কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএস এতো জনপ্রিয় কেন?-Why is the Korean Band BTS So Popular?

মাত্র ২৬ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হয়ে ওঠা এক মিউজিশিয়ান জাংকুক। শুধু মিউজিশিয়ান নয়, জাংকুক একইসাথে নাচগানে যেমন দক্ষ, তেমনি গিটার-ড্রামসের মতো ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতেও পারদর্শী। মার্শাল আর্টেও আছে ব্ল্যাক বেল্ট। অলরাউন্ডার এমন প্রোফাইল আরেক মিউজিশিয়ান ভি-এরও। এত স্কিল-সম্পন্ন সাত তরুণ যদি এক হয়, তাহলে ভালো কিছুই হবে— এটা আন্দাজ করা সহজ। অনেকেই হয়তো ধরে ফেলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ বয় ব্যান্ড বিটিএসের কথাই বলছি।

বর্তমান পপ ইন্ডাস্ট্রিতে বিটিএস এখন এক শক্তিশালী ঝড়। আপনি এদের ফ্যান হন কিংবা হেটার, ওয়ার্ল্ড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বড় একটা অংশই কিন্তু এখন তাদের দখলে। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে বিটিএস এত পপুলার কেন? তাদের গানে কী এমন বিশেষত্ব আছে? নিজেদের এই জায়গায় আনতে কতোটা চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয় তাদের?  

শুরুতে নামটি নিয়ে বলি। বিটিএস ব্যান্ডের নাম এসেছে কোরিয়ান- ব্যাংতান সোনিওদান থেকে। যার অর্থ বুলেটপ্রুফ বয় স্কাউটস। কিন্তু ভক্তদের কাছে তারা পরিচিত বিটিএস নামে, যার অর্থ বিয়ন্ড দ্য সিন। জীবনঘনিষ্ঠ লিরিক ও আধুনিক কোরিওগ্রাফি দিয়েই দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানা পেরিয়ে বিটিএস আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তবে রাতারাতি এটি সম্ভব হয়নি। এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ এক গল্প।

চার ভোকালিস্ট জিন, জিমিন, ভি, জাংকুক ও তিন র‌্যাপার আরএম, সুগা, জি-হোপকে নিয়ে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু বিটিএসের। এই বয় ব্যান্ড দলের প্রথম সদস্যও আরএম, যিনি ২০০৭ সাল থেকে র‌্যাপার হিসেবে সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু করেন। আর এখন তার হাতেই বিটিএসের নেতৃত্ব। কোরিয়ার ছোট্ট একটি এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি, বিগহিট এন্টারটেইনমেন্ট-এর অধীনেই তৈরি হয়েছিল বিটিএস। ডেব্যু থেকে এ পর্যন্ত আসতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। ব্যান্ড দল হিসেবে বিটিএসের প্রথম একক হিট অ্যালবাম- টু কুল ফোর স্কোও (2 Cool 4 Skoo)।

কোরিয়ান-পপ দল হিসেবে তারাই প্রথম বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। পেয়েছে গ্র্যামিতে মনোনয়ন। জাতিসংঘে ভাষণ, কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ, এবারের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী সেশনও মাতিয়েছে এই ব্যান্ড। ইউনিসেফের সাথে এন্ড ভায়োলেন্স প্রচারণা এবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে এক মিলিয়ন ডলার অনুদান বিটিএসকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

বিটিএস-এর দ্রুত সাকসেসফুল হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করেছে। প্রথমেই বলতে হয় টার্গেট অডিয়েন্সের কথা। এই ব্যান্ড দল শুরু থেকেই কিশোর ও তরুণদের টার্গেট করেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপ, টিকটক, ইন্সটাগ্রামে পড়ে থাকা কিশোর-কিশোরীরাই বিটিএসকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছে।

মেইনস্ট্রিমের বাইরে থেকে এত ফ্যান-ফলোয়ার জোগাড় করতে পারার আরেকটা বড় কারণ, তাদের মিউজিকে বিভিন্ন স্টাইলের হাইব্রিড মিক্স। যার ফলে নানা ধরনের মিউজিক টেস্টের মানুষের কাছে যেতে পারছে তারা। জনপ্রিয়তার আরেকটা কারণ ইউনিক ড্যান্স কোরিওগ্রাফি। আর এই ফিচারটি দর্শকদের কাছে গান শোনার আনন্দের পাশাপাশি একটা ভিজুয়াল প্লেজার দেয়। যা অন্য কোনো ব্যান্ডের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।

বিটিএস মেম্বারদের ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল নিয়েও মাতামাতির শেষ নেই। আগে তারা ফ্যাশনে হিপহপ ঘরানাকে প্রাধান্য দিলেও এখন বেছে নিচ্ছে ক্যাজুয়াল জামাকাপড়। মজার ব্যাপার হলো, বিটিএস মেম্বারদের যেকোনো কস্টিউম একদিনের মাথায় সোল্ড আউট হয়ে যেত! পুমা, এলজি, কোকাকোলা, হুন্দাই, স্টারবাকস থেকে শুরু করে বিশ্বের সব নামকরা লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন ব্যান্ডের সাথে বিটিএস সদস্যদের চুক্তি আছে। ২০২০ সালেই মার্চেন্ডাইজিং থেকে এই ব্যান্ড দল আয় করেছে ২২০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০২৩ সালের পুরো বছরে বিটিএসের সামগ্রিক আয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।   

অন্যান্য কে-পপ ব্যান্ড থেকে বিটিএসকে আলাদা করা যায় তাদের গানের ভেতরকার হিডেন স্টোরি লাইনের জন্য। কিশোর বা সদ্য তারুণ্যে পা দেওয়া ছেলে-মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য, চাওয়া-পাওয়া, হতাশা-বেদনা হাইলাইট করে গানের লিরিক লেখে তারা। যেমন স্কুল-কলেজের বুলিং, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, ব্রেকআপ, সম্পর্কে টানাপোড়েন এসব।

বিটিএস-এর জনপ্রিয়তার পেছনে কমিউনিটি ইফেক্টও দারুণভাবে কাজ করেছে। তারা শুরু থেকেই কমিউনিটি বেইজড ফ্যান তৈরি করতে পেরেছে। যারা বিটিএস আর্মি নামেই পরিচিত। ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে তাদের নিয়মিত ফ্যান মিটিং চলছে। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল কে-পপ ফ্যানদের মিটিংও হচ্ছে! দক্ষিণ কোরিয়া সরকারও তারুণ্যের এই উচ্ছ্বাসের সাথে পর্যটন ব্যবসাকে জড়িয়ে নিয়মিত আয়োজন করছে ইন্টারন্যাশনাল কে-পপ ফেস্টিভ্যাল। সেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে অংশ নিতে যাচ্ছে আমাদের দেশের বিটিএস ফ্যানরাও।

এবার একটু টাকাপয়সার হিসাবে আসা যাক। বিটিএস সদস্যরা তাদের গান, অ্যালবাম বিক্রি, কনসার্ট, ব্র্যান্ড ডিল ও মার্চেন্ডাইজ দিয়েই বিপুল অর্থ আয় করে। ২০২০ সালে তারা- ম্যাপ অব দ্য সোল সেভেন নামের একটি অ্যালবাম বের করে। প্রথম সপ্তাহে এই অ্যালবাম প্রায় ৪২ লাখ কপি বিক্রি হয়, যা রীতিমতো রেকর্ড! এরপর ২০১৮ সালে – লাভ ইয়োরসেলফ ইন সিউল নামে একটা ওয়ার্ল্ড ট্যুর করে পেয়েছিলো প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, ২০২২ সালেই তাদের মোট সম্পদ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং বর্তমানে ব্যান্ড দলটির বাৎসরিক আয়ও আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ডলার। বিটিএসের জনপ্রিয়তা দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে যোগ করছে বছরে অন্তত ৫ বিলিয়ন ডলার। যা দেশটির মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

বিটিএস কিন্তু এই পর্যায়ে একদিনে আসেনি। এত সাফল্য দেখে যদি মনে করে থাকেন কে-পপ আইডলদের জীবন মাস্তি আর ফানে ভরা, তাহলে ভুল ভাবছেন। তাদের সেলিব্রেটি বানানোর পেছনে কাজ করে কোরিয়ার শীর্ষ কয়েকটি একাডেমি। যাদের মালিকানায় থাকে বড় বড় মিউজিক কোম্পানিগুলো। ৫ থেকে ৭ বছর বয়সে শিশুরা একাডেমিতে ভর্তি হয়। শুরু হয় তাদের কঠোর ট্রেনিং। নাচ-গানের পাশাপাশি শেখানো হয় ম্যানার, সেলফ-গ্রুমিং থেকে শুরু করে সব। কী খাবে, কতটুকু খাবে, কী পরবে, কাদের সাথে মিশতে পারবে, এমনকি ব্যক্তিগত সব সিদ্ধান্তও নিয়ন্ত্রণ করেন প্রশিক্ষকরা। কিছু ক্ষেত্রে চেহারাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকের প্লাস্টিক সার্জারিও করাতে হয়!

এসব একাডেমিতে ঢুকতেই লাগে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। বেশিরভাগ ভর্তিচ্ছু এই অর্থ দিতে পারে না। সুযোগটি কাজে লাগায় একাডেমিগুলো। বিনামূল্যে ট্রেনিংয়ের সুযোগ দিয়ে তারা কৌশলে কঠিন একটি কন্ট্রাক্টের আওতায় নিয়ে আসে মেধাবী ট্রেইনিদের। কন্ট্রাক্টের বেড়াজালে আটকে ক্যারিয়ারের দীর্ঘ একটা সময় একাডেমির গোলামি করে যেতে হয় তাদের।

কন্ট্রাক্টগুলো দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় স্টার বনে যাওয়ার ৫ থেকে ১০ বছর পরও নিয়ন্ত্রণ থেকে যায় একাডেমির হাতে। এই সময়ে যা আয় হয়, তার বেশিরভাগ অংশই বকেয়া ফি হিসেবে কেটে নেয় একাডেমি। যার কারণে, বিটিএসসহ তরুণ কোরিয়ান পপ তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না। কোনো রিলেশনশিপে পর্যন্ত যেতে পারে না তারা। এসব চাপে পড়ে অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।

অ্যাসট্রো ব্যান্ডের মুনবিনের কথাই ধরুন। মাত্র ৪ বছর বয়সে একাডেমিতে ভর্তি হয় সে। ১৫ বছর ট্রেনিং শেষে স্টার খ্যাতি পায়। কিন্তু দুঃখজনক হলো- মানসিক চাপে পড়ে তারকা হওয়ার ৬ বছরের মাথায় সে আত্মহত্যা করে। গ্রেসি গ্রেস নামের আরেকজন কে-পপ স্টার, যে কিনা ক্যারিয়ারের তিন বছর কাজ করে এক ডলারও হাতে পায়নি। সব নিয়ে গেছে একাডেমি। এবার চিন্তা করেন কোরিয়ান-পপ স্টারের লোক দেখানো লাক্সারি লাইফ দেখে আমাদের আফসোস করা কি মানায়?

তারপরও বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করলে- গ্যাংনাম স্টাইল দিয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া কোরিয়ান মিউজিক মানুষের হৃদয় মাতিয়ে রাখছে। বিটিএস নেতৃত্বে থাকলেও এই পুরো কে-পপ ইন্ডাস্ট্রি বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নতুন বার্তা, অনুপ্রেরণা, ঐক্য আর বিজয়ের গল্প। সেকারণে বিটিএসের মতো কোরিয়ান-পপ ইন্ডাস্ট্রির অনুপ্রেরণার গল্পগুলো নতুন নতুন সম্ভাবনা হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক তারুণ্যের মাঝে।

ধন্যবাদ সবাইকে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Why is the Korean Band BTS So Popular?

Greetings to everyone.

A musician named Jungkook became a billionaire at the young age of 26. Not only is he a musician, but Jungkook is also proficient in dancing and singing, as well as skilled in playing instruments like guitar and drums. He even holds a black belt in martial arts. Another musician, V, has a similar all-rounder profile. If seven such talented young individuals come together, it’s easy to imagine that something great will emerge. Many might be referring to BTS, the popular South Korean boy band.

In the current pop industry, BTS is now a powerful storm. Whether you are a fan or a hater, a significant part of the world music industry is now under their control. Why are BTS so popular among teenagers? What is special about their music? How much struggle and effort did they have to go through to reach their current position?

Let’s start with the name. The name BTS comes from the Korean “Bangtan Sonyeondan,” which means “Bulletproof Boy Scouts.” However, to their fans, they are known as BTS, which stands for “Beyond The Scene.” With life-like lyrics and modern choreography, BTS has crossed the boundaries of South Korea and is now storming worldwide. However, this was not achieved overnight. There is a long story behind it.

BTS began their journey in 2013 with four vocalists—Jin, Jimin, V, and Jungkook—and three rappers—RM, Suga, and J-Hope. The first member of the boy band was RM, who started his music career as a rapper in 2007. Now, he leads BTS. BTS was created under Big Hit Entertainment, a small entertainment company in Korea. They had to walk a tough path from their debut to the present. As a band, BTS’s first hit single album was “2 Cool 4 Skool.”

As a K-pop group, they were the first to win a Billboard Music Award. They received Grammy nominations and spoke at the United Nations. They also performed at the Qatar Football World Cup and the opening session of this year’s T20 Cricket World Cup. Their collaboration with UNICEF for the “End Violence” campaign and a one million dollar donation to the Black Lives Matter movement have taken BTS to another height.

Several factors have contributed to BTS’s rapid success. First, their target audience. From the beginning, the band targeted teenagers and young people. It is the teenagers who spend most of their time on Facebook, YouTube, WhatsApp, TikTok, and Instagram that have brought BTS to the pinnacle of popularity.

Another major reason for attracting such a large number of fans outside the mainstream is the hybrid mix of different styles in their music. This allows them to reach people with various musical tastes. Another reason for their popularity is their unique dance choreography. This feature provides visual pleasure along with the joy of listening to music, which is not found in any other band.

BTS members are also a big deal in terms of fashion and lifestyle. Initially, they prioritized hip-hop styles in fashion, but now they prefer casual clothing. Interestingly, any costume worn by BTS members would sell out in a day! They have contracts with all the world’s famous lifestyle and fashion brands, starting from Puma, LG, Coca-Cola, Hyundai, to Starbucks. In 2020 alone, the band earned $220 million from merchandising. In the entire year of 2023, BTS’s total income was approximately $1.6 billion.

What sets BTS apart from other K-pop bands is the hidden storyline within their songs. They write lyrics that highlight the mental health, desires, frustrations, and pains of teenagers or young individuals. Topics such as bullying in schools and colleges, depression, lack of self-confidence, breakups, and relationship tensions are addressed.

The community effect has also played a significant role in BTS’s popularity. From the start, they have managed to build a community-based fan base known as the BTS ARMY. Regular fan meetings are held on Facebook and Instagram, including international K-pop fan meetings! The South Korean government is also regularly organizing international K-pop festivals, engaging the tourism business with the enthusiasm of the youth. Our country’s BTS fans are also participating alongside fans from other countries.

Now, let’s talk about money. BTS members earn substantial income through their songs, album sales, concerts, brand deals, and merchandising. In 2020, they released an album called “Map of the Soul: 7,” which sold nearly 4.2 million copies in the first week, setting a new record! In 2018, they conducted a world tour named “Love Yourself in Seoul,” earning approximately $10 million. Media reports indicate that by 2022, their total assets surpassed $3.5 billion, and their annual income is now estimated to be between $60 to $70 million. BTS’s popularity contributes $5 billion annually to South Korea’s economy, which is about 0.3% of the country’s total GDP.

However, BTS did not reach this stage overnight. If you think that K-pop idols live carefree lives filled with partying and fun, you are mistaken. Behind making them celebrities are South Korea’s top academies, owned by major music companies. Children enter these academies between the ages of 5 to 7. Their rigorous training begins, teaching not only dancing and singing but also manners, self-grooming, and everything else. Trainers even control personal decisions like what to eat, how much to eat, what to wear, and who they can associate with. In some cases, trainees are made to undergo plastic surgery to enhance their appearance!

Entering these academies costs at least 5 million won. Most applicants cannot afford this amount. Academies take advantage by offering free training and cunningly binding talented trainees under strict contracts. These contracts are long-term, keeping the trainees under the academy’s control even 5 to 10 years after becoming stars. During this time, most of their earnings are taken by the academy as overdue fees, leaving K-pop stars like BTS with no personal life. They cannot even enter relationships. The pressure leads many to choose the path of suicide.

Take Munbin from the Astro band, for example. He entered an academy at just 4 years old and gained star fame after 15 years of training. Unfortunately, he succumbed to mental pressure and committed suicide after six years of stardom. Another K-pop star, Grace Grace, worked in her career for three years without earning a single dollar. The academy took everything from her. Now, is it worth feeling sorry for seeing K-pop stars living luxurious lives?

However, on a larger scale, Korean music, which became globally popular with hits like “Gangnam Style,” continues to captivate people’s hearts. Although BTS leads the way, the entire K-pop industry is delivering new messages, inspiration, unity, and stories of victory to millions worldwide. Therefore, inspirational stories from the Korean pop industry, like BTS, continue to spread new possibilities among the youth.

Thank you, everyone. Stay healthy and stay well.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top