শুভেচ্ছা সবাইকে।
শুরুতেই একটি অদ্ভূত প্রশ্ন করি। গন্ডার কি কোন শহরের মেয়র হতে পারে? আমাদের দেশে গন্ডার শুধু চিড়িয়াখানাতেই দেখি। তবে ‘গন্ডারের চামড়া’ কথাটি কিন্তু বেশ পরিচিত। বারবার বলেও যখন কাউকে দিয়ে কোন কাজ করানো যায় না, তখন বিরক্ত হয়ে আমরা বলি, ‘গন্ডারের চামড়া নাকি লোকটার!’ ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের বাসিন্দারাও একবার মেয়রের কাজে বিরক্ত হয়ে ‘কাকারেকো’ নামের এক গন্ডারকে পাঁচ বছরের জন্য শহরের মেয়র নির্বাচিত করেছিলো। ১৯৫৯ সালে সিটি নির্বাচনে গন্ডারটি প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল। ব্রাজিলে রাজনৈতিক যে কোন প্রতিবাদে এখনো ‘কাকারেকো’র নাম ব্যবহার করা হয়।
কাকারেকো’র মতো বিভিন্ন দেশের নির্বাচন নিয়ে মজার-মজার তথ্য জেনে আসি চলুন—
মানব সভ্যতার শুরু থেকেই নেতা বাছাইয়ে নির্বাচনের প্রচলন ছিল। প্রাচীন গ্রিস ও রোমান সভ্যতায় শাসক নির্ধারিত হতো নির্বাচনের মাধ্যমে। প্রাচীন ভারতেও নির্বাচনের ইতিহাস পাওয়া যায়। বাংলার মধ্যযুগের শুরুর দিকে পাল বংশের প্রথম রাজা গোপাল কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে মসনদে বসেছিলেন। তখন অবশ্য সাধারণ জনগণ ভোট দিতেন না। ভোট দিতেন রাজ সভার সদস্য, মন্ত্রী, জমিদার, দুর্গ সেনা আর মিত্ররা।
সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটেন ও শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রদেশগুলোতে নির্বাচনের প্রচলন শুরু হয়। তখনকার নির্বাচনে অবশ্য জমিদারদেরই আধিপত্য ছিল।
ভোটাধিকার থাকলেও নির্বাচন ব্যাপারটাই একরকম অনর্থক উত্তর কোরিয়ায়। দেশটিতে ৯৯ শতাংশেরও বেশি ভোট কাস্ট হলেও কিম জং উনের ওয়ার্কাস পার্টি ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দলই নেই। তাই প্রার্থী পছন্দ না হলেও কিছুই করার নেই ভোটারদের।
প্রার্থী অপছন্দ হলে অবশ্য ভারত, ব্রাজিল, ফিনল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশে ‘না’ ভোটের সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘না’ ভোট রাখা হয়েছিল ব্যালট পেপারে, প্রায় চার লাখের কাছাকাছি ‘না’ ভোট পড়েছিল সেবার। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যারা ‘না’ ভোট চালু করেও পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে এই ব্যবস্থা তুলে দেয়।
নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনে প্রথম নারীরা ভোট দেয়া শুরু করে ১৮৯৩ সালে। গত শতাব্দীর শুরুতেও ইউরোপ–আমেরিকার দেশগুলোতে নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। সময়ে পাল্টেছে, আধুনিক বিশ্বের সব দেশেই নারীরা ভোটাধিকার পেয়েছে। আরব আমিরাতে নারীদের ভোট চালু হয় ২০১৫ সালে। বর্তমানে ভ্যাটিকান সিটির নির্বাচনে নারীরা ভোটাধিকার পেয়েছে।
নারীরা ভোটাধিকার পেলেও প্রচলিত কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার কারণে পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে এখনো নারীদের ভোটে অংশগ্রহণের হার তুলনামূলক অনেক কম। নারী পুরুষ উভয়েরই নির্বাচনে অংশগ্রহণ জরুরী কিন্তু অধিকাংশ দেশেই ভোট একটি ঐচ্ছিক দায়িত্ব। তবে বিশ্বের বাইশটি দেশে ভোটদান বাধ্যতামূলক, না দিলে জেল-জরিমানার বিধানও আছে।
বেলজিয়ামই প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগে নাগরিকদের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ব্রাজিল আর ইকুয়েডরে বাধ্যতামূলক ভোটের ব্যবস্থা থাকলেও নিরক্ষরদের জন্য এ আইন শিথিল করা হয়েছে।
নিরক্ষর নাগরিকদের ভোট নিয়ে সবচেয়ে মজার প্রথাটি আছে গাম্বিয়ায়। ব্যালটের পরিবর্তে মার্বেল দিয়ে ভোট দেন গাম্বিয়ানরা। ব্যালটের লেখা নিরক্ষর নাগরিকরা পড়তে পারবে না ভেবেই এই মার্বেল ব্যবস্থা। সচ্ছ মার্বেল নিয়ে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর ছবিযুক্ত বাক্সে ফেলেন, পরে মার্বেল গুণে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য উপায়ও নেই, ২১ লাখ জনসংখ্যার দেশ গাম্বিয়ার ৪২ শতাংশ মানুষই নিরক্ষর।
শুধু শিক্ষাদীক্ষাই নয়, ভোটার হতে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়াটাও বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০৫টি দেশে ভোটাধিকার পাওয়ার নুন্যতম বয়স ১৮ বছর। কিন্তু অস্ট্রিয়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের ১১ টি দেশে ভোটার হওয়া যায় ১৬ বছর বয়সেই। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
ইন্দোনেশিয়ায় বয়সের সাথে ভোটাধিকার পাওয়ার ব্যাপারটা আবার মজার। ১৮ বছর বয়সে ভোটার হওয়া যায় আমাদের দেশের মতো ইন্দোনেশিয়াতেও, তবে বিবাহিত হলে যে কোন বয়সেই ভোটার হওয়া যায়। ডমেনিক রিপাবলিকেও একই ব্যবস্থা চালু আছে। দুঃখজনক হলেও, একারণে দুটো দেশেই বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি।
ক্রোয়েশিয়া আর সার্বিয়ায় ট্যাক্স পেয়ার হলেই ভোট দিতে পারে, তা বয়স যতই হোক। এদিকে সবচেয়ে বেশি বয়সে ভোটাধিকার পায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে, ২৫ বছর বয়সে।
জনপ্রতিনিধিরা অবশ্য নিজেদের পছন্দ করাতে মনপ্রাণ দিয়েই চেষ্টা করে নির্বাচনের আগে। প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারটা আসে সেখানেই। মিছিল-মিটিং, পোস্টার-মাইকিং এর মতো নানা তোড়জোড় চলে নির্বাচনের আগে। তবে আমাদের দেশের ঠিক উল্টো নিউজিল্যান্ড, সেখানে নির্বাচনের আগে সব ধরণের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়। প্রচারণা যেন ভোটারদের মনকে প্রভাবিত করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই নিউজিল্যান্ড নির্বাচন কমিশনের এ ব্যবস্থা।
প্রচারণার কথায় যখন আসলাম, তখন একজনের কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেনস স্টলটেনবার্গ। নির্বাচনের আগে ভোটারদের মতামত জানতে আর মনোভাব বুঝতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ট্যাক্সি ড্রাইভারের বেশে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। নিজের এই অদ্ভূত কর্মকান্ডের বিষয়টি অবশ্য তিনি পরে প্রকাশও করেন। যা সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলো।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বই থাকে সুষ্ঠ নির্বাচন করার, তবুও নির্বাচনের পর হেরে যাওয়া দলগুলোর কাছে থেকে কারচুপির অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। তবে কারচুপির সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছিলো লাইবেরিয়ার ১৯২৭ সালের নির্বাচন। সেবার নির্বাচিত প্রার্থী চার্লস ডিবি কিং পেয়েছিলেন দুই লাখ চৌত্রিশ হাজার ভোট। মজার ব্যপার হলো, সে নির্বাচনে মোট নিবন্ধিত ভোটার ছিল মাত্র ১৫ হাজার। সবচেয়ে বড় ‘নির্বাচন জালিয়াতি’ হিসেবে এটি গিনেজ বুকে নাম লিখিয়েছে।
কারচুপি এড়িয়ে নির্বাচন করতে পুরো বিশ্বই বর্তমানে প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে, বাংলাদেশেও আঙ্গুলের ছাপ থেকে ভোটার শনাক্ত করার বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বেশ ক’বছর আগে থেকেই চলছে। এখন চোখের রেটিনা থেকেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার শনাক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।
ছুটির দিন রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলো ব্যতিক্রম। যেমন, অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডে শনিবার, কানাডায় সোমবারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৮৪৫ সাল থেকে আমেরিকায় নির্বাচন হয় নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবারে, পেছনের গল্পটাও সুন্দর। সেই সময়ে বেশিরভাগ আমেরিকান কৃষিকাজ করতো এবং নির্বাচন কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বসবাস করতো। রোববার সবাই গির্জায় সময় কাটাতো আর বুধবার ছিল কৃষকদের হাটের দিন। এ কারণে ভোটের দিন মঙ্গলবার নির্ধারণ করা হয় যাতে কৃষকরা রোববার প্রার্থনা সেরে সোমবার ভোটের জন্য রওনা দিতে পারেন। আর মঙ্গলবার ভোট দিয়ে তারা হাট করে ফিরতে পারেন। চমৎকার সিদ্ধান্ত, তাই না?
নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহৃত স্লোগান ও পোস্টারের অর্থবহতা কখনো কখনো উদ্দেশ্য ও সময়কেও ছাপিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্লোগান বিশাল প্রভাব ফেলে, ‘দ্য চেঞ্জ উই নিড’ স্লোগান দিয়ে বারাক ওবামা রীতিমতো তোলপাড় করে ফেলেছিলেন বিশ্বজুড়েই, পরিবর্তনও এসেছিলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছিল তাদের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক, তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান যে আমেরিকানদের ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল তা নির্বাচনের ফলাফলেই বোঝা যায়।
নির্বাচনের সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ভবিষ্যতের নির্বাচনে একটা বিশাল প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে এখন আর কারো সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে গেছে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এআই-এর মাধ্যমে ভোটারের মাইন্ড রিড করেই জেনে ফেলা যাবে তার পছন্দের প্রার্থী বা দলের নাম। এমনটা যদি কখনো হয় তবে নির্বাচনের জন্য এতোশত আয়োজনের দরকার পড়বে না, বেচে যাবে অর্থ। নির্বাচনের দিন সকালে আর ভোটারদের কষ্ট করে ছুটতে হবে না ভোটকেন্দ্রে, কাটানো যাবে একটি নিখাদ ছুটির দিন।
তবে সবেচেয়ে ভয়ের বিষয়টা হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের আপডেটেড ভার্সন কিউ স্টার নিয়ে। বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের ভবিষ্যৎ জানা সম্ভব হবে। মানে একটি সামাবেশ ছবি বিশ্লেষণ করেই জেনে নেয়া যাবে কে কাকে ভোট দিবেন, সে বিষয়টি। যদি এমনটা সত্যিই হয়, তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাচনী ব্যবস্থা কতোটা হুমকির মুখে পড়তে পারে, আপনারা কি মনে করেন? কমেন্ট করে জানান।
তথ্য-প্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়ে আগামীতে আরও ভিডিও থাকবে আপনাদের জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Electoral Diversity
Greetings to all.
Let me ask you a strange question at the beginning. Can a rhinoceros be the mayor of any city? In our country we see rhinos only in zoos. However, the word ‘rhinoceros skin’ is well known. When we can’t get someone to do something, we get fed up and say, ‘Rhinocero skin or man!’ The residents of Sao Paulo, Brazil, were once fed up with the mayor’s work and elected a rhinoceros named ‘Kacareco’ as the mayor of the city for five years. In 1959, the Rhino won the city elections by a margin of about one lakh votes. In Brazil, the name ‘Kacareco’ is still used for any political protest.
Let’s learn interesting facts about the elections of different countries like Kakareko—
Since the beginning of human civilization, elections have been used to select leaders. In ancient Greek and Roman civilizations, rulers were determined by elections. The history of election is also found in ancient India. Gopala, the first king of the Pala dynasty in early medieval Bengal, was elected to the Masanad. However, the general public did not vote then. Members of the Raj Sabha, ministers, zamindars, fort soldiers and allies voted.
In the early seventeenth century, elections were introduced in the provinces of Britain and the late United States. However, the zamindars dominated the elections at that time.
Although there is a right to vote, the matter of election is somewhat useless in North Korea. Although more than 99 percent of the vote was cast in the country, there is no political party other than Kim Jong Un’s Works Party. So voters have nothing to do even if they don’t like the candidate.
If the candidate is not liked, however, in several countries including India, Brazil, Finland, the option of ‘no’ vote has been kept. In the 2008 elections in Bangladesh too, ‘no’ votes were placed on the ballot paper, nearly four lakh ‘no’ votes were cast for the service. Bangladesh is the only country which introduced the ‘no’ vote but dropped this system in subsequent elections.
The whole world is currently turning to technology to avoid rigging elections, the biometric method of identifying voters from fingerprints has been going on for several years in Bangladesh. Now it is thought to identify the voters in the polling station from the retina of the eye.
Holiday Sundays are the most popular for election events. However, English speaking countries are an exception. For example, elections are held on Saturdays in Australia and New Zealand, and on Mondays in Canada.
Since 1845, elections in America have been held on the first Tuesday of November, the back story is also beautiful. Most Americans at that time worked in agriculture and lived far from the polling stations. Sundays were spent in church and Wednesdays were farmers’ market days. For this reason, the polling day was fixed on Tuesday so that the farmers could leave for polling on Monday after praying on Sunday. And they can walk back by voting on Tuesday. Nice decision, isn’t it?
The significance of slogans and posters used in election campaigns sometimes transcends purpose and time. Slogans had a huge impact on the US election, Barack Obama made a big fuss around the world with the slogan ‘The Change We Need’, change also came, the United States got its first black president. Regardless of the controversy surrounding Donald Trump, the election results show that his ‘Make America Great Again’ slogan struck a chord with Americans.
The use of technology is increasing in all aspects of elections. There is no doubt that the latest technology, artificial intelligence, will have a huge impact on future elections. Discussions have already started. Maybe in the near future AI will be able to read the voter’s mind to know the name of his favorite candidate or party. If this ever happens, there will be no need for so many arrangements for elections, money will be saved. Voters will not have to rush to the polling station on the morning of the election, they can spend a pure holiday.
But the most scary thing is about the updated version of artificial intelligence Q Star. It is said that with this technology it will be possible to know the future of people. It means that who will vote for whom can be known by analyzing a whole picture. If this is really the case, how much threat can the electoral system be in the future, do you think? Please comment.
There will be more videos for you in the future on various IT topics. Thanks everyone. Stay well, stay healthy.
Women first started voting in New Zealand elections in 1893. Even at the beginning of the last century, women did not have the right to vote in European and American countries. As time has changed, women have gained the right to vote in all countries of the modern world. In 2015, women’s suffrage was introduced in the United Arab Emirates. Women currently have the right to vote in Vatican City elections.
Even though women got the right to vote, due to prevailing superstitions and bigotry, in several other countries including Pakistan, Afghanistan, the rate of participation of women in voting is still relatively low. Participation in elections is important for both men and women, but voting is an optional duty in most countries. However, voting is mandatory in twenty-two countries of the world, and there is also a provision of jail and fine if not given.
Belgium was the first to impose an obligation on citizens to exercise the right to vote. Brazil and Ecuador have compulsory voting, but this law has been relaxed for the illiterate.
Gambia has the funniest practice of voting for illiterate citizens. Gambians voted with marbles instead of ballots. This marble system is thought that the illiterate citizens will not be able to read the writing of the ballot. Voters take clear marbles and drop them into the box with the picture of their preferred candidate, after which the marbles are used to determine the outcome of the election. Of course, there is no way, 42 percent of people in Gambia, a country of 21 million people, are illiterate.
Not only education, but adulthood is also mandatory to be a voter. In 205 countries of the world, including Bangladesh, the minimum age for voting is 18 years. But in 11 countries of the world, including Austria, Ecuador, Argentina, you can become a voter at the age of 16. However, in Brazil-Argentina, 16 to 17-year-olds are not required to vote.
In Indonesia, getting voting rights with age is interesting again. In Indonesia, like our country, you can become a voter at the age of 18, but you can become a voter at any age if you are married. A similar system is in place in the Dominican Republic. Sadly, child marriage rates are high in both countries.
In Croatia and Serbia, only tax payers can vote, regardless of age. Meanwhile, the oldest voting age is in the Middle Eastern country of the United Arab Emirates, at the age of 25.
People’s representatives, however, try hard to make their choice before the election. That’s where publicity comes in. Before the election, there are various activities like procession-meeting, poster-making. But in contrast to our country, New Zealand, there is a ban on all kinds of campaigning before the election. This system of the New Zealand Election Commission is to ensure that the campaign cannot influence the minds of the voters.
When I come to the word of campaign, one cannot be mentioned. He is the former Prime Minister of Norway, Jens Stoltenberg. Before the election, the former prime minister used to go around the streets as a taxi driver to know the opinion and attitude of the voters. However, he later revealed his strange activities. Which made headlines.
The Election Commission is responsible for conducting fair elections, yet allegations of rigging are often heard from the losing parties after the elections. But Liberia’s 1927 election surpassed all records of rigging. Charles D. B. King, the chosen candidate for the service, received two hundred and thirty-four thousand votes. Interestingly, the total number of registered voters in that election was only 15,000. It has entered the Guinness Book of Records as the biggest ‘Election Fraud’.