বাংলাদেশে ধূমপানের হার এত বেশি কেন?
মানুষ সিগারেট কেন খায়? কী মনে হয়? বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে, ‘কুল’ সাজতে, নাকি জীবনে একটু ‘হ্যাপেনিং’ ভাব আনতে? আসলে এর কোনটাই না। মূলত: ধূমপানের পেছনে কাজ করে একটা বিশ্বাস। তো কী সেই বিশ্বাস?
ধূমপানের পেছনের বিশ্বাসটা হলো ‘এটা টেনশন কমায়।’ ধূমপায়ীরা মনে করেন, দীর্ঘক্ষণ কাজের পর সিগারেটে টান দিলেই বোধহয় শরীর আর মন একটু চাঙ্গা হলো। এই বিশ্বাস কিন্তু পুরোটা ঠিক না। এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করার আগে কিছু ভয়ানক তথ্য দিতে চাই, আপনি কি জানেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন কয়টি সিগারেট আর বিড়ি বিক্রি হয়? উত্তরটা, সাড়ে উনিশ কোটি। তারমধ্যে, প্রতিদিন ১২ কোটি ৩০ লাখ হচ্ছে সিগারেটের স্টিক আর বাকি সাত কোটি ২০ লাখ বিড়ি। টাকার সঠিক অংক জানা না গেলেও শুধু একটি তামাক কোম্পানি তাদের হিসেবে দেখিয়েছে, বছরে তারা ৩৬ হাজার কোটি টাকার সিগারেট বিক্রি করছে। ভাবা যায়, মোটা অংকের এই অর্থ আমরা ধোঁয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছি।
বাংলাদেশের দুই কোটিরও বেশি মানুষ ধূমপানে আসক্ত। এদের বেশিরভাগ মনে করে, ধূমপান তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। এর কারণ তামাকজাতীয় পদার্থে থাকা নিকোটিন যখন ধোঁয়ার কুন্ডলী হয়ে শরীরে ঢোকে, তখন ডোপামিনের নিঃস্বরণ হয়। ডোপামিন মূলত: এক ধরনের হরমোন। যার কাজই হলো মানুষের মনকে চাঙ্গা রাখা! আর ডোপামিনের সেই মুহূর্তের ম্যাজিকটাকেই আমরা ভুল করে ‘পিস অব মাইন্ড’ ভেবে বসি। মনোবিজ্ঞান অবশ্য বলে, এই বিশ্বাসে যারা থাকেন তারা নিজের পায়েই নিজেই কুড়াল মারেন। কারণ তাৎক্ষণিক আরাম পেলেও পরে উইথড্রল সিম্পটম, মানে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আর ধূমপানের প্রতি যে মারাত্মক টান তৈরি হয়, সেটা কিন্তু মানসিক চাপ আরো বাড়িয়ে দেয়।
অবশ্য ধূমপায়ীরা কে শোনে কার কথা। আর এ কারণেই প্রতি বছর বাংলাদেশের বাজারে সিগারেটের দাম বাড়লেও ক্রেতা কমে না, উল্টো বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ- বলছে, যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী আছে সে সব দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকরা ৪০ ভাগ। আর অবাক করার মত তথ্য হল, দেশে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যাও পুরুষের অর্ধেক। সহজ করে বোঝালে, একশো পুরুষ ধূমপায়ী থাকলে নারী ধূমপায়ী আছে ৫০ জন। শুনতে আজব মনে হলেও, দেশে দিনকে দিন নারী ধূমাপায়ীর সংখ্যা যে বাড়ছে সেটিও উঠে এসছে পপুলেশন রিভিউ রিপোর্টে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চার বছরের ব্যবধানে নারী ধূমপায়ীর হার ৭ থেকে বেড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন বলছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশে শুধু একটি কোম্পানি ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার সিগারেট বিক্রির রেকর্ড করেছে। আর বিক্রির বিপরীতে সব খরচ ও কর বাদ দিয়ে কোম্পানিটির লাভ ছিলো প্রায় হাজার কোটি টাকা।
একটু আগে ধূমপায়ী দেশের যে তালিকার কথাটা বললাম, তাতে বাংলাদেশ থেকে ভালো অবস্থানে আছে পাশের দেশ ভারত ও পাকিস্তান। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান আর আফ্রিকার দেশগুলোতে ধূমপানের হার একেবারেই কম। তবে কে বেশি, কে কম – এই প্রশ্নে না গিয়ে বাংলাদেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির পেছনের কারণটা কী, সেই দিকটা নিয়ে একটু বলি। প্রথম কারণটাই হচ্ছে সর্বত্র পাওয়া যায় এই সিগারেট। গ্রাম শহর, অলি-গলি- কোথায় নেই?
ধূমপানে আসক্তি বাড়ার আরেকটা মজার কারণও আছে। আশেপাশে তাকালেই তা বুঝতে পারবেন। এই কারণটা হচ্ছে আমরা এই সিগারেটকেও কালচারের অংশ বানিয়ে ফেলেছি! ধূমপান যতই খারাপ হোক বা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে যতোই সতর্কীকরণ ছবি দেয়া থাকুক, আমরা কিন্তু এটাকে সোশ্যালাইজেশনেরও মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছি। বন্ধুদের আড্ডা, অফিসের গলি বা ভার্সিটিতে বড় ভাইদের সাথে- “সিগারেট”- অনেক আলাপ সহজ করে দেয়। তারমানে নতুন কারো সাথে সম্পর্ক তৈরি করা বা কোন কমিউনিটির সাথে ফিট ইন করার জন্যও অনেকের সিগারেটে হাতেখড়ি হয়।
সাইকোলজির একটা টার্ম আছে: ফোমো। মানে, ফিয়ার অব মিসিং আউট! সোজা কথায় কোনো প্ল্যান থেকে বা কোনো দল থেকে বাদ পড়ে যাবার ভয়। এটা আমাদের সামাজিক জীবনের একটা বড়সড় দ্বন্দ্বের জায়গা। সমাজ থেকে, বন্ধুদের সার্কেল থেকে কিংবা অফিস কলিগদের আড্ডা থেকে বাদ পড়ার ভয় থেকে মানুষ অনেক কিছুই করতে রাজি থাকে- আর সেই সুযোগে ধূমপানের মত অভ্যাস আমাদের পেয়ে বসে।
এই ভিডিওটি কিন্তু আপনার পাশাপাশি আপনার বন্ধু বা কাছের মানুষের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়। ধূমপানের ভয়াবহতা আপনি জানুন, শেয়ার করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন।
২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি জরিপের দিকে চোখ দিলে ‘বাংলাদেশে কেন ধূমপানের হার এত বেশি’, সেই প্রশ্নের ভালো একটা উত্তর পাওয়া যাবে। উত্তরটা হচ্ছে, এই দেশের অর্থনীতি। জরিপের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ৮০ ভাগ তামাক ব্যবহারকারীই বাস করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ওভারভিউ এর তথ্যমতে, বাংলাদেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো এই নিম্ন- মধ্যম আয়ে আটকে আছে।
যেসব, দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত সেসব দেশে দেখবেন ধুমপায়ীর সংখ্যাও কম। সোজা কথায় যদি বলি, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোতে মানুষের বিনোদনের অনেক ধরণের উপাদান থাকে, তাই তাদেরকে সস্তা সুখানুভূতি তৈরির জন্য সিগারেট ধরানোর প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া এন্টি টোব্যাকো ক্যাম্পেইন তো আছেই। তার মানে পকেটের টাকার সাথে মানসিক স্বাস্থের সম্পর্ক আছে, আর মানসিক স্বাস্থের সাথে সম্পর্ক আছে ধূমপানের।
এবার আসি ধূমপানের ক্ষতির দিকটায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের কারণে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যায় আরও প্রায় ২৫ হাজার। ক্যানসার, হৃদরোগসহ জটিল আরও বহু রোগের জন্য দায়ী কিন্তু ধূমপান। যারা ধূমপান করেন না তারাও কিন্তু এর ভুক্তভোগী। গবেষণা তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ৪ কোটির বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়, যার সিংহভাগই নারী।
অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে বলতে গেলে অনেকেই বলেন, সিগারেট কোম্পানীর বিশাল অংকের ট্যাক্স দেশের অর্থনীতির জন্য খুব জরুরী। আসল সত্যিটা কিন্তু ভিন্ন। সিগারেট থেকে বাংলাদেশের আয় যত তার থেকে ব্যয় অনেক বেশি। কিভাবে? সীমাক্ষা বলছে, সিগারেট কোম্পানিগুলো থেকে প্রতিবছর সরকার যে রাজস্ব পাচ্ছে, পরোক্ষভাবে তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায়। ‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র ‘গ্লোবাল ক্যান্সার কন্ট্রোল ও ইকোনমিক অ্যান্ড হেলথ পলিসি রিসার্চ ইউনিট’ ২০১৮ সালে বাংলাদেশী ধূমপায়ীদেরকে নিয়ে একটি গবেষণা করে। তারা জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের কারণে স্বাস্থ্যখাতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৮ হাজার ৪ শো কোটি টাকা। এই ব্যয়ের ৭৬ শতাংশের খরচ মিটিয়েছে তামাক ব্যবহারকারীর পরিবার। আর বাকি ২৪ শতাংশ খরচ এসেছে জনস্বাস্থ্য খাতের বাজেট থেকে। যা ওই অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে সরকারী ব্যয়ের প্রায় ৯ শতাংশ।
পরিবেশ দূষণেও দায়ী তামাক। প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার কোটি পিস সিগারেটের ফিল্টার আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া হয়। সিগারেটের এই ফেলে দেয়া ফিল্টারগুলো প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে প্রায় এক দশক সময় নেয়। তার আগে ৭ হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় ফিল্টার থেকে।
জানলে অবাক হবেন, আমাদের দেশে প্রকাশ্যে ধূমপানের বিপক্ষে আইন আছে। ২০১৩ সালেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে মিল রেখে আইনটি করা হয়। আইনের প্রয়োগ থাকলে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানা দিতে হতো। কিন্তু এই আইনের কখনো প্রয়োগ কি কেউ দেখেছেন?
এত কিছু জানার পর আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন তো- সিগারেট কি আপনি খাচ্ছেন, না কি সিগারেট আপনাকে খাচ্ছে? সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আসুন, সবাই মিলে ধূমপানমুক্ত সমাজ গড়ি। সুস্থ থাকি, অন্যকে সুস্থভাবে বাঁচতে দেই।
সবাইকে ধন্যবাদ, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
The Smoking Epidemic in Bangladesh
Greetings to all.
Why do people smoke? What do you think? Is it to fit in with friends, to appear ‘cool,’ or to add a bit of excitement to life? Surprisingly, it’s none of the above. At the core, there’s a belief driving smoking, a belief that it helps ‘reduce tension.’ Smokers often perceive that taking a puff after a long day provides a refreshing break for both body and mind. However, this belief is not entirely accurate.
Before delving into this topic, consider a startling fact: every day, Bangladesh sees the sale of nineteen and a half crores of cigarettes and bidis combined. Of these, 12.3 million are cigarette sticks, and the remaining 7.2 million are bidis. While the exact monetary value remains unknown, a single tobacco company alone reported annual cigarette sales worth 36 thousand crore rupees. This enormous sum is seemingly going up in smoke.
Over two crore people in Bangladesh are addicted to smoking, with the majority believing that smoking offers instant relief. The nicotine in tobacco releases dopamine, a hormone that plays a role in keeping minds strong. The immediate sense of relief is often mistaken for ‘peace of mind.’ However, psychology suggests that this belief is self-sabotaging. Despite providing immediate relief, smoking leads to withdrawal symptoms, side effects, and intense cravings, ultimately increasing stress.
Smokers do not care about anything. Despite the annual increase in cigarette prices in the Bangladesh market, the number of buyers doesn’t decrease; instead, it continues to rise. According to the 2023 World Population Review, Bangladesh ranks eighth globally in the list of countries with the highest number of smokers. Shockingly, 40 percent of smokers in Bangladesh fall between the ages of 15 and 25, and the number of female smokers is half that of males. To put it simply, if there are 100 male smokers, there are 50 female smokers. Although it may sound surprising, the number of women smokers in the country is steadily increasing. The population review report supports this trend, revealing that the rate of female smokers has risen from 7 to 17 percent in just four years.
British American Tobacco’s 2023 report says that in the first six months of the year, only one company in Bangladesh recorded sales of cigarettes worth Tk 21,230 crore. And against the sale, excluding all costs and taxes, the company’s profit was about 1000 crores taka.
In the list of smoking countries that I mentioned earlier, neighboring countries India and Pakistan are in a better position than Bangladesh. Scandinavian and African countries have very low smoking rates. However, without delving into the question of who has more or less, let’s discuss the reasons behind such a dire situation in Bangladesh. The primary reason is the widespread availability of cigarettes—they can be found everywhere, from villages to cities, and on every street.
There is another interesting reason for the increase in smoking addiction, evident simply by observing our surroundings. Cigarettes have become ingrained in our culture, despite their well-known health risks and the warning pictures on cigarette packets. We’ve integrated smoking into our socialization—‘cigarette talk’ facilitates conversations in various settings, be it among friends, in office corridors, or with older siblings at university. This implies that many individuals resort to cigarettes as a means to establish connections with new acquaintances or to integrate into a community.
Psychology has a term: FOMO, which stands for the fear of missing out. In simpler terms, it’s the fear of being left out of plans or a team, and it often becomes a significant conflict point in our social lives. People are willing to do many things out of fear of being excluded from society, their circle of friends, or office conversations. Unfortunately, habits like smoking can result from this fear.
This video is essential not only for you but also for your friends and close ones. Understanding the dangers of smoking is crucial, so share this information and help spread awareness.
Examining a World Health Organization survey from 2020 provides a good answer to the question of why the smoking rate is so high in Bangladesh. The answer lies in the country’s economy. According to the survey, 80% of the world’s tobacco users reside in low and middle-income countries. The World Bank’s Bangladesh Overview indicates that a large population in Bangladesh still falls within this low-middle income bracket.
In economically developed countries, the number of smokers tends to be lower. Simply put, people in economically developed countries have various forms of entertainment, reducing the need for cheap pleasures like smoking. Additionally, there are anti-tobacco campaigns in these countries. This indicates a link between pocket money, mental health, and smoking.
Now, let’s address the harms of smoking. Research shows that 126,000 people die every year due to smoking, and an additional 25,000 die from second-hand smoke. Smoking is responsible for numerous diseases, including cancer and heart disease, affecting not only smokers but also non-smokers. Research data reveals that more than 40 million adults in Bangladesh are exposed to secondhand smoke at home, with the majority being women.
When discussing economic loss, many people argue that the substantial taxes from cigarette companies are crucial for the country’s economy. However, the reality is different. Bangladesh’s income from cigarettes surpasses its expenditure. According to Seemaksha, the annual revenue the government receives from cigarette companies is more than offset by the indirect spending on treating people suffering from tobacco-related diseases.
The American Cancer Society’s Global Cancer Control and Economic and Health Policy Research Unit conducted a study on Bangladeshi smokers in 2018. They reported that in the financial year 2018-19, the total expenditure on the health sector due to tobacco use was about 8 thousand 4 billion taka. A significant 76 percent of these costs were borne by the families of tobacco users, while the remaining 24 percent came from the budget of the public health sector—equivalent to about 9 percent of the government’s health expenditure in that financial year.
Tobacco is also a culprit in environmental pollution. Approximately 7 billion pieces of cigarette filters are discarded as waste every year, taking about a decade to biodegrade. During this period, more than 7 thousand harmful chemicals are released from the filters.
Surprisingly, there is a law against smoking in public in our country, enacted in 2013 in conjunction with the World Health Organization. If enforced, smoking in public places could result in a fine of Rs 300. However, the application of this law remains questionable.
After learning all this, ask yourself – are you consuming cigarettes, or are cigarettes consuming you? The time is not over yet. Let’s collectively strive for a smoke-free society. Stay healthy, and let others live healthy. Thank you all, stay well.