অনলাইন গেম খেলেই লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়! ভাবতে পারেন? প্রোগ্রামিং না জানলেও কীভাবে গেম বানিয়ে লাখপতি বা কোটিপতি হওয়া সম্ভব? আর, ছোট্ট একটি প্ল্যাটফর্ম কীভাবে হয়ে উঠেছে মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা? শুধু একটি গেম কীভাবে পৃথিবীর কোটি মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে?
এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আজকের ভিডিওতে আপনাদের স্বাগতম!
শুভেচ্ছা সবাইকে!
আজ কথা বলব এক বিস্ময়কর গেমিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে, যার নাম—রোবলক্স।
এই নামটা অনেকের কাছে পরিচিত, আবার অনেকের কাছে হয়তো নতুন। কিন্তু এটি এমন একটি নাম যা শুনলেই ১০ বছরের শিশু থেকে ২৫ বছরের যুবক—সবার চোখে উজ্জ্বল আলো জ্বলে ওঠে!
সোজাসাপ্টা বলতে গেলে- রোবলক্স, এমন এক গেমিং প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের শুধু গেম খেলতে দেয় না, বরং গেম বানানোরও সুযোগ করে দেয়! এটি একটি ইউজার-জেনারেটেড কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বের যে কোনো ব্যক্তি লুয়া (Lua) নামক প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে গেম ডিজাইন করতে পারে। রোবলক্সে ব্যবহারকারীরা একে অপরের তৈরি গেমগুলো খেলতে পারে, এমনকি নিজেদের ডিজাইন করা গেমগুলো বিশ্বের সামনে আনতে পারে। আরো সহজ ভাষায় বললে, রোবলক্সকে বলা যেতে পারে গেমের ইউটিউব, যেখানে গেমাররা যেমন গেম খেলতে পারে, তেমনি ক্রিয়েটররা গেম তৈরিও করতে পারে প্রি-মেড টেম্পলেট আর ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ ফিচার ব্যবহার করে। ঠিক একই ব্যাপার ইউটিউবের ক্ষেত্রেও ঘটে, তাই না? ইউটিউব ইউজাররাই ভিডিও দেখছে, আবার ভিডিও তৈরিও করছে।
শুধু গেমিং প্ল্যাটফর্ম বললে রোবলক্সকে ছোট করে দেখা হবে। এটি একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মও। এখানকার ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে, একসাথে গেম খেলতে পারে, এমনকি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারে এবং ভার্চুয়াল জগতে বন্ধু তৈরি করতে পারে।
রোবলক্সের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ? সৃজনশীলতা। প্রতিটি গেম যেন একটি জীবন্ত সৃষ্টি, যা তার ব্যবহারকারীদের হাত ধরে বারবার নতুন রূপ নেয়। রোবলক্সের কমিউনিটি এতটাই শক্তিশালী যে কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় রোবলক্স নিয়ে কোনো নেগেটিভ কথা বলে, কমেন্ট সেকশনে যুদ্ধ লেগে যায়! তাদের সাপোর্টাররা “BTS আর্মি”-র মতো ডেডিকেটেড।
আমরা সবাই জানি, কী পরিমাণ ডেডিকেটেড স্ট্রং ফ্যানবেস বিটিএসের। বিটিএস নিয়ে আরো দারুণ সব তথ্য জানতে দেখে আসতে পারেন এই ভিডিওটি, লিংক দেয়া থাকবে ডেসক্রিপশন বক্সে ও আই(I) বাটনে।
এবার চলুন জেনে আসি কীভাবে হলো রোবলক্সের গোড়াপত্তন…
২০০৪ সালে ডেভিড বাসজুকি আর এরিক ক্যাসেল নামের দুই উদ্যোক্তা একটি স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে আসেন। তারা একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করেন, যেখানে সবাই গেম বানাতে পারবে আর অন্যরা সেই গেম খেলবে। প্রথমে এর নাম রাখা হয় “DynaBlocks”। পরে ২০০৬ সালে এর নাম হয় “Roblox”। রোবলক্সের সাথে অপরিচিতদের বোঝানোর জন্য প্রথমে ইউটিউবের উদাহরণ দিয়েছিলাম। ইউটিউব তো এখনকার বিশ্বের সবার কাছেই পরিচিত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইউটিউবের শুরুটাও কিন্তু হয়েছিল রোবলক্সের এক বছর পরে, ২০০৫ সালে।
প্রথমদিকে রোবলক্সের ইউজার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা, কিন্তু তাদের ধৈর্য আর ভিশন আজ রোবলক্সকে এনে দিয়েছে ৩৮ কোটিরও বেশি মাসিক ইউজার! রোবলক্স তাদের সবচেয়ে বড় পুশওভারটা পেয়েছিল কোভিডের সময়। হুট করেই রোবলক্সের সার্ভারে লাখ লাখ নতুন ইউজারের আনাগোনা শুরু হয়। তখন সববয়সী মানুষই রোবলক্সে ভিড় করতে থাকে ।
কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম কীভাবে ২০ বছরে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার নেপথ্যের রহস্যটা কী? জানার আগে এক মজার তথ্য দিয়ে রাখি- রোবলক্সের ৪০ ভাগ ইউজারের বয়স কিন্তু ১৩ বছরের নিচে! অর্থাৎ, আজকের জেন-আলফাদের হাতেই এই সাম্রাজ্য!
রোবলক্সের ম্যাজিক আসলে লুকিয়ে আছে এর “ইউজার-জেনারেটেড কনটেন্টে”। আপনি গেম খেলবেন, আবার নিজের গেমও বানাতে পারবেন, আর আয় করতে পারবেন সে গেম থেকে! তাহলে বুঝতেই পারছেন, একইসাথে আপনি প্লেয়ার, ক্রিয়েটর আর উদ্যোক্তাও।
২০১৩ সালের অক্টোবরে রোবলক্স চালু করে “ডেভেলপার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম – ডেভএক্স”- যার মাধ্যমে বহু টিনেজার গেম তৈরি করে বেশ ভালো পরিমাণ আয় করেছে। এখানে আয়ের ব্যাপারটা অবশ্য একটু ভিন্ন। রোবলক্স তার রেজিস্টার্ড ডেভেলপারদের রোবাক্সের মাধ্যমে পে করে থাকে। রোবাক্স হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি যা দিয়ে রোবলক্স গেমগুলোর একসেসোরিস, আর্মস, অ্যাভাটার, কস্টিউম ইত্যাদি কেনা যায়। যখন কোনো ডেভেলপার গেমে প্রচুর রোবাক্স উপার্জন করেন, তখন তিনি সেই রোবাক্স বাস্তব মুদ্রায় রূপান্তর করতে পারেন। রোবলক্সের ডেভেলপার এক্সচেঞ্জ (DevEx) প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপার্জিত রোবাক্সকে ডলার-এ রূপান্তর করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে, ১ রোবাক্সের মূল্য $0.0035 মার্কিন ডলার এবং ৩০,০০০ রোবাক্স একত্র করলে প্রায় ১০৫ ডলার পাওয়া যায়।
এভাবে, রোবলক্সের মাধ্যমে গেম ডেভেলপাররা তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে শুধু খেলা নয়, বরং একটি ক্যারিয়ার ও আয়ের উৎস তৈরি করতে সক্ষম হন।
কেউ যদি শিশু বয়স থেকেই গেম খেলতে খেলতে গেম ডেভেলপার হয়ে ওঠে, অর্থ উপার্জন করে নিজের ক্যারিয়ারও দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারে, তাহলে রোবলক্স শিশুকিশোরদের জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। কিন্তু ব্যাপারটা এতো সহজ-সরলও না। সাফল্যের পাশাপাশি এর পেছনে এর কিছু অন্ধকার দিকও আছে!
বাংলাদেশে রোবলক্সের জনপ্রিয়তা বেড়েছে টিকটক, ফেসবুক আর ইউটিউব কনটেন্টের হাত ধরে। অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটি নিয়মিত বিনোদনের মাধ্যম। যেমন- একটি জরিপে দেখা গেছে, কিছু স্কুলে ৫০-৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী দিনে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা রোবলক্স খেলে।
এদের মধ্যে অনেকে আবার লুয়া শিখে গেম ডেভেলপ করছে, যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু বিপদটা অন্য জায়গায়। রোবলক্সে গেম খেলা আর রোবাক্স জমানোর ব্যাপারটা খুবই অ্যাডিক্টিভ।
আমরা এতক্ষণ জানলাম রোবলক্স কী, কারা এটা বানিয়েছে, আর কেন এটা এত জনপ্রিয়। এখন একটু দেখি—এই গেমটা আসলে খেলে কীভাবে?
রোবলক্সে আপনি যখন অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তখন আপনি একটি অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন—মানে, গেমের মধ্যে আপনার ভার্চুয়াল রূপ। আপনি যেভাবে চাইবেন, সেভাবে সাজিয়ে নিতে পারবেন আপনার অ্যাভাটারকে—চুল, জামাকাপড়, চশমা, এমনকি ডাইনোসরের কস্টিউমও!
এরপর আপনি চলে যাবেন গেম এক্সপ্লোরার অপশনে। এখানে হাজার হাজার গেম আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। “ব্রুকহেভেন (Brookhaven)”, “মার্ডার মিস্ট্রি টু (Murder Mystery 2)”, বল্কস ফ্রুটস (Blox Fruits) “রোলপ্লের (Roleplay) মতো গেম নতুন প্রজন্মের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। সিম্যুলেটর (Simulator), হরর (Horror), অ্যাডভেঞ্চার (Adventure)—যে ধরণের গেমই পছন্দ করেন না কেন, সবই পাবেন এখানে। সব গেম কিন্তু রোবলক্স নিজে বানায়নি—এগুলো বানিয়েছে রোবলক্সের ব্যবহারকারীরাই!
একটা গেমে ঢুকতেই আপনি দেখবেন—কেউ হাসপাতালে ডাক্তার সেজেছে, কেউ পুলিশের চরিত্রে শহরের অপরাধী ধরছে, কেউ আবার বানিয়েছে পুরো একটা কফি শপ আর আপনি সেখানে গিয়ে খাচ্ছেন কেক! মানে, পুরো ব্যাপারটাই একটা “রোল প্লে”—যেখানে আপনি অভিনয় করছেন একটা চরিত্রে, একদম বাস্তবের মতো।
গেমগুলোর কন্ট্রোল বেশ সহজ—কি-বোর্ড আর মাউস দিয়ে ক্যারেক্টারকে নিয়ন্ত্রণ করা, লাফ দেয়া, কথা বলা, বসা—সবই খুব সহজে করা যায়। মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্যও এর ইন্টারফেস খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি। আর আপনি চাইলে বন্ধুদের সাথে একই গেমে যোগ দিতে পারেন, এমনকি চ্যাট করে পরিকল্পনাও করতে পারেন।
রোবলক্সের আরেকটি মজার দিক হচ্ছে—গেমের মধ্যে আপনি আইটেম কিনতে পারেন ‘রোবাক্স’ দিয়ে। এটাই ওদের ভার্চুয়াল টাকা, যেটা দিয়ে আপনি কিনতে পারবেন নতুন জামা, অস্ত্র, গাড়ি কিংবা কিছু স্পেশাল ক্ষমতা।
তবে এখানেই লুকিয়ে থাকে বিপদের সম্ভাবনা। এই রোবাক্স কিনতে বাস্তব টাকার দরকার পড়ে—আর এখান থেকেই শুরু হয় বিপদ।
ঠিক যেমনটা বলছিলাম—রোবলক্সের সৃজনশীলতা যতটা প্রশংসনীয়, এর বিপরীতে এর কিছু দিক ভয়ংকরও হতে পারে। বাংলাদেশেই এর একটি বাস্তব উদাহরণ পাওয়া গেছে সম্প্রতি।
সঙ্গত কারণেই তাদের নাম-পরিচয় বলছি না। আমাদের ঢাকার এক বাবা-মা বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করেন, তাদের ১১ বছরের ছেলে দিনের পর দিন নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে গেম খেলছে। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন—সাধারণ সময় কাটানো, হয়তো বন্ধুবান্ধবদের সাথে গেম খেলছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, ছেলেটি প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছে রোবলক্সে। তার মনোযোগ পুরোপুরি গেমের ভিতর। স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ কমে গেছে, পরিবারের সাথেও যোগাযোগ কমে এসেছে। গেমের ভেতরের ভার্চুয়াল জগতকেই সে বাস্তব ভাবতে শুরু করেছে।
একদিন হঠাৎ বাবা লক্ষ্য করেন—ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু অস্বাভাবিক ট্রানজেকশন। খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—ছেলেটি মায়ের মোবাইল থেকে OTP নিয়ে রোবাক্স কেনার জন্য প্রায় ১৫,০০০ টাকা খরচ করে ফেলেছে!
এই ঘটনা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই না, বরং অভিভাবকদের জন্য এক চরম মানসিক ধাক্কাও।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, বর্তমানে দেশের অনেক পরিবারের বাস্তব গল্প। গবেষকরা বলছেন, রোবলক্সের কিছু গেমে শিশুদেরকে সেক্সুয়াল থিম, সহিংসতা কিংবা অশালীন কথাবার্তার মাঝে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, যা একটি শিশুর মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে অপরিচিতদের সাথে কথাবার্তা, ফেক একাউন্ট থেকে স্ক্যাম—এসবই রোবলক্স প্ল্যাটফর্মের ভয়ংকর দিক।
তাই বলতেই হয়—রোবলক্স একটি বিশাল দুনিয়া, যেখানে সোনার হরিণ যেমন আছে, তেমনি ফাঁদ পেতে বসে আছে কিছু হিংস্র শিকারিও।
অনিয়ন্ত্রিত স্ক্রিন টাইম, অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে চ্যাটিং, আর রোবাক্স কেনার জন্য বাবা-মায়ের ব্যাংক কার্ডের অপব্যবহার। খুব বেশি নেশায় পড়ে গেলে এই শিশু-কিশোররা রোবাক্স কেনার জন্য অসহিষ্ণু হয়ে উঠে।
আপনার সন্তান যদি রোবলক্সের প্রতি ইতোমধ্যেই আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে করণীয় কী? মনোযোগ দিয়ে শুনুন, পরবর্তী ১ মিনিট হয়তো আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে! প্রথমেই ভয় পাবেন না। রোবলক্সে রয়েছে “প্যারেন্টাল কন্ট্রোল” অপশন- যার মাধ্যমে চ্যাট বন্ধ করে দেওয়া যায়, গেম টাইম লিমিট সেট করা যায়। দ্বিতীয়ত, সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। জেনে নিন সে কোন গেম খেলছে, কার সাথে কথা বলছে। তৃতীয়ত, রোবাক্স কেনার আগে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন।
সবমিলিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে যদি বলি, বাচ্চাদের বাস্তব জীবনের সাথে পরিচিত করান। মাঠে খেলতে নিয়ে যান। সত্যিকারের বন্ধু তৈরি করতে উৎসাহিত করুন। বাস্তব জীবনে বিনোদনের অভাবেই বাচ্চারা ভার্চুয়াল বিনোদনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
সন্দেহ নেই, বাচ্চাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ভিডিও গেমও বেশ ভালো একটা ভূমিকা রাখে। তবে যত ইনোসেন্ট গেমই হোক অথবা যে কোনো ভালো কিছু, আসক্ত হয়ে গেলে সবকিছুই খারাপ পর্যায়ে চলে যায়।
আমরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগাব নাকি প্রযুক্তি নির্ভরতায় রোবটিক দাসে পরিণত হবো, তা নির্ভর করবে আমাদের সচেতনতার উপর।
রোবলক্সের মতো আরও অনেক গেম আছে যেগুলোর পেছনে লুকিয়ে আছে বিশাল কর্পোরেট প্ল্যান। যেমন PUBG—যেটি তৈরি করেছে চাইনিজ জায়ান্ট টেনসেন্ট গ্রুপ, যারা WeChat-এরও মালিক।
PUBG নিয়েও যদি এমন বিশ্লেষণী ভিডিও দেখতে চান, কিংবা রোবলক্সের মতোই অন্য কোনো গেমের গল্প জানতে চান—তাহলে কমেন্টে জানান। আমরা নিয়ে আসবো সেই গল্প, যার সাথে শুধু খেলা নয়—সমাজ ও সন্তানের ভবিষ্যতও জড়িত।
আসক্তিতে নয়, আমাদের আগামি প্রজন্ম বেড়ে উঠুক সৃজনশীলতায়।
ধন্যবাদ সবাইকে, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।