now he is going faster because he knows where he is.
Oh
Well.
Horses know their way.
Okay. So he sped up his running.
Yeah.
The experience of riding this buggy in the morning and taking a short trip to the Amish Village will be memorable in my life. If you want, you can travel in this buggy and see the Amish lifestyle and adopt that kind of environmentally friendly lifestyle yourself.
The Amish people actually live in harmony with their community. They don’t like traveling around the country or abroad like we do. Many of them have never left Pennsylvania. However, many Amish go to Pinecroft, Florida for vacation. This place is also called Amish Las Vegas by Americans. Everyone rides the train there, not cars or buses. However, Amish people with a mentality like Sue sometimes go to other states. For example, Sue went to New York, although it was many years ago.
We met numerous Amish people as soon as we arrived here, talked to them, and let’s hear, know, and see how they go about their daily lives.
The asphalt road, but it cannot be said to be quiet and deserted. Because, cars are moving rapidly on this road. However, we see buggies every now and then. Here, Amish people have come out for their daily activities.)
Actually, the life of the Amish is much simpler than the mechanical life of Americans. Finding such people in the age of AI technology is a challenge.
It’s a nice morning today.
Today’s morning is beautiful.
Yeah, it is.
Really.
And it’s a rare experience for me.
For me too, this is a rare experience.
They have no greed. The Amish are busy with their farm work. However, since farming is closed in winter, they don’t have much work at this time.
Our land is all in the back here.
Back side.
The Amish migrated from Europe to America in the 17th century due to wars, food shortages, and religious reasons. Although they live in several states, their largest settlement is in Pennsylvania. They are the center of interest to many communities for their unique lifestyle.
Now we will visit a store run by an Amish family. Let’s see what’s inside the store, who the customers are, and what they sell.)
Most of the stores here are Amish-owned. Many run their own stores, while others rent out their stores to outsiders. These stores mainly sell Amish-made foods such as bread, jam, and handmade cakes! All their food is homemade and healthy. One of the characteristics of Amish food is that they prepare food while maintaining the taste of nature.
What do you choose for your lunch?
Usually, we have like soup or just light something, soup or sandwich.
sandwich like meat or egg sandwich, What kind of?
What kind of sandwich, meat or egg?
Meat, cheese, and lettuce.
And for breakfast?
For breakfast, we have, well melvin and I eat cereals. But a lot of Amish people have eggs for Breakfast.
Only eggs?
No, they also have toast and bacon.
How many eggs at a time?
Usually two.
And for dinner?
We have meat, vegetables, and potatoes.
Yeah!
So!
In the dinner?
At night?
When is your dinner time?
Anywhere between 4:30 pm to 6:00 pm.
4:30 pm to 6:00 pm?
Yeah.
And lunch from 12:00 pm to 1:00 pm?
Yeah.
And breakfast? 8:00 am to 9:00 am?
No, because Melvin has to go to school at 7:30 so we eat breakfast at 7:00 am.
7 am?
Yeah
Yes
In this period Do you take any snacks in between?
Do you take any snacks in between?
Yeah sometimes. Like fruits, grapes and apples.
And what about coffee and tea?
Oh Yeah. I love coffee. So I could drink coffee all day long.
melvin? Do you like coffee?
No.
He likes cappuccino or hot chocolate.
They also make their own handicrafts. There are beautiful woodwork, wicker baskets, and lamps. Those who come here from outside, fill their bags and buy various handicrafts. I also bought some souvenirs.
That’s Yours
Thank You
The Amish clothing pattern is very similar. Only men wear hats and women wear white scarves on their heads. They like black, white, brown, and ash-colored clothes. Surprisingly, they do not use buttons on their clothes. In fact, they believe that a simple life is a happy life without going to so much fashion.
Little Melvin’s mother gave us the responsibility of showing us around the whole house.
What’s your name?
Melven
Melven… Ok I just…Melven
We will now take Melven to tour their Amish Village house and the surrounding area. We will take Melven with us, and tour the entire Amish Village.
Melven is now our tour guide.
Melven is now our tour guide.
Good morning
Morning
Melven, who works here?
Yeah?
Who works here?
Three People.
There are three people.
They didn’t come yet?
Do you know how to use this?
No? You don’t know?
No, my mom makes them.
Does your mom operate these two machines?
Yeah. She makes this part and this part with that one. And this round part with that one.
Oh ok. There are two parts. First part is made by this.
This is the first part then this is the second and the third. And then we put this on it.
Okay.
Nice
Su and the other mechanics work there. It’s morning so work hasn’t started yet.
Who made this?
My mom
……
You don’t grow crops?
No.
Then Melven showed me around the house.
What is it?
Do you enjoy the swing?
Yeah.
Is it Okay?
He really likes this swing by the side of the road.
Can we sit? May I?
Yeah.
Okay. Come.
He spends a lot of time here.
Sit, Okay.
So Melven, do you like Amish life? You like?
Yeah.
Where is your school? Is it nearby?
Yes, It is there.
Just over the field?
Yeah.
Melven’s school is very close to his house. I also saw his vehicle to go to school. Amish schools do not have any modern facilities. The Amish can study up to the eighth grade at most. The funny thing is – if you want to study beyond that, you have to leave the community and become an ordinary American. Melven is 12 years old. He is in grade six. At this age, children in our country spend their days watching YouTube on TV or mobile phones all the time. And there is a social media called YouTube here, so the child does not know. How strange!
Are you finished as our tour guide? Do you have any other things to show us?
Are you done as our tour guide? Is there anything else to show?
Melven, bye. Have a good day.
Do you know why the Amish avoid technology? According to them, technology distances people from each other and increases pride. That is why they do not use mobile phones, TVs, the Internet and even electricity. However, some communities use limited technology, such as solar power or batteries. But that too is very controlled.
The Amish are very religious. Religion has a lot of influence on their daily lives. Look at their church. They follow the rules of the Bible. They believe that a simple lifestyle, avoiding pride, is the way to God.
Although the Amish rarely talk to outsiders, they are very close to each other. If someone is in trouble, the whole community comes to their aid. They have no rules about love before marriage. And marriage only takes place within the Amish community.
When you are a little older, children or young people between the ages of 15 and 20 who grow up and see how other people live their lives come back and live the same way they do. This is a unique example and a unique example.
If you ever come to an Amish village like me, don’t forget to respect their culture. Don’t take pictures of them without permission. However, you must taste their horse-drawn carriages, handmade jams, breads, and cheeses.
Hi Shu, Here is your key. And we are leaving.
Thank You.
We had an amazing time here.
Thanks for coming.
In fact, the Amish are so simple and hospitable, you wouldn’t have had any idea about it if you hadn’t been here.
Melvin, Good luck to you.
Please, come back again.
I will come again.
Of course, I will. In April with my Family, I will come back again. I have your number. I will call you and book the website also. I’ll come back with my family. I am planning this.
I will definitely come. I will come back with my family next April. I have your phone number. I will call you and book the website also. I’ll come back with my family. I am planning this.
Good.
And if we visit with them we will stay 2 days at least. It will be fun.
Okay, Good.
Thanks a lot. Thanks for everything.
So Melvin, good luck to you. You grow up. Thank you.
And all the best to you.
—
The experience of the past day in this Amish family is undoubtedly unique. Many of us talk about environmental pollution, climate change, and various issues. But in reality, these Amish are the ones who are protecting the environment. Those who want to live like the Amish can change many things in their lifestyle to keep the world better, to keep the environment better.
Thank you all. Stay healthy, stay well.