দেশে শয়তানের নিশ্বাস-The Devil’s Breath in Our Country

শুভেচ্ছা সবাইকে।

চট্টগ্রামের ফাতেমা বেগম। বাজার করে বাসায় ফেরার পথে তার কাছে সাহায্য চাইতে আসেন দুইজন ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখ ঘোরাতেই ছিটিয়ে দেয়া হলো পাউডারের মতো কিছু একটা। সঙ্গে সঙ্গে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ফাতেমা। অজান্তেই গয়না, নগদ টাকা, ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র তুলে দেন অপরাধীদের হাতে। পুরো বিষয়টি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। পথচারীরাও ঘটনাটি আঁচ করতে পারেননি।

অপরাধীরা কী এমন উপাদান ব্যবহার করছে, যা দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে? এটা কি কোনো তন্ত্রমন্ত্র বা জাদুটোনার খেল মনে হচ্ছে?

অনেকে হয়ত ধরেই ফেলেছেন কীসের কথা বলতে চাচ্ছি! হ্যাঁ, বলছি স্কোপোলামিন বা শয়তানের নিশ্বাসের কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর মাদক স্কোপোলামিন ব্যবহার করে একজন ব্যক্তিকে দিয়ে খুন পর্যন্ত করানো সম্ভব। কী ভয়ংকর বিষয়টা।  

এই ড্রাগ কেন এত ভয়ংকর? কী আছে এতে? কোথা থেকে আসে এটি?

স্কোপোলামিন মূলত একটি সিনথেটিক ড্রাগ। আপনারা জানলে অবাক হবেন, এই ড্রাগটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকাতেও আছে। বমি বমি ভাব, মোশন সিকনেস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন পরবর্তী রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এই ওষুধ ব্যবহার করেন। এত প্রয়োজনীয় ওষুধ কীভাবে মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠলো সেই ব্যাখ্যায় যাবার আগে এই ড্রাগের উৎপত্তিটা জানিয়ে রাখে আসি। 

মাদক সাম্রাজ্যখ্যাত কলম্বিয়ায় উৎপত্তি স্কোপোলামিনের। দেশটির বোগোটা শহরের নাইটশেড নামক উদ্ভিদের কালো বীজ থেকে পাওয়া যায় স্কোপোলামিনের মূল উপাদান। অবশ্য দেশ ভেদে এই উদ্ভিদের নাম একেক দেশে একেক রকম। যেমন ধরুন, আমাদের বাংলাদেশে কালো ধুতরা বীজ এবং কলম্বিয়ায় শয়তানের বৃক্ষ নামক গাছ থেকে আসে এই উপাদান। প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে আরো কিছু রাসায়নিক উপাদান যোগ করে কৃত্রিমভাবে স্কোপোলামিন তৈরি করা হয়, যার বৈজ্ঞানিক নাম হায়োসিসিন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে এটি বুরুন্ডাঙ্গা, কলম্বিয়ান ডেভিলস ব্রিদ, রোবট বা জোম্বি ড্রাগ নামেও পরিচিত। যে কলম্বিয়া থেকে এই ভয়ানক মাদকের জন্ম, সেদেশের কিছু তথ্য দেই। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে বছরে ডেভিলস ব্রিদ রিলেটেড ক্রাইম হয় অন্তত ৫০ হাজার। এমনকি বোগোটা শহরে ভ্রমণকারীদের ২০ ভাগই যারা যায় এই ড্রাগ সংগ্রহ করতে।

স্কোপোলামিন ড্রাগটি তরল এবং পাউডার দুইভাবেই পাওয়া যায়। মাদকটি নিয়ে ১৮৮০ সালে সর্বপ্রথম গবেষণা শুরু করেন জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট ল্যাডেনপবার্গ।

আর বিশ্বে স্কোপোলামিন রিলেটেড প্রথম ক্রাইমটির বয়সও একশো বছর পেরিয়ে গেছে। হার্ভে ক্রিপেন নামের এক মার্কিন হোমিও চিকিৎসক তার সুন্দরী স্ত্রী কোরার খাবারে স্কোপোলামিন মিলিয়ে হত্যা করেছিলেন —

এমনটি বলা হয়। এর সাজা হিসেবে ১৯১০ সালে ইংল্যান্ডের আদালতে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। যদিও এই হত্যার ঘটনা ২০১০ সালে আবারও আলোচনায় আসে। কারণটি ছিল—আলামতের ডিএনএ’র সাথে নিহত কোরার বংশধরদের ডিএনএ’র অমিল। তাই অনেকেই ধারণা করেন, হার্ভে ক্রিপেন হয়তো বিনা দোষে সাজা পেয়েছিলেন। ক্রিপেন সত্যিই স্কোপোলামিন ব্যবহার করে ক্রাইমটি করেছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটি যে বর্তমানে অপরাধীদের জন্য ভয়ংকর এক অস্ত্র হয়ে উঠেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বলছে, ১৯২২ সালে মার্কিন পুলিশ এটি সর্বপ্রথম কারাবন্দিদের ওপর প্রয়োগ শুরু করে। কানাডিয়ান আদালতও জবানবন্দির জন্য এই ড্রাগকে অনুমোদন দিয়েছিল সেসময়। তবে এর প্রয়োগ বাড়তে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। তখন ইন্টারোগেশন সেলে আটক থাকা শত্রুপক্ষের সৈন্যদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের জন্য ব্যাপক আকারে স্কোপোলামিন ব্যবহার শুরু হয়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া মুভি- দ্য গান্স অফ ন্যাভারোনেও। মুভিতে জার্মান জেনারেলকে স্কোপোলামিন ব্যবহার করতেও দেখা যায়।

কোল্ড ওয়ারেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই ড্রাগ ব্যবহার করে সিআইএ। সর্বশেষ ২০০৮ সালে যুগোস্লাভিয়া সরকার এটি ব্যবহার করে। কিন্তু ড্রাগটির নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট দেখে তারাও এর ব্যবহার থেকে সরে আসে। ড্রাগটি ব্যবহারের ফলে ভিকটিমের চিন্তাশক্তি বলে কিছু থাকে না। এমনকি হিউম্যান ব্রেইন মিথ্যা তৈরি করতে পারে না। শিশু কিংবা রোবটের মতো সত্যটা বলে ফেলে। এজন্য একে ট্রু সিরামও বলা হয়। সিরাম বলার আরেকটা কারণ, এটা তরল অবস্থায় থাকতো এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে ভিকটিমের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়া হতো। তবে সত্য কথা বের করার জন্য এই ড্রাগ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ এই ড্রাগের অ্যাকুরেসি ছিল মাত্র ৪০ শতাংশ। সেকারণে অনেক দেশ এই ড্রাগ ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যকে গ্রহণযোগ্য মনে করতো না।

রোগের ওষুধ হিসেবে ১৯৯০ সালের দিকে স্কোপোলামিন ব্যবহার শুরু হয়। মূলত প্রসবকালীন অ্যামনেশিয়া এবং ব্যথা কমানোর জন্য বছরের পর বছর ড্রাগটির ব্যবহার হয়েছে। নভোচারীদের মোশন সিকনেস কাটানোর জন্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও এই ড্রাগ ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে তারা মাত্র শূন্য দশমিক তিন তিন মিলিগ্রাম স্কোপোলামিন ব্যবহার করে। আপনারা জানলে অবাক হবেন, শয়তানের নিশ্বাস খ্যাত এই মাদকের ৫ থেকে ৭ মিলিগ্রামই একজন মানুষকে জোম্বি কিংবা রোবট বানিয়ে দিতে যথেষ্ট। আর ভুল করে ১০ মিলিগ্রাম স্কোপোলামিন বা তার বেশি কেউ গ্রহণ করলে সে নিশ্চিত কোমায় চলে যাবে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এই মাদকের প্রভাব শুরু হতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ২০ মিনিট। নিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে এর প্রভাব ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে খাবারে মিশিয়ে দিলে এর প্রতিক্রিয়া থাকে দুই থেকে তিন দিন। শয়তানের নিশ্বাস হিসেবে পরিচিত এই ড্রাগ শরীরে ঢোকার পর মস্তিষ্কের প্রাথমিক স্মৃতি অর্থাৎ ইনিশিয়াল স্টেইজ অব মেমোরিকে ব্লক করে দেয়। ফলে মানুষ সম্মোহিতের মতো আচরণ করে। যাকে গবেষকরা বলছেন টোয়াইলাইট স্লিপ বা গোধূলি ঘুম। এ অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রমণকারীকে দেখতে পেলেও পরবর্তীতে তাকে মনে রাখতে পারে না। এর প্রভাবে বাইরের কোনো আক্রমণে শরীর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অবস্থায়ও থাকে না। মানে আপনি নিজে কিছু করতে পারবেন না, শুধু সামনের লোক যা বলবে তাই করবেন রোবটের মতো।

বর্তমানে এ মাদকটি মূলত প্রতারক চক্রের সদস্যরা ব্যবহার করে থাকে। কলম্বিয়ায় উৎপত্তি হলেও ইকুয়েডর ও ভেনেজুয়েলাতেও মাদকটি ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া পেরু, আর্জেন্টিনা, চিলিসহ বিভিন্ন দেশে এটি মাদক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশে এই মাদক অপরাধীদের কাছে আসলো কীভাবে?

স্কোপোলামিনের কথা সম্প্রতি সামনে এলেও এর কাছাকাছি জিনিস যেমন- ধুতরা ফুলের বীজ দিয়ে মানুষ বশ করার চর্চা আমাদের দেশে বহু পুরোনো,  ৫০ বছর আগে থেকে হয়ে আসছে। তবে বিগত কয়েক বছরে রপ্তানিমুখী কেমিক্যাল কারখানার কর্মীরা অবৈধভাবে স্কোপোলামিন, পটাশিয়াম সায়ানাইড ও ক্লোরোফর্মের মতো রাসায়ানিকগুলো বাইরে বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। ধুতরা ফুল থেকে পাওয়া রাসায়নিক এবং আরও কিছু যৌগের সাহায্যে ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে ভয়ংকর স্কোপোলামিন। অনেকে তো সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইজ খুলেই দেদারসে বিক্রি করছে এই মাদক। আর তাদের কাছ থেকে সহজেই চলে যাচ্ছে অপরাধীদের হাতে। 

দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, অহরহ এই ড্রাগ ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী। এতদিন মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি নামের অপরাধী চক্র সক্রিয় থাকলেও এখন তাদের সাথে যোগ হয়েছে নতুন আতঙ্ক — ডেভিলস ব্রিদ বা শয়তানের নিঃশ্বাস।

পুলিশ অপরাধীর পেছনে লেগে আছে বলে চুরি–ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ইদানীং আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। কিন্তু ডেভিলস ব্রিদের মতো এমন নিত্যনতুন অথচ ভয়ংকর অপরাধী চক্রের খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই। এসব ক্ষেত্রে র‍্যাব-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আরো বেশি একটিভ হওয়া প্রয়োজন।

পাশাপাশি সচেতন হতে হবে আমাদেরও। ভয়ংকর এই মাদক থেকে বাঁচতে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো কাগজ, খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না। কারো কাছ থেকে টাকাপয়সা নেয়ার পর নাক-মুখ থেকে হাতকে যতটা সম্ভব — দূরে রাখতে হবে। পাবলিক প্লেসে যেহেতু প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, তাই সদ্য পরিচিতদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ না হওয়াই ভালো। শয়তানের নিশ্বাস থেকে বাঁচতে মাস্ক বেশ কাজের হতে পারে। আসুন, সবাই মিলে এমন একটি নিরাপদ ও সচেতন সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে ডেভিলস ব্রিদ বা শয়তানের নিশ্বাসের মতো ভয়ংকর মাদকগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। নির্ভয়ে শান্তির নিশ্বাস নিতে পারবে আমাদের আগামী প্রজন্ম।

ধন্যবাদ সবাইকে

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

The Devil’s Breath in Our Country

Greetings, everyone.

Fatema Begum, resident of Chittagong. He was on her way home after shopping when two individuals approached her asking for help. As she turned to speak with them, they sprayed something powdery on her mouth. Instantly, she lost control of herself. Subconsciously, she handed over her jewelry, cash, phone, and other valuables to the criminals. The entire incident was caught on CCTV, but passersby didn’t realize what was happening. 

What substance do criminals possibly use to control someone so quickly? Is it some sort of sorcery or black magic?

Some of you already guessed what I’m talking about! Yes, it’s about scopolamine, commonly known as the Devil’s Breath, one of the world’s most dangerous drugs. It’s even possible to make someone commit murder. Scary, isn’t it?

But why is this drug so dangerous? What does it contain? Where does it come from?

Scopolamine is primarily a synthetic drug. You may be surprised to learn that it is on the essential drugs of the World Health Organization’s medicine list. Doctors use it to treat nausea, motion sickness, and sometimes post-operative patients. But how did this essential medicine become a dangerous weapon? Let me explain its origins first.

Scopolamine originated in Colombia, the infamous home of drug cartels. The primary ingredient is derived from the black seeds of a plant called nightshade, found in Bogotá. Of course, depending on the country, this plant is known by different names. For example, in Bangladesh, it’s associated with the seeds of the black dhatura plant, while in Colombia, it’s known as the “Tree of the Devil.” By combining natural elements with other chemicals, a synthetic version of scopolamine is created, scientifically known as hyoscine. This drug is also known as burundanga, Colombian Devil’s Breath, or even the zombie drug in different regions. Colombia, where this drug originated, sees at least 50,000 Devil’s Breath-related crimes each year, according to media reports. In Bogotá alone, 20% of travelers come seeking this drug.

Scopolamine can be found in both liquid and powder forms. German scientist Albert Ladenburg first began researching the drug in 1880.

The first known crime related to scopolamine occurred over a hundred years ago. It’s said that American homeopathic doctor Harvey Crippen murdered his beautiful wife, Cora, by mixing scopolamine into her food. In 1910, he was sentenced to death by an English court for the crime. Interestingly, this murder case reopened in 2010 because the DNA of the evidence didn’t match Cora’s descendants. Some now believe that Crippen may have been wrongfully convicted. Whether or not Crippen truly used scopolamine, there’s no doubt that this drug has since become a lethal weapon for criminals.

According to the CIA, American police first used this drug on prisoners in 1922. Even Canadian courts approved its use for obtaining confessions at that time. However, scopolamine’s use became more widespread during World War II. It was heavily used in interrogation cells to extract information from enemy soldiers. The 1961 film “The Guns of Navarone” shows a German general using scopolamine during interrogations.

During the Cold War, the CIA also used scopolamine for interrogations. Most recently, in 2008, the Yugoslavian government used it but stopped after observing its negative effects. The drug causes victims to lose their ability to think. The human brain cannot fabricate lies under its influence, behaving more like a child or robot, which is why it’s also called a truth serum. In its early days, the drug was in liquid form and administered via injection. However, the accuracy of the confessions obtained was only 40%, so many countries did not accept this information as credible. 

Scopolamine started being used as medicine around the 1990s. It was administered for amnesia during childbirth and to reduce pain. NASA also used this drug to counter motion sickness for astronauts, but in this case, only 0.33 milligrams of scopolamine was used. You’ll be shocked to know that just 5-7 milligrams of this “Devil’s Breath” is enough to turn someone into a zombie or robot. Accidentally ingesting 10 milligrams or more can put someone in a coma, or even cause death.

It takes about 20 minutes for the drug’s effects to begin. Inhaled, its effects can last up to 8 hours. However, when mixed with food, the reaction can last 2-3 days. Once inhaled, this drug blocks the brain’s initial memory stage, causing the victim to behave hypnotically. Researchers call this “twilight sleep.” Even if the victim sees the attacker, they won’t remember them later. Under its influence, the body won’t react to any external threats, meaning the victim can’t resist and will do whatever the attacker commands, like a robot.

Currently, criminals use this drug to carry out fraudulent activities. While scopolamine originated in Colombia, it has also spread to Ecuador, Venezuela, and countries like Peru, Argentina, and Chile.

But how did this drug reach the hands of criminals in our country?

Though scopolamine has only recently come to the forefront, substances similar to it, such as the seeds of the dhatura plant, have been used to control people in Bangladesh for over 50 years. However, in recent years, employees from export-oriented chemical factories have been illegally selling scopolamine, potassium cyanide, and chloroform. These chemicals are then used to create scopolamine in laboratories with the help of natural substances like dhatura seeds. Some people are even selling this drug openly on social media, where it easily falls into the hands of criminals.

The worrying thing is that this drug is being used more and more to steal millions of taka and valuable things. Although gangs like the “Molom Party” and “Ogyan Party” were already active, the new threat of Devil’s Breath has now been added.

While the police are actively pursuing these criminals and crimes like theft and robbery have decreased recently, new and terrifying criminal activities like Devil’s Breath are emerging. In such cases, not only the police but also intelligence agencies need to be more active.

At the same time, we need to be cautious. To protect ourselves from this dangerous drug, avoid accepting papers, food, or drinks from strangers. After handling money, try to keep your hands away from your nose and mouth. As public places carry the highest risk, it’s best not to become too close with newly acquainted individuals. Wearing a mask can also help protect from Devil’s Breath. Let’s work together to create a safe and aware society where terrifying drugs like Devil’s Breath have no place, ensuring that our future generations can breathe in safety and peace.

Thank you all.

Stay healthy, stay well. 

4 thoughts on “ দেশে শয়তানের নিশ্বাস-The Devil’s Breath in Our Country”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top