“12th Fail মুভি ও আমাদের বিসিএস বাস্তবতা”
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বলিউডের খুব কম বাজেটের একটি সিনেমা ইতোমধ্যে দেশে বেশ সাড়া ফেলেছে। আপনার নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন কোন সিনেমার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বলছি টুয়েলেভথ ফেল মুভির কথা। ভারতের একটি অজো-পাড়াগাঁয়ের দরিদ্র্য পরিবারের সন্তান মনোজের আইপিএস অফিসার হওয়ার অদম্য সাহসী গল্প নিয়ে সিনেমাটি।
এতে দেখানো হয় মনোজ দ্বাদশ শ্রেণিতে হিন্দি বাদে সব বিষয়ে ফেল করে। একটি ঘটনা মনোজকে বদলে দেয় পুরোপুরি। থানার একজন সৎ ডিএসপি অফিসারকে দেখে ডিএসপি হবার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। কিন্তু শুরুতেই সবকিছু চুরি হয়ে গেলে নিঃস্ব হয়ে পড়ে মনোজ। শূন্য হাতে আবারও শুরু হয় স্বপ্ন পূরণের লড়াই। আরও বড় কর্মকর্তা হওয়ার যুদ্ধে নেমে সামলাতে হয় নানা প্রতিকূলতা। কখনো লাইব্রেরিতে ঝাড়ু দেওয়া, টয়লেট পরিষ্কার, আটার মিলে কাজ করার মতো কঠিন পরিশ্রম করে চালিয়ে নেয় পড়াশোনা। তারপরও মনোজ ব্যর্থ হয় তিনবার। অবশ্য যখনই ব্যর্থ হয়েছে, তখনই অনুপ্রেরণা পেয়েছে। সেই অনুপ্রেরণার জোরেই অবশেষে একদিন আইপিএস অফিসার হয় মনোজ।
সিনেমার এই কাহিনী তৈরি হয়েছে বাস্তব ঘটনাকে উপজীব্য করে। এই গল্পের থিমটাই ছিলো- হার মানা যাবে না কখনো। ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে আবার শুরু করো। গল্পের এই থিম রবার্ট ব্রুস ও মাকড়সার গল্পের সাথেও কিছুটা মিলে যায়। পরপর ছয়বার হেরে যাওয়ার পরও হতাশা কাটিয়ে রবার্ট ব্রুস ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে জন্মভূমি স্কটল্যান্ডকে মুক্ত করেছিলেন। বলা হয়, ক্ষুদ্র মাকড়সার বহুবারের চেষ্টায় জাল বোনা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই সিনেমা এমন একটি প্রেক্ষাপট আর বিষয়কে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে যা আমাদের দেশেরও লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবনের গল্পের সাথে একেবারে মিলে যায়।
কিভাবে মিলে যায় তা বলছি একটুপর।
তার আগে বলুন তো, আমাদের ছোটবেলায় যখন জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখতে বলা হতো তখন আমরা কী লিখতাম? সবাই কম বেশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট এবং শিক্ষক হওয়ার কথা লিখতাম, তাই না? কিন্তু এখনকার বাস্তবতা কী? ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিবিএস পাশ করা ছেলেটাও ছুটছে বিসিএসের পেছনে। ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ে তাদের কাছে আকর্ষনীয় পররাষ্ট্র, পুলিশ, প্রশাসন, রাজস্ব, কাস্টমস কিংবা অন্য কোন ক্যাডার। বাস্তবতা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে বিসিএস এখন এক সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে কম না।
আর বিসিএসকেন্দ্রিক বাস্তবতার এই চিত্র মনোজের গল্পের সাথে মিলে যাওয়ায় অনেকেই তো টুয়েলেভথ ফেল মুভি দেখে নতুন উদ্যোমে বিসিএস দেয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে হয়তো। যাদের সরকারি চাকরির বয়স পেরিয়ে গেছে তাদের মধ্যেও বাড়ছে আফসোস।
আমাদের দেশে বর্তমানে বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিষয়গত পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রথম বছর থেকে শুরু করে বিসিএসের প্রস্তুতি। এই চিত্রটা আপনাদের কাছে পরিষ্কার হবে যদি একবার কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ঢু মারতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কথাই বলি। এটি খোলে সকাল আটটায়। কিন্তু একটি সিট দখলের জন্য দুই থেকে এমনকি তিন ঘন্টা আগে থেকেই লাইব্রেরির বাইরে লাইন লেগে যায়। সকালে একবার সিট ধরতে পারলেই ব্যাস। ওই দিন সিট তার দখলে। লাইব্রেরিতে এই সিট ধরার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে যখন থেকে শিক্ষার্থীদের বিসিএসের পোঁকা মাথায় ঢুকেছে। শিক্ষার্থীরা সারা দিন লাইব্রেরিতে বসে বিষয়গত পাড়াশোনা বাদ দিয়ে ডুবে থাকে বিসিএস গাইডে। মুখস্তনির্ভর বিসিএসের প্রতি এই ঝোঁক দেশের অন্যসব পেশাকে মেধাশূন্য করে তুলছে না তো?
গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশে মোট বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। প্রতি বছর বছর এই সংখ্যা আরো বাড়ছে। দেশে বেকারদের জনসম্পদে পরিণত করতে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছে। কিন্তু অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে তরুণরা ছুটেন সরকারি চাকরির পিছে। বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।
কিন্তু এতো এতো প্রত্যাশীদের মাঝে বিসিএস ক্যাডার হয় ক’জন। প্রতিবার তিন-সাড়ে তিনলাখের বেশি আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু চাকুরি পায় ২ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার। তাহলে ভাবুন একটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় দেড়শো জন শিক্ষার্থী। তারপরও বিসিএস নামক সোনার হরিণ ধরার বাসনা নিয়ে বারবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। টুয়েলেভথ ফেলের- মনোজের সংগ্রামের মতো অনেক গল্প আমাদের দেশেও আছে। বিসিএস রেজাল্টের পর গণমাধ্যমে এমন সব অবিশ্বাস্য সাফল্যের গল্প অনুপ্রেরণা হয়ে আমাদের সামনে আসে।
প্রেক্ষপট কিন্তু এমন ছিলো না। দুই দশক আগেও বিসিএসকে লুক্রেটিভ জব হিসেবে দেখা হতো না। তখন করপোরেট কিংবা টেলকোর চাকরি ছিলো শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে। এরপর পছন্দের তালিকায় ঢুকে পড়ে ব্যাংক জব। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরির বেতন ভাতা বাড়ানো হয়, তখন থেকেই বিসিএস হয়ে উঠে আকর্ষনীয়।
তাছাড়া আমাদের রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থায় বিসিএসের চাকরিকে এখন ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এর কারণ কিন্তু শুধু চাকরির নিশ্চয়তা কিংবা আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নয়। মূল কারণটা হলো পাওয়ার স্ট্রাকচারে ঢুকে পড়ার বিষয়টি। যেমন ধরুন- বিসিএস দিয়ে একজন ধীরে ধীরে ডিসি, এসপি এমনকি সর্বোচ্চ সিনিয়র সচিব হতে পারে। ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স-এ এই ডিসি, এসপির অবস্থান কিন্তু সংসদ সদস্যের অনেক নীচে। কিন্তু জেলার সব দেখভালের দায়িত্ব থাকে ডিসির হাতে। মানে, কোন কাজ করতে গেলে একজন সংসদ সদস্যেরও ডিসির সহায়তার প্রয়োজন পড়ে। চাকরির ক্যারিশমা কাজে লাগাতে পারলে অবসরে যাওয়ার পর থাকে আরও বড় কোন পদে কাজের সুযোগ। হওয়া যায় এমপি-মন্ত্রীও। আর এই বাস্তবতায় ক্ষমতার লোভে পড়ে সবাই ছুটছে বিসিএসে।
গবেষকরা বলছেন, আমাদের দেশে চাকরির বাজার ছোট আর সেই সাথে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থায়ও ত্রুটি আছে। তাই বয়স ৩০ পেরোনোর আগে সরকারি বাদে অন্য কোন চাকরি করার কথা ভাবে কম। এতে চাকরির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দক্ষ ও মেধাবীরা নতুন জব সেক্টরে আসছে না।
উন্নত দেশগুলোতে এই চিত্র ঠিক উল্টো। সরকারি চাকরীর প্রতি তাদের আগ্রহ কম। তারা পেশা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেলারি আর ফিউচারের কথা ভাবে। জার্মানির কথা বলতে গেলে, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আয় করা যায় ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায়। প্রকৌশলী হওয়ার পাশাপাশি আইনজীবী, চিকিৎসক ও ব্যাংকার হওয়ার প্রবল আগ্রহ থাকে দেশটির শিক্ষার্থীদের। জাপানে আবার লুক্রেটিভ জব বিজনেস ম্যানেজারের চাকরি। এরপর চিকিৎসক, পাইলট এবং ব্যাংকারের ডিমান্ড বেশি। দেশটির তরুণদের মধ্যে সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ অনেক কম।
যুক্তরাষ্ট্রে পছন্দের পেশা হিসেবে চিকিৎসকের ধারে কাছেও নেই কোনটা। দেশটিতে স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত ব্যক্তিদের আয় সবচেয়ে বেশি। আর এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরও আগ্রহ বেশি। এরপর পাইলট আর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যসব। যুক্তরাজ্যে এখন নতুন ট্রেন্ড চলছে। আগে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, আর্কিটেক্ট হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকা শিক্ষার্থীরাও এখন ঝুঁকছে করপোরেট চাকরিতে। সবকিছুকে টেক্কা দিয়ে এখন দেশটিতে মার্কেটিং, সেইলস, আইটি, অ্যাডভার্টাইজিংয় আগ্রহের কেন্দ্রে।
কোরিয়ার গল্পটা একটু ভিন্নভাবে বলি।
প্রসিদ্ধ গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি হুন্দাই মোটরসের নাম তো শুনেছেন কমবেশি। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চুং ইয়ু-ট্যাং জন্মেছিলেন দরিদ্র্য কৃষক পরিবারে। অভাবকে জয় করতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন একাধিকবার। খরচ যোগাতে কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বাবার খামারের গরু পর্যন্ত। অদম্য চেষ্টা আর নিজের প্রতি প্রবল আত্মবিশ্বাস তাকে আজ এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। ভাবা যায়, শ্রমিকের কাজ করা চুং ইয়ু-ট্যাংয়ের কোম্পানিতেই এখন ৭৫ হাজার কর্মী এবং কোম্পানিটির বাৎসরিক আয় ১০ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।
দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার গল্পও চুংয়ের মতোই। মাত্র সত্তর বছর আগেও যে দেশটির সাধারণ মানুষ তিন বেলা খেতে পেত না, আর আজ তাদের গড় মাথাপিছু আয় তেত্রিশ হাজার ডলারেরও বেশি। দেশটির স্যামসাং, এলজির মতো কোম্পানিগুলো দুনিয়া কাঁপাচ্ছে। কিছুদিন আগে কোরিয়ান মুভি প্যারাসাইট অস্কারে সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ডও জিতেছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে সংস্কৃতি, সব ক্ষেত্রেই কোরিয়ানদের এতো এগিয়ে যাওয়ার কারণ তারা সব সেক্টরকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারি চাকরীর চেয়ে প্রযুক্তি কিংবা সংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তরুণদের আকৃষ্ট করতে পেরেছিলো বলেই তারা আজ উন্নত দেশের কাতারে। কোরিয়ানদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর গল্প জানাবো আগামীতে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
The movie ‘Twelfth Fail’ also failed
Greetings to all.
A very low budget Bollywood movie has already received quite a response in the country. You must have guessed which movie I am referring to. I am talking about the movie Twelfth Fail. The film tells the humble and courageous story of Manoj, the son of a poor family in rural village, India, who becomes an IPS officer.
It shows Manoj failing all subjects except Hindi in class 12th. An incident changes Manoj completely. Seeing an honest DSP officer of the police station, he decided to become a DSP. He left home to fulfill his dreams. But when everything is stolen in the beginning, Manoj becomes destitute. The fight to fulfill the dream started again with empty hands. In the battle to become a bigger official, one has to deal with various adversities. Sometimes he continues his studies by doing hard work like sweeping the library, cleaning toilets, working in flour mills. Still Manoj failed three times. Of course, whenever you fail, you get inspiration. Due to that inspiration, Manoj finally became an IPS officer one day.
The story of this movie is based on real events. The theme of this story was – Never give up. Shake off failure and start over. This theme of the story is also somewhat similar to the story of the Robert Bruce and the spider. After losing six times in a row, Robert Bruce fought against the English forces and liberated his native Scotland. It is said that he was inspired by watching a tiny spider weave its web through repeated attempts. But this movie is based on a context and subject which is very similar to the life story of lakhs of students in our country too.
I’ll tell you how it fits later.
Before that, tell us, when we were asked to write a life goal essay when we were children, what did we write? Everyone wrote about becoming more or less a doctor, engineer, pilot and teacher, right? But what is the current reality? The boy who passed engineering and MBBS is also running after BCS. Foreign affairs, police, administration, revenue, customs or any other cadre are more attractive to them than medical-engineering. The reality has reached such a level that BCS is now no less than an infectious disease.
And because this picture of BCS-centered reality matches with Manoj’s story, many people may have started preparing to give BCS in a new way after watching Twelfth Fail movie. Regret is also growing among those who have past age for government job.
Currently in our country, especially in government universities, students who get a chance start preparing for BCS from the first year by excluding subject studies. This picture will be clear to you if you visit any public university library.
Let’s talk about the Central Library of Dhaka University. It opens at eight in the morning. But lines form outside the library two to even three hours in advance to grab a seat. If you can grab a seat once in the morning, that’s enough. The seat is in his possession that day. The race to grab a seat in the library has been brewing ever since the BCS bug entered the minds of students. Students sit in the library all day and immerse themselves in the BCS guide, leaving aside the subject matter. Is this tendency towards memorizing BCS of the students making other professions of the country meritless?
According to media reports, the total number of unemployed in the country is about 26 lakh. This number is increasing every year. The government is providing technical and technical training to the unemployed in the country to turn them into public resources. Encouraging entrepreneurship. But thinking about the economic and social security, the youth ran after government jobs. Especially, most of the students dream of becoming BCS cadre.
But among so many aspirants, there are few BCS cadres. More than three and a half lakh applications are submitted every time. But the jobs offer are got by 2000 to maximum 2500. So imagine, around 150 students are competing for a post. Still, they kept trying again and again with the desire to catch the golden deer, named BCS. There are many stories like twelfth feller-Manoj struggle in our country too. After the BCS results, all such incredible success stories in the media come in front of us as inspiration.
But the context was not like that. Even two decades ago, BCS was not seen as a lucrative job. Back then, corporate or Telco jobs were at the top of students’ choices. Then the bank job entered the list of preferences. Since 2015 government job salary allowance has been increased, since then BCS has become attractive.
Moreover BCS jobs are now valued differently in our state and social system. The reason for this is not only job security or perks. The main reason is the penetration of the power structure. For example – with BCS one can gradually become DC, SP or even the highest senior secretary. The position of this DC, SP in Warrant of Presidency is far below that of MP. But all the maintenance of the district is in the hands of the DC. Means, even a member of parliament needs the assistance of DC to do any work. If you can use the charisma of the job, there is a job opportunity in a bigger position after retirement. Can become MP-minister too. And in this reality everyone is running to BCS because of the greed of power.
Researchers say that the job market in our country is small and the higher education system is also flawed. Therefore, before the age of 30, think less about any other job except government. This is destroying the job balance. Skilled and talented people are not coming to new job sectors.
In developed countries the picture is just opposite. They are less interested in government jobs. They think about salary and future while deciding career. Speaking of Germany, the highest earning profession in the country is engineering. Apart from becoming engineers, students of the country have a strong interest in becoming lawyers, doctors and bankers. In Japan Business Manager Jobs is more Lucrative. Then doctors, pilots and bankers are in high demand. Interest in government jobs is very low among the youth of the country.
Not even close to being a doctor as a preferred profession in the United States. People working in the health sector have the highest income in the country. And students are also more interested in this matter. Then pilots and computer engineers and others. There is a new trend going on in the UK now. Students who had dreams of becoming doctors, engineers, barristers, architects are now leaning towards corporate jobs. With everything ace, marketing, sales, IT, advertising are now the center of interest in the country.
Let’s tell the story of Korea a little differently.
You have heard more or less the name of famous car manufacturer company Hyundai Motors. The founder of this company, Chung Yu-Yung, was born into a poor peasant family. He ran away from home several times to overcome poverty. He even sold the cows of his father’s farm without informing anyone to meet the expenses. Unremitting efforts and strong self-confidence have brought him to where he is today. It is thought that Chung Yu-Yung’s company, where the workers work, now has 75 thousand employees and the annual income of the company is close to 10 billion dollars.
South Korea’s story as a country is similar to Chung’s. Even just seventy years ago the common people of that country could not eat three meals a day, and today their average per capita income is more than thirty three thousand dollars. The country’s companies like Samsung, LG are shaking the world. A few days ago, the Korean movie Parasite also won the most awards at the Oscars. From technology to culture, Koreans are so advanced because they give equal importance to all sectors. Today, they are among the developed countries because they have been able to attract young people in the fields of technology or culture rather than government jobs. I will tell the story of Koreans standing tall in the future.
Thanks everyone.
Stay healthy, stay well.