শুভেচ্ছা সবাইকে।
একটা উদাহরণ দিয়েই শুরু করা যাক। ধরুন, আপনি একজন ক্রিকেট ফ্যান কিন্তু আপনার বাসায় কোনো টিভি নেই। মোবাইলে খেলা দেখতে আপনার একটু অসুবিধে হয়, তাই আপনি আপনার ওয়াইফ এর সাথে বাসায় বসে সামনাসামনি একটি টিভি কেনার ব্যাপারে কথা বলছেন। কথা শেষ করার কিছুক্ষণ পর স্মার্টফোন হাতে নিয়ে যে এডটা দেখলেন সেটা হলো ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির। ব্যাপারটা যথেষ্ট সন্দেহজনক, তাই না?
এমন ঘটনা কিন্তু অহরহ ঘটছে আমাদের সাথে। আসলে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে আপনার অজান্তেই আপনার ব্যক্তিগত স্পেসে আড়িপাতা হচ্ছে। শুধু কি তাই, আপনার তথ্যকে কাজে লাগিয়ে সেটা আবার ব্যবহার করা হচ্ছে আপনারই ওপর। ফেসবুক, গুগল, ইন্সটাগ্রাম, টিকটকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস তাদের ব্যবকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে- এমন নানা সংবাদ ও গুঞ্জন প্রায়ই টিভি-পত্রিকা ও ইন্টারনেটে দেখা যায়। আজকের এই ভিডিওতে আমরা জানার চেষ্টা করবো, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসের তথ্য হাতিয়ে নেয়ার টেকনিক। সেই সাথে জানবো কীভাবে নিজের ব্যক্তিগত ডেটা নিরাপদ রাখা যায়, সেটা সম্পর্কে! কথা না বাড়িয়ে চলুন, জেনে নেয়া যাক সেইসব কৌশল!
ঠিক এই মূহুর্তে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের দৈনিক গড় স্ক্রিন টাইম প্রায় সাত ঘন্টা। ভাবা যায় দিনের প্রায় তিন ভাগের একভাগই কেটে যাচ্ছে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। জেন-জিদের ক্ষেত্রে এই সময়টা আরেকটু বেশি। ৯ ঘন্টার কাছাকাছি! মানে, কেবলমাত্র ঘুমটুকু বাদ দিলে বাকি সময়ের প্রায় অর্ধেকটাই মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ স্ক্রিনে দিয়ে দিচ্ছে তারা। যার বেশিরভাগই আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢু-মেরে ।
হাতে হাতে স্মার্টফোন আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে রকেটের গতিতে। সমান তালে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের আয়ও। সে কারণে বিশ্বের বিলিওনিয়ার লিস্টের শুরুতেই দেখা যায় ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাটের মতো টেক জায়ান্ট সিইওদের নাম। ইউজারদের ফ্রি’তে অ্যাপস ব্যবহার করতে দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠান কীভাবে এত টাকার মালিক হয়ে গেলো, কখন কি সেই প্রশ্ন জেগেছে আপনার মনে?
৯০ দশকের একটি জনপ্রিয় প্রবাদ মনে পড়ে গেলো – হোয়েন দ্য প্রোডাক্ট ইজ ফ্রি, ইউ আর দ্য প্রোডাক্ট! সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো যেনো ঠিক তারই বাস্তব উদাহরণ। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর বিজনেস মডেল নির্ভর করে তাদের এডস এর ওপর। আর তাদের এই এডস রানিং মডেলটা বর্তমানে খুবই শক্তিশালী।
যখন কেউ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে একাউন্ট খোলে, তখন একটি টার্মস এন্ড কন্ডিসনস-এ তাকে এগগ্রি করতে হয়। এই এগগ্রি করার মাধ্যমে একজন ইউজার মূলত: তার ডেটা সংগ্রহ করার সকল অনুমতি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসকে দিয়ে দেয়। এসব টার্মস এন্ড কন্ডিশনস এতোটাই বড় আর কঠিন ভাষায় লেখা থাকে যে সেগুলো প্রায় কেউই পড়ে দেখেনা।
আপনাকে যদি এই মূহুর্তে প্রশ্ন করা হয়, ফেসবুক কিংবা গুগলের মতো সোশ্যাল অ্যাপসের কাছে আপনার কী কী তথ্য আছে? আপনি হয়তো বলবেন- মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আইডি আর সর্বোচ্চ লোকেশন! তবে আমি যদি আপনাকে বলি ফেসবুক, টিকটক কিংবা গুগল হয়তো জানে আপনি গতকাল একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোথায় গিয়েছিলেন, কতক্ষণ ছিলেন, কার সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন, আপনার সর্বশেষ ব্রাউজিং হিস্টোরি, আপনার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস, ফোন নাম্বার, আপনি লাস্ট অনলাইনে কোন প্রোডাক্টটি অর্ডার করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি যার লিস্ট হয়তো শেষ হবেনা।
আপনি ফেসবুকে কোন ধরণের পোস্টে লাইক দেন, কোন ভিডিও দেখেন, কোন সেলিব্রিটিকে ফলো করেন, কেমন পোস্ট শেয়ার করেন, দিনের কোন সময়ে এক্টিভ থাকেন এবং থাকেন না এগুলো সব মূলত একটি ট্র্যাকারের মতো কাজ করে। যেটা হয়ত আপনার সঙ্গীও জানে না। এসব ডেটা ব্যবহার করে আপনার একটি ভার্চুয়াল প্রোফাইল তৈরী করা হয়। এটি মূলত আপনাকে পার্সোনালাইজড এড দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি যেহেতু জানে আপনি ঠিক কী কী পছন্দ করেন সেহেতু তারা ওই অ্যাডগুলোই দেখাবে। এতে করে কোনো না কোনো এক সময় আপনি বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস তাদের ইউজারদের ডেটা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে অন্যান্য থার্ড পার্টি কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে থাকে। এসব কোম্পানি আবার সেগুলো তাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করে। কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় আপনি হয়তো একটি পপআপ বাটন দেখে থাকবেন,- একসেপ্ট অল কুকিজ! যতক্ষণ এই কুকিজ একসেপ্ট না করা হয় ততক্ষণ কিছু ওয়েবসাইট আপনাকে তাদের সাইট ব্যবহার করতে দেয় না। এই কুকিজ মূলত আপনার ব্রাউজিং হিস্টোরি কে সেভ করা এবং সেখান থেকে আপনার ডেটা কালেক্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এতো গেলো কেবল সোশ্যাল মিডিয়ার এডস এর মডেল এর ব্যাপার। আপনি হয়তো এখন ভাবতে পারেন যেহেতু আমার ডেটা কেবল এডস দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তাহলে আর চিন্তার কি? কিন্তু আপনার ডেটার ব্যবহার শুধুমাত্র এডস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়। এর গন্ডি ইতিমধ্যেই পার হয়ে গেছে আরও অনেক অনেক দূর।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসের কাছে থাকা মিলিয়ন মিলিয়ন ইউজারের ডেটা যেকোনো মানুষের জন্য একটি বিরাট ঝুঁকির কারণ হতে পারে। অহরহ এসব ডেটা হ্যাকড ও কম্প্রোমাইজড হওয়ার ঘটনা আমাদের সামনে আসে। ২০২১ সালে ভারতের বিগ বাসকেট নামের একটি গ্রোসারি ডেলিভারি অ্যাপসের ২০ মিলিয়ন ইউজারের ডেটা হ্যাক হয় এবং পরে হ্যাকাররা সেটি থার্ড পার্টির কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।
আরেকটি অবাক করা ঘটনা বলি। প্যারিসে জুডা নামের এক মেয়ে তার ব্রেকআপের পর ডেটিং এ্যাপ টিন্ডার ব্যবহার করতে শুরু করে। কিছুদিন ব্যবহারের পর জুডার প্রোফাইল রেটিং নিয়ে মনে অসন্তুষ্টি জন্মায়। তার মনে হয় টিন্ডার তার প্রোফাইলের যত্ন নিচ্ছে না। তখন সে টিন্ডার কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক মাসের ডেটা চায়। কিছুদিন পর জুডা একটা আটশো পৃষ্ঠার ই-মেইল পায়। ইমেইলটি এতোটাই তথ্যবহুল ছিলো, জুডা নিজেও তার নিজের সম্পর্কে এতো কিছু জানতো না।
২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতার দুই বছর পর তার বিরুদ্ধে তথ্য চুরি করে জেতার অভিযোগ তুলেছিলো সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও নিউ ইয়র্ক টাইমস। এতে বলা হয়েছিলো, ফেসবুক থেকে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের তথ্য খানিকটা চুরি করে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন টিমকে দিয়েছিলো ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটা প্রতিষ্ঠান। এই তথ্যগুলোর সহায়তায় মাইক্রোটার্গেটিং করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন ট্রাম্প।
মাইক্রোটার্গেটিং কীভাবে করা হয় এবার সেটা বলছি। এক্ষেত্রে যেসব সেলিব্রেটিদের ফলোয়ার বেশি তাদের টার্গেট করা হয়। সেলিব্রেটিদের ইমেজকে ব্যবহার করে ফলোয়ারদের প্রভাবিত করাই এই মাইক্রোটার্গেটিং। কি বুঝলেন তো রাজনৈতির প্রচারণায় ডেটার ব্যবহারের সূত্র?
অবশ্য ইউজারদের তথ্য নিরাপদে রাখতে না পারায় ২০১৮ সালে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ-কে ভুল স্বীকার করে গুনতে হয়েছিলো ৮২৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা। বাংলা টাকায় যা প্রায় ৯১ হাজার কোটি টাকা।
তো এতকিছু যখন চারপাশে হচ্ছে তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে তাহলে নিজেকে কিভাবে নিরাপদ রাখবেন? এবং আদৌ কি সম্ভব সেটা! আফসোসের বিষয় হলো, আপনি যতোই চেষ্টা করুন না কেন আপনার ডেটা প্রাইভেসি পুরোপুরি মেইনটেইন করা কোনভাবেই সম্ভব না। তবে একটু সচেতন থাকলে ডেটা চুরি হওয়ার চান্স অনেকটা কমে যাবে। বিশেষ করে লোকেশন, কন্টাক্টস, ব্রাউজিং এক্সেস– কোন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে শেয়ার না করলে এবং প্রয়োজন ছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ চালু না করলে কিছুটা হলেই নিরাপদ থাকা যায়।
তাছাড়া ফেসবুক একাউন্ট সেটিংস এ গিয়ে পার্সোনালাইজড অ্যাড অপশন টি-ও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে ছোটখাটো এসব পদক্ষেপ কখনোই পুরোপুরি আপনার তথ্যের সুরক্ষা দিতে পারবে না। এক্ষত্রে ডেটা প্রোটেকশন বিষয়ক কঠোর আইন প্রনয়ণ ও প্রয়োগ জরুরি। আজকের ভিডিও এ পর্যন্তই। নিজে এবং নিজের পরিবারের সকলকে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করুন।
দেখা হবে আবারো নতুন কোনো তথ্যে ভরপুর ভিডিওতে।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
How Social Media Apps Steal Your Personal Information!
Greetings to all.
Let’s start with an example. Suppose you are a cricket fan, but you don’t have a TV at home. It’s a bit inconvenient for you to watch games on your mobile, so you discuss with your wife about buying a TV. Shortly after the conversation, you pick up your smartphone and see an ad for a 32-inch smart TV. Suspicious, isn’t it?
But such incidents often happen to us. In reality, your personal space is being invaded without your knowledge through AI or artificial intelligence. What’s more, it’s up to you to exploit your data and use it again. Facebook, Google, Instagram, TikTok, and other social media apps steal the personal information of their users – various news and rumors are often seen on TV, magazines, and the Internet. In today’s video, we will try to understand the techniques of grabbing information from various social media apps and also learn how to keep your personal data safe! Without further ado, let’s explore those strategies!
Currently, the average daily screen time for every person in the world is about seven hours. It is estimated that almost one-third of the day is spent looking at the screen. In the case of Gen Z, this time is a little longer, close to 9 hours! This means, except for sleep, they spend almost half of the remaining time on mobile or laptop screens. Most of this time is spent on social media.
With smartphones and high-speed internet in hand, the number of social media users has skyrocketed, leading to an increase in the income of social media giants. That’s why the names of tech giant CEOs like Facebook, YouTube, TikTok, Snapchat can be seen at the beginning of the world’s billionaire list. How did these organizations, which allowed users to use apps for free, become owners of so much money? When did that question arise in your mind?
A popular saying from the ’90s comes to mind – “When the product is free, you are the product!” Social media companies are a real example of that. The business model of social media sites depends on their ads, and their ad-running model is currently very strong.
When someone opens an account on a social media site, they have to agree to a set of terms and conditions. By opting in, a user essentially gives social media apps permission to collect their data. These terms and conditions are often written in large and difficult language that almost no one reads.
If you were asked at this moment what information social apps like Facebook or Google have about you, you might say – mobile number, email ID, and maybe location at most. But what if I tell you that Facebook, TikTok, or Google may know where you went at a certain time yesterday, how long you were there, whom did you talk on the phone, your latest browsing history, your relationship status, phone number, which product did you order last in online, etc.? The list may not end.
What kind of posts you like on Facebook, what videos you watch, what celebrities you follow, what kind of posts you share, what time of the day you are active and inactive – all these basically work like a tracker, of which your partner may not even be aware. A virtual profile of you is created using this data, mainly used to show you personalized ads. Since social media companies know exactly what you like, they will show those ads. So, at some point, you see the advertisement and decide to buy the product.
Social media apps also sell their users’ data to third-party companies for huge sums of money. These companies, in turn, use the data according to their own needs. When visiting a website, you may encounter a popup button – “Accept All Cookies!” Some websites will not allow you to use their sites unless these cookies are accepted. These cookies are mainly used to save your browsing history and collect your data from there.
This is just a part of the social media ads model. You might be thinking by now, since my data is only being used to show ads, why bother
? But the use of your data is not limited to ads. Its boundaries have already been crossed much further.
Millions of user data held by social media apps can pose a huge risk to anyone. Often, this data is hacked and compromised. In 2021, data of 20 million users of a grocery delivery app called Big Basket in India was hacked, and the hackers later sold it to third parties for money.
Let me share another surprising fact. Judah, a girl in Paris, started using the dating app Tinder after her breakup. After a few days of use, she became dissatisfied with the profile rating on Tinder. She felt that Tinder was not taking care of her profile. She then asked Tinder authorities for several months of data. A few days later, Judah received an eight-hundred-page email. The email was so informative that Judah discovered things about herself she wasn’t aware of.
Two years after Donald Trump won the U.S. presidential election in 2016, the Guardian and New York Times accused him of stealing information. It was said that a company named Cambridge Analytica stole information from about 50 million people on Facebook and gave it to Trump’s campaign team. With the help of these data, Trump campaigned by micro-targeting.
Now, let’s talk about how micro-targeting is done. In this case, celebrities with more followers are targeted. Micro-targeting uses celebrity images to influence followers. Did you understand the use of data in political campaigns?
However, in 2018, Facebook CEO Mark Zuckerberg had to pay an $825 million fine for failing to keep user information safe, which in Bangla Taka is about 91 thousand crores.
So, when so much is happening around you, the question may arise in your mind: how to keep yourself safe? And is it possible at all? Unfortunately, no matter how hard you try, it is never possible to maintain your data privacy perfectly. However, if you are a little aware, the chances of data theft will decrease significantly. Especially, not sharing your location, contacts, and browsing access with any social media, and not turning on the internet connection unnecessarily can provide some level of safety.
Moreover, you can turn off the personalized ad option by going to your Facebook account settings. But these small steps will never fully protect your data. Enacting and enforcing strict data protection laws are essential. That’s all for today’s video. Keep yourself and your family safe in terms of cybersecurity.
See you again in a video full of new information.
Thanks, everyone. Stay well, stay healthy.