শুভেচ্ছা সবাইকে।
আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, সেটার প্রেক্ষাপট আমাদের দেশের সাথে মিলবে না। কিন্তু তারপরও বহু মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আগ্রহ আছে।
ধরেন, শপিংয়ে গিয়ে দেখলেন- মার্কেটের সব দোকানে ৭০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট এমনকি ৯০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ছাড়!
আমাদের দেশে অভিজ্ঞতাটা নতুন হলেও আমেরিকাতে মানুষ বছরের একটা দিনে এই সুবিধাটা পায়। নতুন নতুন প্রোডাক্টে বিশাল ছাড় পাবার আশায় তারা যে দিনটির জন্য অপেক্ষা করে, সেটিই ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামে পরিচিত।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে শুনে আবার কালো দিবস বা কালো শুক্রবারের সাথে মেলাতে যাবেন না। নামটা ব্ল্যাক হলেও এদিন সব আমেরিকান কম টাকায় জিনিস কিনে লাল হয়ে যায়। অবিশ্বাস্য ছাড়ের এই দিনে দোকানে দোকানে থাকে শতশত মানুষের ভিড়।
এই ব্ল্যাক ফ্রাইডের শুরু কীভাবে? কেন এত উন্মাদনা? এটা কি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ, নাকি সারা বিশ্বেই এর প্রভাব? আর বাংলাদেশিদের মধ্যেই ব্ল্যাক ফ্রাইডেকে নিয়েই বা আগ্রহ কেমন? আজকের এই ভিডিওতে এসব প্রশ্নেরই আমরা উত্তর খুঁজবো। প্রথমেই আসি ব্ল্যাক ফ্রাইডে ইভেন্ট কীভাবে শুরু হয়েছে সে বিষয়ে…
ব্ল্যাক ফ্রাইডে আসলে এমন একটি দিন, যা প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবারে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র পরদিন উদযাপিত হয়। আর এটি আমেরিকা না, গোটা বিশ্ববাসীর কাছেই এখন একটি ট্রেডিশনে পরিণত হয়েছে।
বহু বছর আগের আমেরিকায় দাসপ্রথাই ছিল অর্থনীতির বড় ভিত্তি। সাহেবরা আফ্রিকা থেকে বন্দি করে আনা কালো মানুষদের অমানবিক পরিস্থিতিতে কাজ করাতো। বিনা পারিশ্রমিকে সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরও সামান্য খাবার খেয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হতো তাদের। আর নভেম্বরের শেষ শুক্রবারে চলতো দাস কেনাবেচার হাট, যেখানে খামার এবং উৎসবের মৌসুমের জন্য দাস কেনাবেচা চলতো। এভাবেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র উৎপত্তি।
ক্রীতদাস প্রথা বহু আগে থেকে চলে গেলেও নভেম্বরে কেনাবেচার যে একটা ট্রেন্ড বহু আগে থেকে চলে আসছে, সেটা এখনো রয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা ক্রিসমাসের ছুটিতে যাওয়ার আগে তাদের দোকান এবং গোডাউন যত বেশি সম্ভব খালি করতে চায়। আর এ কারণেই নুন্যতম লাভে সব প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য ছাড় দেয় যাতে নতুন বছরে নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়।
ব্ল্যাক ফ্রাইডের নিয়ে আরও বহু গল্প আছে। শোনা যায়, আগের দিনে আমেরিকান ব্যবসায়ী বিশেষ করে দোকানদাররা ক্ষতি হলে লাল কালি এবং লাভ হলে কালো কালি দিয়ে হিসেব লিখে রাখতো। থ্যাংকস গিভিং ডে-তে দোকানে এতো বেশি কেনা-বেচা হতো, যার ফলে পরের দিন শুক্রবার থেকে সব হিসাব লাল কালির পরিবর্তে কালো কালি দিয়ে লেখা শুরু করতো। সেই থেকেই ব্ল্যাক ফ্রাইডের আর্বিভাব। আসলে এই গল্পটা এতো বেশি শোনানো হয়েছে যে, সবাই এখন এটাকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামকরণের অফিশিয়াল কাহিনী হিসেবেই মনে করে থাকে।
তবে ব্ল্যাক ফ্রাইডের উৎপত্তি নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত আরেকটি গল্প জে গোল্ড ও জিম ফিস্ক নামের দুইজন কুখ্যাত বিনিয়োগকারীকে ঘিরে। সময়টা ১৮৬০-এর দশকের শেষের দিকে। গৃহযুদ্ধ শেষে ঋণে জর্জরিত আমেরিকা। অর্থনীতি সচল করতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উলিসেস গ্রান্ট সোনার মানদণ্ড পুনঃপ্রবর্তন করার উদ্যোগ নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি জর্জ বাউটওয়েল নামের এক ব্যক্তিকে ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেন। বাউটওয়েল সোনা বিক্রি করে যুদ্ধকালীন বন্ড ফেরত দিতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে উঠে পড়ে লাগে ধনকুবের জে গোল্ড এবং জিম ফিস্ক। তারা প্রেসিডেন্ট গ্রান্টের ভগ্নিপতি আবেল কর্বিনকে ম্যানেজ করে ট্রেজারি থেকে কম টাকায় প্রচুর সোনা কিনে নেয়া শুরু করেন এবং বাজারে সোনা বিক্রি বন্ধ করে দেন। তাদের মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে, ১৮৬৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বাজারে সোনার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। গ্রান্টের সন্দেহ হয়। তখন তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারিকে পুনরায় সোনা বিক্রির নির্দেশ দেন। ফলে স্পেকুলেটরদের ষড়যন্ত্র ভেঙে যায় এবং সোনার দাম পড়ে যায় এমনকি শেয়ারবাজারেও ধ্বস নামে। ইতিহাসের পাতায় আর্থিক বির্পযয়ের এই ঘটনাটি ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামে জায়গা করে নেয়।
আবার অনেক ইতিহাসবিদের মতে, ১৯৬০ সালের দিকে ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। ওই সময়টায় থ্যাংকস গিভিং ডে’র একদিন পর বেশ জনপ্রিয় একটি ফুটবল ম্যাচের ইভেন্ট হতো। মানুষ ওই ইভেন্টকে সামনে রেখে শুক্রবার দোকানে কেনাকাটার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। মানুষের চাপ সামলানোর জন্য পুলিশ সদস্যরা ছুটি তো নিতেই পারতো না, উল্টো ওভারটাইম ডিউটিতে থাকা লাগতো। আর কেনাকাটার জন্য বের হওয়া মানুষের ভিড় এত বেশি হয়ে যেতো, পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তো। এসব কারণে পুলিশ সদস্যরা দিনটিকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামা ডাকা শুরু করে।
পরবর্তীতে, ১৯৮০ এর দশকে ব্যবসায়ীরা বেশ জোরেসোরেই ব্ল্যাক ফ্রাইডেকে পুঁজি করে নতুন এক ব্যবসায়িক পন্থায় নামেন। তারা ক্রেতাদের জন্য বিশাল ছাড়ের ব্যবস্থা করতে থাকেন। ক্রেতারাও ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন। আর এভাবেই, ব্ল্যাক ফ্রাইডে হয়ে ওঠে বছরের সবচেয়ে বড় শপিং ফেস্টিভ্যাল।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ২০২৩ সালের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইনে কেনাকাটা হয়েছে প্রায় ৯.৮ বিলিয়ন ডলার। আরেক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রায় ৩০% মানুষ ক্যাশের চেয়ে কার্ড বা ইলেক্ট্রিকি মানিতে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে। বুঝতেই পারছেন, ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে অনলাইনে কেনাকাটা বেড়ে যাওয়ার আরো একটি কারণ ইলেকট্রনিক মানির ব্যবহার। ।
সারা বছরের বিক্রির ৩০ পার্সেন্ট অর্থাৎ প্রায় এক তৃতীয়াংশ হয় থ্যাংক্স গিভিং আর ক্রিসমাসের মাঝামাঝি সময়টায়। বুঝতেই পারছেন, ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে বেচাবিক্রি কতটা বাড়ে।
এই চার্টটিতে দেখতে পারছেন, ২০১৩ সালের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইন বেচাকেনা ছিল ১.৯ বিলিয়ন। ঠিক দশ বছরে এই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৯.৮ বিলিয়ন। গ্রাফটি দেখেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে অনলাইনে কেনাকাটা বাড়ার হার আন্দাজ করা যায় সহজেই।
অনলাইনে কেনাকাটা অবশ্য সারাবছরই হচ্ছে, কিন্তু ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে আমেরিকায় অফলাইন কেনাকাটায় একরকম উৎসব চলে। বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটির মতো বড় শহরগুলোতে ব্ল্যাক ফ্রাইডে এক বিশাল উদযাপন। এদিন ম্যানহাটন-ব্রুকলিন তো বটেই, ছোট ছোট শহরগুলোর দোকানের সামনেও দীর্ঘ লাইনের দৃশ্য দেখা যায়।
অবশ্য শুধু আমেরিকায় নয়, ব্ল্যাক ফ্রাইডের জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বব্যাপী। ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি দক্ষিণ এশিয়াতেও দিনটি উদযাপিত হয়। কারণ অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলোর ব্ল্যাক ফ্রাইডে ডিল পাওয়া যায়, এবং অনেক দেশেই বিশেষ অফারেরও প্রচলন হচ্ছে।
অবশ্য অনলাইনে কেনাকাটা করলেও মানুষের এক্সপেকটেশন থাকে ফিজিকালি শপিং করার মতোই। দোকানের স্টাফরা যেভাবে গাইড করে ক্রেতাদের, সেই ট্রিটটাই চায় ক্রেতারা। কিন্তু অনলাইনের জন্য এতো ম্যানপাওয়ার থাকে না শপিং সাইটগুলোর।
এআই টুলস দিয়ে এ জায়গাতে রিভ্যুলিউশন নিয়ে আসছে শপিং সাইটগুলো।। চ্যাটবট দিয়ে কমন প্রশ্নগুলোর উত্তর আগেই দেয়ার প্রচলন ছিল, কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইন্সট্যান্ট রেসপন্সকে অন্য এক লেভেলে নিয়ে গেছে। আর ব্ল্যাক ফ্রাইডের কেনাকাটার চাপে এআই যে রীতিমতো রক্ষাকর্তা হয়ে এসেছে ব্যবসায়ীদের জন্য, তা নিয়ে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এবার আসা যাক, বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফ্রাইডের প্রভাব কতটুকু। আমাদের দেশে থ্যাঙ্কসগিভিং এবং ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেইভাবে প্রচলিত নয়। তবে ইকমার্স ও রিটেইল সেক্টরের মাধ্যমে এখন ব্ল্যাক ফ্রাইডের ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে। দেশের বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে এবং অনেক গ্রাহকই এই সুযোগে তাদের কেনাকাটা করে থাকেন। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, পোশাক এবং আনুষঙ্গিক পণ্যে বিশাল ছাড় দেখা যায়।
তবে, এখনো অনেক ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা ব্ল্যাক ফ্রাইডে সম্পর্কে তেমনভাবে সচেতন নন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড অনুসরণ করে বাংলাদেশের শপিং কালচারে এই বিশেষ দিনটির প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়ছে।
তাহলে বলাই যায়, ব্ল্যাক ফ্রাইডে শুধু একদিনের কেনাকাটাই নয়; এটি একটি উৎসব। স্বল্পলাভ করলেও বিক্রির কোয়ান্টিটি অনেক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের প্রচুর লাভ হয়। আবার ক্রেতাদের জন্যও এটি একটি মহাসুযোগ। প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে কেনার জন্য এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে অনেকেই। তবে একটা কথা মনে রাখা জরুরি– অতিরিক্ত কেনাকাটা করে নিজের ওপর চাপ তৈরি না করাই কখনোই ভালো না, সেটা কারো জন্যই।
তাই, যদি ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে কিছু কেনার পরিকল্পনা করেন, আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, পণ্যটি আসলেই আপনার দরকার কিনা। ব্ল্যাক ফ্রাইডে ইভেন্টটি উপভোগ করুন, তবে শপিংটাও করুন স্মার্টলি। আমরা সবাই শপিংয়ের এই দিনটিকে উপভোগ করি, কিন্তু সেই সাথে নিজেদের পকেটের দিকেও নজর রাখি। তবে ভিউয়ার্স, কোনো পণ্যে যদি বিশেষ ছাড়ের খবর পান, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Black Friday – Discount Mystery
Greetings, everyone!
Today, I want to discuss a topic that might not directly relate to our country but is of great interest to many. Imagine walking into a shopping mall and seeing discounts of 70%, 80%, or even 90% in every store! Although this concept is relatively new here, in the U.S., people look forward to such deals on a specific day each year known as Black Friday.
Don’t confuse the name with something gloomy like “Black Day” or “Black Friday” in a negative sense. Despite its name, this day is all about saving big on purchases and celebrating. Stores are packed with hundreds of people eager to take advantage of incredible deals.
But how did Black Friday start? Why is there so much excitement surrounding it? Is it only a U.S. phenomenon, or does it have a global influence? And what level of interest do people in Bangladesh have regarding Black Friday? In today’s video, we’ll explore these questions, starting with the origins of the Black Friday event.
Black Friday is an annual event observed on the last Friday of November, the day after Thanksgiving. While it originated in America, it has now become a global tradition.
Historically, slavery played a significant role in the U.S. economy. Slave owners would forcibly bring African people to work under inhumane conditions. Despite their hard work, they received little food and lived in unhealthy environments. On the last Friday of November, slave markets were held to trade slaves for farming and festive season work. Many believe this is the origin of the term “Black Friday.”
Although slavery was abolished long ago, the trend of heavy sales in late November continues. Retailers aim to clear out their stock at minimal profit before the Christmas holidays, allowing them to start fresh with new products in the new year.
Numerous stories surround Black Friday. One popular tale is that early American shopkeepers recorded losses in red ink and profits in black ink. Thanksgiving Day often brought in so much revenue that by Friday, their accounts would shift from red to black. This story has been widely shared and is often considered the official origin of the name “Black Friday.”
Another common story involves two notorious investors, Jay Gould and Jim Fisk, in the late 1860s. After the Civil War, the U.S. was in debt. To stabilize the economy, President Ulysses Grant reinstated the gold standard and appointed George Boutwell as Treasury Secretary to sell gold and repay wartime bonds. Gould and Fisk manipulated the situation by buying gold cheaply through insider connections and halting its sale in the market. When Grant ordered the Treasury to resume gold sales, their scheme collapsed, resulting in a market crash, which is also referred to as Black Friday.
Historians say the term “Black Friday” was first used in Philadelphia during the 1960s. On the Friday after Thanksgiving, a popular football event led people to rush to stores for shopping. The chaos overwhelmed the police, who couldn’t take leave and had to work overtime. The heavy crowds made it difficult for them to manage the situation, leading police officers to nickname the day Black Friday.
In the 1980s, businesses began to capitalize on Black Friday as a commercial strategy, introducing massive discounts that customers eagerly awaited. Over time, it became the biggest shopping festival of the year.
Black Friday now significantly contributes to the global economy. In 2023 alone, online sales on Black Friday reached approximately $9.8 billion. Statistics show that nearly 30% of shoppers prefer using cards or digital payments over cash, further fueling online shopping on this day.
About 30% of annual sales—nearly one-third—occur between Thanksgiving and Christmas. You can imagine how much sales spike on Black Friday. For instance, online Black Friday sales were $1.9 billion in 2013, and over the next decade, this figure increased to $9.8 billion. The graph clearly illustrates how online shopping has grown during Black Friday.
While online shopping occurs year-round, in the U.S., Black Friday is celebrated like a festival. Major cities like New York see huge celebrations, with long lines outside stores in places like Manhattan and Brooklyn, as well as in smaller towns.
However, Black Friday’s popularity isn’t limited to the U.S. anymore. It is now celebrated worldwide, including in Europe, Canada, Australia, and even South Asia. Online platforms make global Black Friday deals accessible, and many countries have their own special sales for the occasion.
Despite the rise of online shopping, customers still expect the same guidance and support as they would receive in physical stores. Unfortunately, e-commerce platforms often lack the manpower to provide such personalized service.
This is where AI tools are revolutionizing online shopping. While chatbots already answered common questions, artificial intelligence has taken instant responses to a new level. Given the shopping frenzy on Black Friday, AI has become a valuable resource for businesses.
Now, let’s discuss Black Friday’s influence in Bangladesh. Although Thanksgiving and Black Friday are not widely celebrated here, e-commerce and retail sectors have introduced a taste of Black Friday to the country. Major online marketplaces offer discounts for the occasion, and many customers take advantage of these deals, especially on electronics, clothing, and accessories.
However, many Bangladeshi businesses and consumers are still not fully aware of Black Friday. As global trends influence local shopping culture, the impact of this special day is slowly growing.
In conclusion, Black Friday is not just a shopping day; it’s a celebration. Even with minimal profit margins, increased sales volumes make it highly lucrative for businesses. At the same time, it offers shoppers the opportunity to purchase essentials at affordable prices. However, it’s important to remember not to overspend and create unnecessary pressure on yourself.
If you plan to shop on Black Friday, make sure the items you buy are truly necessary. Enjoy the event, but shop wisely. Let’s all celebrate this shopping day while keeping an eye on our budgets. And viewers, if you find any special deals, don’t forget to share them in the comments.
Thank you, everyone. Stay healthy and well!