হোয়াটস অ্যাপ বিজনেস মডেল
শুভেচ্ছা সবাইকে।
আহমেদ পিপুল প্ল্যাটফর্মে গুগল ম্যাপের আয় নিয়ে ভিডিও পাবলিশের পর থেকেই হোয়াটস অ্যাপের আয় নিয়ে কন্টেন্ট বানানোর রিকোয়েস্ট ছিল আপনাদের। আপনাদের অনুরোধ রাখতেই এখন এই ভিডিও।
এই মুহুর্তে দুনিয়ার সবেচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রি মেসেজিং অ্যাপলিকেশনের নাম- হোয়াটস অ্যাপ। কোন ধরনের অ্যাড বা চার্জ না নিয়ে এই অ্যাপটা কীভাবে চলছে? তাদের আয়ের উৎস কী?
আমার বিশ্বাস, স্মার্টফোন ইউজারদের মধ্যে এমন কেউ নাই যারা হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে না। কেনই বা করবে না বলেন? শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ব্যস…. এই অ্যাপ দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘন্টার পর ঘন্টা মেসেজিং এমনকি ভিডিও কলেও কথা চালিয়ে যাওয়া যায় বিনা খরচে। হোয়াটস অ্যাপের আয়ের উৎস খোঁজার আগে ছোট্ট করে এর ইতিহাসটা জানিয়ে রাখি।
ঘটনাটা ২০০৯ সাল। ফেসবুক ও টুইটারে চাকরী না পেয়ে ইয়াহুর সাবেক দুই কর্মী জ্যান কৌম ও ব্রায়ান অ্যাক্টন মিলে ঠিক করলেন, কিছু একটা করবেন। কিন্তু ইউনিক কোন আইডিয়া ছিলো না তাদের। জ্যান কৌম একদিন খেয়াল করলেন, জিমে থাকা অবস্থায় তার মোবাইলে অনেক সময় ফোন আসে। কিন্তু তিনি তা রিসিভ করতে পারেন না। এরপর কৌম ভাবলেন, এমন একটা অ্যাপ থাকা দরকার, যেটা দিয়ে মানুষ তার বর্তমান অবস্থা অন্যদের জানিয়ে রাখতে পারবে। এই যেমন ধরুন- মিটিংয়ে, বাজারে, জিমে বা সিনেমা দেখি. . . এসব তথ্য। এই তথ্যগুলো স্ট্যাটাসে লেখা থাকলে অন্যরা ওই ব্যক্তির সাথে সুবিধামতো সময়ে যোগাযোগ করতে পারবে। যেই ভাবা সেই কাজ। অল্প পুঁজিতে সাবেক সহকর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টনকে নিয়ে তৈরি করলেন অ্যাপটি। নাম দিলেন- হোয়াটস অ্যাপ। শুরুতে অ্যাপটি অনেক ক্র্যাশ করতো। তারপরেই অ্যাক্টন ও কৌম বাগ ফিক্স করেন। ঠিক করার পর দেখা গেল অ্যাপের ব্যবহারকারীরা বারবার স্ট্যাটাস পাল্টে এটা মেসেজিংয়ের কাজে ব্যবহার করছে। বিষয়টি টের পেয়ে একই বছরে দুই কো-ফাউন্ডার হোয়াটস অ্যাপের 2.0 ভার্সন বের করেন, যুক্ত করেন মেসেজিং ফিচার। এরপরই হোয়াটস অ্যাপের ইউজার দুই লাখ পেরিয়ে যায়। এরপর আস্তে আস্তে বিনিয়োগ আসতে থাকে। কোন ধরনের মার্কেটিং ছাড়াই ব্যবহারকারীদের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায় হোয়াটস অ্যাপের নাম।
মনে পড়ে, ২০০৯ সালের ওই সময় মোবাইলে কাউকে সামান্য একটা মেসেজ দিতে গেলেও অন্তত দুই থেকে আড়াই টাকা খরচ হতো। আর সেখানে এই ফ্রি মেসেজিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা না পাওয়াটা আসলেই বেমানান। সে যাই হোক, দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১১ সালেই অ্যাপ স্টোরে টপ টেন অ্যাপের তালিকায় ঢুকে পড়ে হোয়াটস অ্যাপ। মজার বিষয় কি জানেন? মোবাইল অপারেটরগুলোর ফ্রি মেসেজিং সুবিধা এবং কলরেট কম থাকায় অ্যামেরিকাতে এই অ্যাপ অতোটা সাড়া ফেলেনি। সাড়া ফেলেছে ইউরোপ, আফ্রিকা আর এশিয়াতে।
এবার আসি ইনকামের দিকটায়। শুরু থেকে মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন ছাড়া ছোট টিম নিয়ে বেশ ভালোই চলছিলো হোয়াটস অ্যাপ। সেসময় খরচটা বেশি হতো নতুন ব্যবহারকারীদের ভ্যারিভিকেশন টেক্সট পাঠাতে। খরচ মেটাতে বড় বিনিয়োগ খুঁজতে থাকেন দুই কো-ফাউন্ডার কৌম ও অ্যাক্টন। না পেয়ে নতুন বিজনেস মডেল ঠিক করেন। নতুন মডেলে ব্যবহারকারীদের জন্য বছরে শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্ট মানে এক ডলার সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করেন। ফি বসানোর পরও ভালোই চলছিলো হোয়াটস অ্যাপ। আয়ও হচ্ছিলো বেশ। এরপর হোয়াটস অ্যাপে- ইমেজ, ফটো, ডকুমেন্ট সংযুক্ত করার নতুন ফিচার আনা হয়। এসব সুবিধার কারণে ২০১১ সালেই শীর্ষ অ্যাপগুলোর একটাতে পরিণত হয় হোয়াটস অ্যাপ। কো-ফাউন্ডার ব্রায়ান অ্যাক্টন একটা বিষয়ে সবসময় অনড় ছিলেন, তা হলো- অ্যাপে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন, গেইম বা চমক রাখা যাবে না। তিনি অ্যাপটাকে সিম্পল এবং টু দ্য পয়েন্টে রাখার চেষ্টা করতেন। এই মনোভাবের কারণে পরের তিনবছর হোয়াটস অ্যাপের এক ডলারের বিজনেস মডেল বেশ সাকসেসফুল হলো।
এরপর ২০১৪ সালে হঠাৎ করেই হোয়াটস অ্যাপে ফেসবুকের আগমন। ১৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে হোয়াটস অ্যাপ কিনে নিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ২০১২ সাল থেকে দরকষাকষি চলছিল। ২০১৪ সালে এসে ডিলটা ফাইনাল হয়। তখন হোয়াটস অ্যাপের সব কর্মীই হয়ে পড়ে ফেসবুকের কর্মী। ডিলের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট ছিলো- হোয়াটস অ্যাপের কো-ফাউন্ডাররাই তাদের বর্তমান কর্মী দিয়ে স্বাধীনভাবে এই হোয়াটস অ্যাপ চালাবে। শুধু মালিকানা থাকবে ফেসবুকের। আসলে ওই সময়টায় ফেসবুক মেসেঞ্জারের শক্তিশালী কম্পিটিটর হয়ে উঠেছিলো হোয়াটস অ্যাপ। তাই মার্ক জাকারবার্গ এই অ্যাপ কিনে নেয়ার ব্যাপারে ডেসপারেট ছিলেন। সেসময় গুগল সিইও সুন্দর পিচাইও চেয়েছিলেন হোয়াটস অ্যাপ কিনতে। কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ফেসবুক সিইও হোয়াটস অ্যাপ সবার জন্য পুনরায় ফ্রি করে দেন। এরপর হোয়াটস অ্যাপের দুই কো-ফাউন্ডারের সাথে ফেসবুকের ঝামেলা শুরু হয়। আর না পেরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে হোয়াটস অ্যাপ ছেড়ে আসেন দুই কো-ফাউন্ডার। পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জার্কারবার্গের হাতে।
ইনভেস্টরদের চাপে পড়ে ২০১৮ সালে জার্কারবার্গ হোয়াটস অ্যাপের বিজনেস এপিআই চালু করে। এপিআই বা এপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস হলো একটি অ্যাপের সাথে অন্য একটি বা একাধিক অ্যাপের কোলাবোরেশন করা। আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন- উবার, মেক মাই ট্রিপ, নেটফ্লিক্স, বুকিং ডটকমের মতো বড় কোম্পানিগুলোর ম্যাসেজ আসে আপনাদের হোয়াটস অ্যাপ নাম্বারে। যেগুলো আগে আপনার কাছে আসতো না। এক্ষেত্রে বিজনেস সাইটের সাথে যুক্ত করা হয়েছে হোয়াটস অ্যাপের এপিআই। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো মেসেজের সাহায্যে গ্রাহকের সাথে ওয়ান টু ওয়ান যোগাযোগ করতে পারে। এখনতো দেশের সরকারি-বেসরকারি বহু বড় কোম্পানি হোয়াটস অ্যাপ এপিআই সেবা নিচ্ছে যোগাযোগের জন্য। অবশ্য এর জন্য কোম্পানিগুলো থেকে ভালো টাকাও চার্জ করে হোয়াটস অ্যাপ।
এখন হোয়াটস অ্যাপ অ্যাডসও চালু হয়েছে। অবশ্য এই বিজ্ঞাপন হোয়াটস অ্যাপে দেখানো হয় না। ক্লিক করলেই ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে চলে এই অ্যাড। যেমন ধরুন- ফেসবুকের কোন কন্টেন্টে একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হলো, ওই বিজ্ঞাপনে ডানদিকে হোয়াটস অ্যাপ লিংক পিন করা থাকে। এতে করে গ্রাহকরা পিনে ক্লিক করেই সংশ্লিষ্ট ওই বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। মোদ্দা কথা হলো- হোয়াটস অ্যাপ সরাসরি আয় না করলেও ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রামের সাথে একে কানেক্ট করে ভালোই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মার্ক জার্কারবাগের কোম্পানি মেটা।
এবার আসি হোয়াটস অ্যাপ পেমেন্টে। ২০২০ সালের নভেম্বরে হোয়াটস অ্যাপ- তাদের পেমেন্ট সেবা চালু করে। পারসন টু পারসন হলে এটাও আগের মতো ফ্রি। কিন্তু কোম্পানি যদি এই পেমেন্ট সেবা নিতে চায় সেক্ষেত্রে প্রতি লেনদেনের 3.99% কেটে রাখে হোয়াটস অ্যাপ। যেমন- আমরা এখন দোকানে গিয়ে বিকাশ কিংবা নগদে পেমেন্ট করি, একইভাবে হোয়াটস পেমেন্ট অপশনে গিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করে বিল পরিশোধ করা যায়। ইন্টারন্যাশনাল এই পেমেন্টে সেবা পার্শ্ববতী ভারতে থাকলেও বাংলাদেশে এখনো চালু হয়নি। এতক্ষণ যে সেবাগুলোর কথা বললাম, সেগুলো থেকেই হোয়াটস অ্যাপ ২০২৩ সালে আয় করেছে ১২০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশের টাকায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
হোয়াটস অ্যাপ আগামীতে মনিটাইজেশন সিস্টেম চালু করার কথাও ভাবছে। ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ইন অ্যাপ শপিংসহ আরও নানা ধরনের কাস্টমার সার্ভিস টুল যোগ করার ব্যাপারে কাজ করছে মেটা। পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপের স্ট্যাটাসেও অ্যাড বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যা হোয়াটস অ্যাপের আয় আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যেহেতু হোয়াটস অ্যাপ ফেসবুকেরই একটা সিস্টার কনসার্ন। এজন্য এর আয় নিয়ে আলাদা করে কোন তথ্য দেয় না ফেসবুক।
আপনারা কি জানেন, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় তিনভাগের একভাগ মানুষ হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করছে? সংখ্যায় যদি বলি, নিঃসন্দেহে তা পৌনে তিনশো কোটি। ইউজারের দিক থেকে ফেসবুক, ইউটিউবের পরই এর অবস্থান। সবচেয়ে বেশি হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার হয় ভারতে, অন্তত ৫০ কোটি। এরপর আছে ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, মেক্সিকো এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোর নাম। ১৮০টি দেশের মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করছে। শুধু ২০২৩ সালেই অ্যাপ স্টোর থেকে ৫৮০ কোটি বার হোয়াটস অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে।
একটি অ্যাপের কাছে, বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের ডেটা থাকা তো চাট্টিখানি কথা নয়। কারণ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে যাদের কাছে এতো এতো মানুষের ডেটা থাকে, তারা কতোটা শক্তিশালী একবার আন্দাজ করেন? অবশ্য এ কারণে অনেক দেশ হোয়াটস অ্যাপকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করছে। ভারতের কথা বললে, লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে হোয়াটস অ্যাপ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। মোদির দল বিজেপি ‘বিকশিত ভারত’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। মোদিকে হিন্দুদের রক্ষাকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করে তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হতো। নিঃসন্দেহে এটি হোয়াটস অ্যাপের অপব্যবহার। অভিযোগ উঠার পর হোয়াটস অ্যাপ কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভিডিওটি কেমন লেগেছে এবং আগামীতে কোন ধরনের কন্টেন্ট দেখতে চান, তা কমেন্টে জানান।
ধন্যবাদ সবাইকে
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
What’s App Business Model
Greetings to all.
Ever since Ahmed Pipul’s social media platform published the video on Google Map’s income, many of you have requested to make content on WhatsApp’s income. This video is for your request.
The name of the most popular free messaging application in the world at the moment is WhatsApp. How is this app running without any kind of advertisement or subscription charge? What is their source of income?
I believe, there is no smartphone user exist who does not use WhatsApp. Why do not, say? Only if you have an internet connection… With this app, you can comfortably continue messaging, even video calling for hours at no cost. Before looking for the source of income of WhatsApp, let’s tell a little about its history.
The incident happened in 2009. Jan Koum and Brian Acton, two former employees of Yahoo, did not get any job at Facebook or Twitter, and decided to do something. But they had no unique idea of what to do. Jan Koum noticed one day that while he was at the gym, his mobile phone was ringing continuously. But he cannot receive it. Then Koum thought, there should be an app, through which people can keep their current status informed to others. Take this for example – in a meeting, in the market, at the gym, or watching a movie. . . These informations. If this information is written in the status, others can contact the person at their convenience. What you think is what you do. The app was created with a small amount of capital from a former colleague, Brian Acton. Named it – What’s App. Initially, the app used to crash a lot. Then Acton and Koum fixed the bug. After fixing it, it was found that the users of the app are using it for messaging by repeatedly changing their status. Realizing this, the two co-founders released version 2.0 of WhatsApp in the same year, adding messaging features. After that, WhatsApp users crossed two lakh. Then slowly the investment started coming. Without any kind of marketing, the name of WhatsApp spreads through the mouth of users.
I remember, at that time in 2009, even if you were to send a small message to someone on mobile, it would cost at least two to two and a half taka. And the fact that this free messaging app is not popular there is really inconsistent. However, within two years i.e. in 2011, WhatsApp entered the list of top ten apps in the App Store. You know what’s fun? This app has not received much response in America due to free messaging facilities and low call rates of mobile operators. Europe, Africa, and Asia have responded.
Now let’s come to the side of income. From the beginning, WhatsApp was running very well with a small team without marketing and advertising. At that time it was expensive to send verification texts to new users. The two co-founders Koum and Acton started looking for big investments to cover the expenses. Not getting it, he decided on a new business model. In the new model, users set a subscription fee of 0.99 cents or one dollar per year. WhatsApp was working fine even after charging. The income was also good. Then the new feature of attaching images, photos, and documents was introduced in WhatsApp. Due to these benefits, WhatsApp became one of the top apps in 2011. Co-founder Brian Acton has always been adamant about one thing – no ads, games, or surprises in the app. He tried to keep the app simple and to the point. Due to this attitude, WhatsApp’s one-dollar business model became very successful for the next three years.
Then in 2014 Facebook suddenly came to WhatsApp. Mark Zuckerberg bought WhatsApp for 19 billion dollars. Negotiations have been going on since 2012. The deal was finalized in 2014. Then all WhatsApp employees became Facebook employees. An important part of the deal was that the co-founders of WhatsApp would run the app independently with their existing staff. Only Facebook will have ownership. In fact, at that time, WhatsApp became a strong competitor of Facebook Messenger. So Mark Zuckerberg was desperate to buy this app. At that time, Google CEO Sundar Pichai also wanted to buy WhatsApp. But it was not said at bat.
In January 2016, the Facebook CEO made the WhatsApp app free again for everyone. Then Facebook’s trouble started with the two co-founders of WhatsApp. The two co-founders left WhatsApp around September 2017 when they could no longer do it. Full control goes to Zuckerberg.
In 2018, following pressure from investors, Zuckerberg launched WhatsApp’s Business API. API or Application Programming Interface is the collaboration of one app with one or more other apps. You may have seen messages from big companies like Uber, Make My Trip, Netflix, and Booking.com on your WhatsApp number, which did not come to you before. In this case, WhatsApp API has been added to the business site. Through this, companies can communicate with customers one-on-one with the help of messages. Now many large public and private companies in the country are using WhatsApp API service for communication. Of course, WhatsApp charges good money from companies for this.
Now WhatsApp Ads is also launched. However, this ad is not shown on WhatsApp. This ad runs on Facebook and Instagram on clicking. For example, if an advertisement is shown on any Facebook content, the WhatsApp link is pinned on the right side of the advertisement. In this way, customers can contact the respective advertising company by clicking on the pin. The point is – that even if WhatsApp does not generate direct income, Mark Zerkerbaugh’s company Meta is doing good business by connecting it with Facebook and Instagram.
Now let’s come to WhatsApp payment. In November 2020, WhatsApp launched its payment service. Person-to-person is also free as before. But if the company wants to take this payment service, WhatsApp deducts 3.99% per transaction. For example, we now go to the store and pay by Bkash or cash, similarly, we can go to the WhatsApp payment option and add the bank account to pay the bill. Although this international payment service is available in neighboring India, it has not yet been launched in Bangladesh. From the services that I have talked about so far, WhatsApp will earn 120 million dollars in 2023, which is 15 thousand crores in Bangladesh Taka.
WhatsApp is also thinking of introducing a monetization system in the future. Meta is working on adding more customer service tools, including in-app shopping, and targeting merchants. Apart from this, it is being considered to place an ad in the status of the WhatsApp app. In the future, it can increase the revenue of WhatsApp many times. As WhatsApp is a sister concern of Facebook. That’s why Facebook doesn’t give any information separately about its income.
Do you know, currently about one-third of the world’s total population is using WhatsApp? If I say in numbers, undoubtedly it is three hundred and fifty crores. Its position is after Facebook and YouTube in terms of users. The most used WhatsApp app is in India, at least 50 crores. Then there are the names of countries like Brazil, Indonesia, the USA, Philippines, Mexico and Russia. People from 180 countries are using this app. In 2023 alone, WhatsApp has been downloaded 5.8 billion times from the App Store.
For one app, having the data of nearly 3 billion people in the world is no small feat. Because in this era of information technology, those who have so much human data, how powerful are they once guessed? However, because of this, many countries are using WhatsApp differently. Speaking of India, Narendra Modi has been accused of influencing voters through WhatsApp during the Lok Sabha elections. Modi’s party BJP launched a campaign called ‘Bikshit Bharat’. Modi was presented as the savior of Hindus and urged to vote for him. Undoubtedly, this is a misuse of WhatsApp. WhatsApp has taken action in some cases after the complaints.
Comment how you liked the video and what kind of content you want to see in the future.
Thanks everyone
Stay healthy, stay well.
The degree of my admiration for your work is as substantial as your own sentiment. Your visual display is tasteful, and the authored content is stylish. However, you appear apprehensive about the possibility of delivering something that may be viewed as questionable. I believe you’ll be able to rectify this matter efficiently.
I very delighted to find this internet site on bing, just what I was searching for as well saved to fav
I do not even understand how I ended up here, but I assumed this publish used to be great
I just like the helpful information you provide in your articles
There is definately a lot to find out about this subject. I like all the points you made
Nice post. I learn something totally new and challenging on websites