শুভেচ্ছা সবাইকে।
রাত-দুপুরে হঠাৎ জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। ডাক্তার এলেন তার চিরাচরিত ওষুধের কালো ব্যাগটা নিয়ে। হাতে পালস চেক করলেন, স্টেথোস্কোপ দিয়ে হার্টবিট দেখলেন, জ্বরটা মাপলেন থার্মোমিটারে। কালো ব্যাগটা খুলে ওষুধ বের করলেন, একটা নাপা ট্যাবলেটের অর্ধেকটা খাইয়ে দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বর নেমে গেল।
নব্বই দশকেও যাদের ছেলেবেলা কেটেছে, তাদের কাছে এটা খুবই পরিচিত একটি চিত্র।
এখন সময়টা পাল্টেছে। সামান্য ঠান্ডা-জ্বর সারাতেও ডাক্তাররা বাধ্য হয়েই দিচ্ছেন এন্টিবায়োটিক। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ সারাতে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প নেই, কথাটা সত্য কিন্তু ভয়ের কারণটা হলো, কিছু কিছু রোগের ব্যাকটেরিয়া এতোটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, এন্টিবায়োটিকেও সারছে না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট।
ঠিক কী এমন হলো? ওষুধের শক্তি কমে গেল, নাকি জ্বরের শক্তি বেড়ে গেল? অর্ধেক নাপা যেখানে কাজ করতো, সেখানে এন্টিবায়োটিকও ব্যর্থ হচ্ছে? রহস্যটা কী?
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টের মতো খটমটে শব্দকে একটু সহজ করে বলি। এন্টিবায়োটিককে গবেষকেরা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন। যে এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, তাকে বলে এন্টিবায়োটিক সেনসেটিভ। আর যে এন্টিবায়োটিকে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমে আসে তাকে বলে এন্টিবায়োটিক ইন্টারমিডিয়েট। কিন্তু এন্টিবায়োটিক দেয়ার পরও যদি ব্যাকটেরিয়ার ওপর কোন প্রভাব না পড়ে, তাকে বলা হচ্ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট।
গবেষকরা বলছেন, যেসব এন্টিবায়োটিক আগে ব্যাকটেরিয়ার জন্য সেনসেটিভ ছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে এন্টিবায়োটিক ইন্টারমিডিয়েট কিংবা রেজিস্টেন্ট হয়ে উঠছে। ফলে এসব এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারছে না, আর রোগও সারছে না, প্রয়োজন হচ্ছে নতুন এন্টিবায়োটিকের।
কিন্তু কেন হচ্ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট? ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ সারাতে আমরা যখন কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে শুরু করি কিন্তু কোর্স ফুল হওয়ার আগেই ওষুধ খাওয়াটা বন্ধ করে দিই, তখন কিছু ব্যাকটেরিয়া বেঁচে যায়। ফলে রোগ হয়তো সাময়িকভাবে ভালো হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এন্টিবায়োটিক থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলোর শরীরে এক ধরণের প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যাচ্ছে, সেসব ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি তো বটেই, একই ব্যাকটেরিয়া যখন অন্য কাউকে আক্রমণ করে, তার শরীরও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়ে। অর্থাৎ পুরনো এন্টিবায়োটিক তাদের শরীরেও আর কাজ করে না। এভাবে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট রোগী বাড়ছে।
উদ্বেগের বিষয় হল, ব্যাকটেরিয়া যত দ্রুত নিজেদের প্যাটার্ন পরিবর্তন করছে, তার তুলনায় নতুন এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার হচ্ছে অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি নতুন এন্টিবায়োটিক তৈরি হতে গড়ে সময় লাগছে ১৫ বছর কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি করতে সময় লাগছে মাত্র ১ বছর।
পরিবর্তিত ব্যাকটেরিয়ার বিপরীতে যদি কার্যকরী এন্টিবায়োটিক তৈরি না হয়, তাহলে পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা কল্পনা করলেও গা শিউরে উঠতে পারে।
দুটো ছোট্ট ফ্যাক্ট বলি, ১৯২৮ সালে স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪৭ বছর। অবাক করা তথ্য হলো, এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কার মানুষের গড় আয়ু প্রায় ২০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন মূদ্রার উল্টো পিঠটা ভাবুন, যদি এন্টিবায়োটিক এভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিতে থাকে, তাহলে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে মানুষের মৃত্যুহার কতটা বাড়বে – বুঝতেই পারছেন।
অবশ্য ফ্লেমিং ১৯৪৫ সালে নোবেল মঞ্চেই বলেছিলেন, “একটা সময় আসবে যখন প্রতিটা দোকানে পেনিসিলিন বিক্রি শুরু হবে বিনা প্রেসক্রিপশনে। তখনই ঘটবে বিপত্তি। এই ডোজ নেওয়ার অজ্ঞতার কারণে শরীরের রোগজীবাণুগুলো পেনিসিলিনে নির্মূল হবে না। উল্টো তাঁরা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়বেন।” একশ বছরও পার হয়নি, স্বয়ং ফ্লেমিংয়ের ভবিষ্যদ্বানী মিলে যাচ্ছে পুরোপুরি। তার মানে বিপদ কড়া নাড়ছে দরজায়।
এক সময় যক্ষা ছিলো প্রাণঘাতী, দেশে দেশে এই রোগ মহামারি হয়ে কেড়ে নিতো শতশত প্রাণ। এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর যক্ষাকে জয় করেছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অনেক দেশেই যক্ষার নতুন জীবাণু পাওয়া গেছে, যার বিরূদ্ধে আগের এন্টিবায়োটিকগুলো আর তেমন কাজ করছে না। তাই যে কোন সময় যক্ষা ফিরে পেতে পারে তার বিধ্বংসী রূপ। আর যদি এমনটা হয়, তবে মানব সভ্যতা পড়তে পারে অস্তিত্ব সংকটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, এন্টিবায়োটিকের ভুল ও অসচেতন ব্যবহার যক্ষা-নিউমোনিয়ার মতো রোগগুলোর চিকিৎসা কঠিন বা একরকম অসম্ভব করে তুলবে।
শুধু যক্ষা নয়, ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগগুলো যে কোন সময় ভয়ংকর রূপ নিতে পারে, যদি এন্টিবায়োটিক ঠিক মতো কাজ না করে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না কেন?
সহজে বললে কারণটা হচ্ছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা। যে কোন ফার্মেসিতে যেমন পাওয়া যায়, তেমনি ফার্মেসির কর্মচারীরাও কখনো কখনো রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার, যা সম্পূর্ণ বে-আইনী।
আবার কখনো রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ীই এন্টিবায়োটিক নিচ্ছে কিন্তু কোর্স শেষ করছে না। কিছুটা সুস্থ হওয়া মাত্র ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে করে রোগ হয়তো আপাতত সেরে যাচ্ছে কিন্তু ক্ষতিটা হচ্ছে অনেক গভীরে।
এন্টিবায়োটিক ফুল কোর্স শেষ না করলে কিছু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়, আবার কিছু টিকেও যায়। টিকে যাওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে হয়তো সরাসরি ক্ষতি করতে পারে না, কিন্তু তাদের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। এরা বংশবিস্তারের সময় জিনগতভাবে শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। ফলে নতুন তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়ার বিরূদ্ধে আর পুরনো এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। প্রয়োজন হয় নতুন এন্টিবায়োটিকের।
২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এন্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা কমাতে মেডিসিনগুলোকে তিনটি পর্যায়ের জন্য আলাদা করে দেয়। প্রথম ধাপকে বলছে এক্সেস। এই এন্টিবায়োটিক অকার্যকর হওয়ার প্রবণতা কম, এদের বেশি ব্যবহার করতে বলা হয়। দ্বিতীয় ধাপ হলো ওয়াচ। এই শ্রেণির এন্টিবায়োটিক অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। আর তৃতীয় ধাপের রিজার্ভ শ্রেণির এন্টিবায়োটিক শুধুমাত্র আইসিইউতে মরনাপন্ন রোগীদের জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।
আইইডিসিআর ও আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এক্সেস শ্রেণির এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ, রিজার্ভ শ্রেণির ক্ষেত্রে এ হার শুন্য দশমিক আট শতাংশ। কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হলো, ওয়াচ শ্রেণির এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি, ৬৪ শতাংশ। এই ডেটা বিশ্লেষণ করে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, যে এন্টিবায়োটিক আমাদের সবচেয়ে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করার কথা, তা আমরা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ২০১৭ সালে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুকে যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রধান মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইউরোপ আমেরিকায় তবুও ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মানা হয়, রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনভাবেই ফার্মেসি থেকে এন্টিবায়োটিক কেনা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশে জ্বর-সর্দির মতো সাধারণ রোগেও আমরা কোনরকম নির্দেশনা ছাড়াই এন্টিবায়োটিক কিনে খেতে শুরু করছি। এ কারণেই প্রচুর পরিমাণ এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট রোগীর দেখা মিলছে, যার পরিণতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে পড়ছে।
অবশ্য এন্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ব্যাপারটা আলোচনায় আসছে কম।
আরেকটি বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। যেমন ধরুন, প্রোটিনের জন্য আমরা মাছ মাংস খাই। ফার্মে গরু, ছাগল, মুরগি কিংবা চাষের মাছের রোগ ঠেকাতে এন্টিবায়োটিক নিয়মিত ব্যবহার করছে খামারীরা। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পশু-পাখির ওষুধ ব্যবহার না করে মানুষের এন্টিবায়োটিকই ব্যবহার করে সহজলভ্যতার জন্য। আর অপরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার তো আছেই।
শুরুতেই বলেছি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট কতটা ভয়াবহ হতে পারে। নারীদের সন্তান জন্মদান থেকে শুরু করে সামান্য হাত কেটে যাওয়া; যে কোন কিছুতেই ঘটতে পারে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন; আর কার্যকরী এন্টিবায়োটিক পাওয়া না গেলে সামান্য আঙুল কেটে যাওয়া থেকেও হতে পারে মৃত্যু, যে কোন অস্ত্রপচারও হয়ে উঠবে অসম্ভব। চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো, অসুস্থ হয়ে আমরা যে ওষুধের ওপর ভরসা করে থাকি, সেই ওষুধই যদি কাজ না করে তাহলে অবস্থাটা কী হবে? এক-একটা সাধারণ রোগেই প্রচুর মানুষের মৃত্যু হতে থাকবে প্রতিনিয়ত।
আমরা কি পৃথিবীটাকে সেই ভয়ংকর মৃত্যুপুরীর দিকে ঠেলে দিবো? নাকি একটু সচেতন হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ পৃথিবী রেখে যাবো? সিদ্ধান্ত আপনার হাতে!
ধন্যবাদ সবাইকে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Antibiotic Registrant
Greetings to all.
The body is suddenly burning with fever. The doctor came with his traditional black medicine bag. He checked the pulse with his hand, saw the heartbeat with a stethoscope, and measured the fever with a thermometer. He opened the black bag and took out the medicine, taking half of a Napa tablet. After a while, the fever went down. It is a very familiar scene to those who grew up in the ’90s.
Now the time has changed. Doctors are forced to give antibiotics even to cure minor colds and fever. While it is true that there is no alternative to antibiotics to cure bacterial diseases, the reason for fear is that the bacteria of some diseases have become so strong that even antibiotics do not cure them. In medical terms, this condition is called antibiotic resistance.
What exactly happened? Has the strength of the medicine decreased, or has the strength of the fever increased? Antibiotics are failing where half the Napa worked? What is the secret?
Let’s simplify the tricky word like antibiotic-resistant. Researchers divide antibiotics into three categories. Bacteria that are killed by antibiotics are called antibiotic-sensitive. The antibiotic that reduces the growth of bacteria is called antibiotic intermediate. But if there is no effect on the bacteria even after giving antibiotics, it is called antibiotic-resistant.
Researchers say that bacteria that were previously sensitive to antibiotics are slowly becoming antibiotic intermediates or resistant. As a result, these antibiotics are not able to destroy the bacteria, and the disease is not cured; new antibiotics are needed.
But why is antibiotic-resistant? When we start taking an antibiotic drug to treat a bacterial infection but stop taking the drug before the course is complete, some bacteria survive. As a result, the disease may be getting better temporarily, but the bacteria that survive the antibiotic develop a kind of immune system, and the antibiotic no longer works for those bacteria. So when the same bacteria infect someone else, the infected person also becomes antibiotic-resistant. In other words, the old antibiotics no longer work in their bodies. In this way, antibiotic-resistant patients are increasing through bacterial infection from one body to another.
The matter of concern is, new antibiotics are being discovered far less quickly than bacteria are changing their patterns. According to experts, it takes an average of 15 years to develop a new antibiotic, but under current conditions, it takes only 1 year for bacteria to develop antibiotic resistance. If effective antibiotics are not developed against the mutated bacteria, the situation is frightening to imagine.
I am sharing two little facts, two small facts: before Sir Alexander Fleming’s discovery of penicillin antibiotic in 1928, the average human life expectancy was only 47 years. The surprising fact is that the discovery of antibiotics has increased the average life expectancy of people by almost 20 years. Now think of the reverse side of the coin; if antibiotics stop working like this, how much will the death rate of people due to bacteria increase? – you must understand.
However, Fleming said on the Nobel stage in 1945, “A time will come when penicillin will be sold in every shop without a prescription. That’s when the problem will happen. The body’s pathogens will not be eradicated by penicillin due to ignorance of taking this dose. On the contrary, they will become resistant.” Less than a hundred years later, Fleming’s own predictions are coming true. That means danger is knocking at the door.
At one time, tuberculosis was deadly; this disease took hundreds of lives as an epidemic in the country. Medical science conquered tuberculosis after the discovery of antibiotics. But recently, a study has shown that in many countries of the world, new strains of tuberculosis have been found against which the previous antibiotics are no longer effective. Therefore, tuberculosis can return to its destructive form at any time. And if that happens, then human civilization may fall into an existential crisis. The World Health Organization also says that the wrong and unconscious use of antibiotics will make the treatment of diseases such as tuberculosis and pneumonia difficult or even impossible.
Not just tuberculosis; bacterial diseases can turn deadly at any time if antibiotics don’t work properly. But why is this happening? Why are antibiotics not working? Simply put, the reason is the ubiquitous availability of antibiotics without a doctor’s prescription. As with any pharmacy, pharmacy employees sometimes prescribe antibiotics to patients, which is completely illegal.
Sometimes taking antibiotics as prescribed by a registered doctor but not completing the course. Some recovery is just stopping the medication. By this, the disease may be cured for now, but the damage is very deep. If the full course of antibiotics is not completed, some bacteria are killed, while others survive. The surviving bacteria may not cause direct harm, but their bodies begin to produce antibodies. They produce genetically stronger bacteria during reproduction. As a result, old antibiotics no longer work against newly formed bacteria. New antibiotics are needed.
In 2019, the World Health Organization separated medicines into three stages to reduce antibiotic ineffectiveness. The first step is called access. These antibiotics are less likely to be ineffective, so they are recommended to be used more often. The second step is the watch. This class of antibiotics should be used with extreme caution. And third-line reserve class antibiotics are recommended for use only in the ICU for terminally ill patients.
According to a 2021 study by IEDCR and the American Society for Microbiology, only 35 percent of access class antibiotics are being used, compared to 0.8 percent of reserve class antibiotics. But the alarming thing is that watch class antibiotics are being used the most, 64 percent. Analyzing these data, it is clear that we are overusing the antibiotics we should be using most cautiously.
The US Centers for Disease Control and Prevention ranked antibiotic-resistant bacteria as the fourth leading cause of death in the US in 2017. In Europe and America, however, certain rules are followed in the purchase of drugs; antibiotics cannot be bought from a pharmacy without a prescription from a registered doctor. But in our country, we are starting to buy and eat antibiotics without any guidance for common diseases like fever and cold. That is why a large number of antibiotic-resistant patients are being seen, the consequences of which are gradually becoming dire.
However, the uncontrolled use of antibiotics is being discussed, and awareness is being raised. But the increasing number of antibiotic-resistant people is less discussed. Another thing we need to be aware of: For example, we eat fish for protein. Farmers are regularly using antibiotics to prevent diseases in cows, goats, chickens, or farmed fish. And in most cases, human antibiotics are used instead of veterinary drugs for convenience. And there is the excessive use of pesticides.
At the beginning, I said how terrible antibiotic resistance can be. Anything from women giving birth to minor hand amputations; bacterial infections can occur; and even minor finger amputations can cause death without effective antibiotics, making any surgery impossible. Close your eyes and think for a moment, what would happen if the medicine that we rely on when we are sick does not work? A lot of people will continue to die from one common disease. Will we push the world towards that terrible death pit? Or be a little aware to leave a safe world for the next generation? The decision is in your hands! Thanks, everyone. Stay healthy, stay well.