এলিয়েন কি সত্যিই আছে?
শুভেচ্ছা সবাইকে।
এই বিশাল মহাবিশ্বে আমরা কি একেবারেই একা? নাকি দূর-দূরান্তের কোনো গ্রহে আমাদের মতো বা আমাদের চেয়েও উন্নত কোনো প্রাণী আছে? ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েন বলতেই আমরা বুঝি হলিউডের গ্রাফিক্স নির্ভর মুভির কোনো চরিত্র কিংবা বয়স্কদের কাছ থেকে শোনা সায়েন্স-ফিকশনের গল্প। বিজ্ঞানীদের অনেকেই এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। আবার অনেকের কাছে, এলিয়েন পুঁজিবাদী কোন একটি ধারণা। যা দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে হলিউড। যত কথাই বলি, আমাদের মনে একটা প্রশ্ন বারবারই উকি দেয়, সত্যিই কি এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে? থাকলেই বা কী বা কেমন দেখতে তারা?
১৯৫৭ সালের ১৬ অক্টোবরের রাত। ব্রাজিলের সাও ফ্রান্সিসকো শহরে এন্টোনিও বোয়াস নামের এক কৃষক মাঠে কাজ করে ফিরছিলেন। এমন সময় আকাশে লাল রংয়ের একটি লাইট দেখতে পান, যা ধীরে ধীরে তার দিকেই আসছিলো। এটা যতই কাছে আসছিলো, ততই বড় হচ্ছিলো। ফাইনালি তিনি বুঝতে পারেন, এটা হয়তো কোনো স্পেসশিপ। প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এমন সময় ৫ ফুট উচ্চতার বিশেষ আকৃতির কয়েকটি অবয়ব তাকে ধরে স্পেসশিপে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে এন্টোনিও বোয়াসের শরীরে এক ধরনের জেল লাগিয়ে দেয় তারা। এরপর একটি মেডিকেল রুমে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ব্লাড স্যাম্পল নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর স্পেসশিপটি আবার আকাশে মিলিয়ে যায়।
বোয়াসের এই ঘটনা শোনার পর ব্রাজিলের ন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের ডাক্তার ওলাভো ফন্টেস তাকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডেকে পাঠান। পরীক্ষা করে চিকিৎসক ফন্টেস জানান, এন্টোনিওর শরীরে রেডিয়েশনের বিষ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার শরীরে লাল রঙের কিছু গোটাও দেখতে পান চিকিৎসক। সেখান থেকে হলুদ রংয়ের তরল নির্গত হচ্ছিলো। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বোয়াসের এই ঘটনাকে সত্য বলে ধরে নেয়া হয়েছিলো সেসময়। তখন থেকেই চর্চা হতে থাকে, এলিয়েন আমাদের মধ্যেই আছে কিন্তু আমরা খুঁজে পাচ্ছি না তাদের।
তারও আগে ১৯৪৭ সালের ২৪ জুনের আরেকটি ঘটনা। মার্কিন প্রাইভেট জেটের পাইলট কেনেথ আর্নোল্ড হঠাৎ করেই দাবি করে বসেন, সিয়াটলের পাহাড়ের ওপর দিয়ে ৯টি এলিয়েন মহাকাশ যান বা ইউএফও উড়ে যেতে দেখেছেন। তার ধারণা, এগুলোর গতি ছিল কমপক্ষে ২ হাজার কিলোমিটার। আর্নল্ডের এই দাবির পর আমেরিকায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন শহর থেকে ইউএফও দেখার খবর আসতে থাকে একের পর এক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট হয়। তবে কিছু মিডিয়া এটিকে অ্যাটোমিক প্রভাব হিসেবে দাবি করে। তাদের মতে, ইউএফও দেখতে পাওয়া স্থানগুলোতে নিউক্লিয়ার টেস্ট চলছিল এবং সেই অ্যাটোমিক এনার্জিকেই মানুষ ভুলভাবে মহাকাশযান ভেবেছে।
এই কনফিউশনের মাঝেই একই বছরের শেষের দিকে নিউ মেক্সিকোর বাসিন্দা ম্যাক ব্রাজেলের সাথে ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনা পুরো বিশ্বকে এলিয়েন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়। সেসময় ম্যাক ব্রাজেল দাবি করেছিলেন তিনি ইউএফও বা ফ্লাইং ডিস্কের ভাঙা অংশ খুঁজে পেয়েছেন। রসওয়েল আর্মি এয়ারফিল্ডের সেনা কর্মকর্তারা এই খবর শুনে তার কাছে ছুটে যান। ভাঙা অংশগুলো দেখে তারা এক বিবৃতিতে জানান, ইউএফও দেখতে পাওয়ার খবর মিথ্যা নয়। কিন্তু একদিন পরেই তারা নিজেদের বক্তব্য পাল্টে ফেলেন। বলেন, এগুলো ওয়েদার বেলুনের ভাঙা অংশ। প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি ছবিও সেসময় প্রকাশ করেন।
হুট করে বক্তব্য পাল্টে ফেলার বিষয়টি সন্দেহজনক হলেও কিছুদিন পর থেমে যায় এই আলোচনা। অবশ্য পরবর্তীতে মার্কিন সেনা কর্মকর্তা মেজর জেসি মার্সেল তার “দ্য রসওয়েল লিগেসি” বইয়ে লিখেছিলেন, মেক্সিকোর রসওয়েলে যে ভাঙা অংশ পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলো পৃথিবীতে তৈরি কোনো বস্তু ছিল না। ভাবেন তো ব্যাপারটা, ভয়ংকর এবং অজানা কিছু তাহলে।
এতক্ষণ ধরে যা বললাম, সেগুলোকে সত্য ধরে নিলে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকে না। কিন্তু ভিনগ্রহবাসী নিয়ে ১৯৫০ সালে বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির একটি প্রশ্ন আবার সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। ফার্মির প্রশ্ন হলো, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা এর বাইরে যদি উন্নত সভ্যতা থেকেই থাকে, তারা এখনও যোগাযোগ করছে না কেন আমাদের সঙ্গে? হোয়্যার ইজ এভরিবডি? ফার্মির এই প্রশ্নটি গবেষকদের কাছে ফার্মি প্যারাডক্স নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। ফার্মি প্যারাডক্সের উত্তর খুঁজতে ১৯৬০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাকাশে ভিনগ্রহের প্রাণীদের খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু হয়।
বলা হচ্ছিলো, বজ্রপাতে ডিস্ক আকৃতির একটি স্পেসশিপ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এতে থাকা সব ভিনগ্রহবাসী মারা গেছে। কিন্তু পরে জানা যায়, এই দুর্ঘটনার পর একটি এলিয়েনকে জীবিত উদ্ধার করেছিলো ইউএস আর্মি। এই খবর গোপন করে তাকে অজ্ঞাত কোনো স্থানে নেয়া হয়েছিলো। ভাবুন তো ব্যাপারটা? বহু মানুষ বিশ্বাস করে, এলিয়েনটি এখনও জীবিত এবং তার সহায়তায় ইউএস আর্মি- এলিয়েন সভ্যতার প্রযুক্তি রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করার চেষ্টা করছে। এই গোপন স্থানটি সবার কাছে এরিয়া-51 নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার বিস্তীর্ণ মরুভূমির মাঝেই এরিয়া-51 এর অবস্থান। এটা মার্কিন সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক একটি বেইজ ক্যাম্পও বটে। জায়গাটি এত বেশি সিকিউরড, এর আশেপাশে কোনো বসতি নেই। এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ একেবারে নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞা এবং গোপনীয়তা এরিয়া-51 কে মানুষের কাছে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।
২০১৯ সালে, ম্যাটি রবার্টস নামে এক যুবক মজার ছলে এরিয়া- 51 নিয়ে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট তৈরি করেছিলেন। ইভেন্টের নাম ছিল “Storm Area 51, They Can’t Stop All of Us” । এর উদ্দেশ্য ছিল একসাথে এরিয়া 51-এর গোপন জায়গায় প্রবেশ করে এলিয়েন সম্পর্কে সত্যটা উদঘাটন করা। রবার্টসের এই ইভেন্টটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লাখ লাখ মানুষ এই ইভেন্টে যোগ দিতে রেজিস্ট্রেশন করে। মজার ছলে তৈরি করা হলেও অনেকেই ইভেন্টটিকে সিরিয়াসলি নিয়ে নেয় এবং সত্যি সত্যিই এরিয়া 51-এ যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে তারা। সেসময় মার্কিন সরকার এবং এরিয়া 51-এর কর্তৃপক্ষ এই ইভেন্টটি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায়ও পড়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ইভেন্টটি “Alienstock” নামে একটি সঙ্গীত উৎসবে পরিণত হয়, যা নেভাদার ছোট্ট শহর র্যাচেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। যদিও কিছু মানুষ আসলেই এরিয়া 51-এ প্রবেশের চেষ্টা করে সেসময়। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
এলিয়েন নিয়ে বলতে গেলেই সুইস লেখক এরিক ভন দানিকেনের কথা বলতেই হয়। তার লেখা ‘চ্যারিয়টস অব গড’ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে এখনো। দানিকেনের মতে, আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভিনগ্রহের প্রাণীরা। যাদের মানুষ দেবতা হিসেবে পূজা করত। তার দাবি, পেরুর নাজকা মরুভূমির ‘নাজকা লাইনস’ আসলে এলিয়েনদেরই উড়ন্তযান অবতরণের রানওয়ে ছিল।ভাবুন তো বিষয়টা! এছাড়া, মিসরের পিরামিডগুলো ভিনগ্রহের প্রাণীদের তৈরি বলেও বিশ্বাস করতেন তিনি, কারণ সেই সময়ে চাকার আবিষ্কার হয়নি এবং এত বড় পাথর স্থানান্তর করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব ছিল।
বিজ্ঞানের ভাষায়, এই পৃথিবীকে যদি সেন্টার পয়েন্ট ধরা হয়, তাহলে এর চারপাশে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ পর্যন্ত আমরা দেখতে পারি। এটা শুনে আবার ভাবতে যাবেন না, এটাই মহাবিশ্বের বাউন্ডারি। আমরা ইউনিভার্সকে সবসময় একটা বাবলের মতো চিন্তা করি। যেটা আমাদের জানার বাইরে সেটুকু বাদ দিয়ে যদি বাকি ইউনিভার্স নিয়ে অ্যানালাইসিস করি, সেক্ষেত্রেও এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব। কারণ এখানেই আছে ১০০ বিলিয়নের মতো গ্যালাক্সি, আর প্রতিটি গ্যালাক্সিতেও আছে ১ হাজার বিলিয়ন স্টার। এগুলোর মধ্যে ১ শতাংশ স্টারে যদি পৃথিবীর মতো প্ল্যানেট থাকতো তাহলে আমাদের মহাকাশ স্পেসশিপে ভরে যেত। এই অনুমান কিন্তু আমার না। এসব কথা বলে গেছেন আমেরিকান অ্যাসট্রোনোমার ড. ফ্রাঙ্ক ড্রেইক। তার তত্ত্ব অনুযায়ী, শুধু মিল্কিওয়েতেই ১০ হাজারের বেশি এলিয়েন সিভিলাইজেশন থাকতে পারে। কিন্তু তার এই অনুমান কী আদৌ সত্য ছিল?
ড্রেইক ইকুয়েশনকে কাজে লাগিয়ে ১৯৭৪ সালের ১৪ নভেম্বরে এম-13 নামের একটি গ্রহে বাইনারি মেসেজ পাঠিয়েছিলো মার্কিন বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে এই বার্তা পাঠানো হয়েছিলো। এম- 13 গ্রহটির অবস্থান পৃথিবী থেকে ২৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এই বার্তা আলোর গতিতে গেলেও ২৫ হাজার বছর সময় লাগবে। ধরে নিলাম তারা মেসেজটি পেল। উত্তরও পাঠালো। সেই উত্তর পৌঁছালো আরও ২৫ হাজার বছর পর। তার মানে এই পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে ৫০ হাজার বছর। এত বছর কি আমাদের এই সভ্যতা টিকে থাকবে? স্ট্যানফোর্ডের এর বিজ্ঞানী পল আর আরলিচ মনে করেন, আমাদের সভ্যতা দীর্ঘস্থায়ী নয়। ভালোভাবে বাঁচতে হলে পৃথিবীর মতো আরও ৫টি পৃথিবীর প্রয়োজন আমাদের। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, আমাদের পৃথিবীতে ৮০০ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। আর এই জনসংখ্যা পৃথিবীর সব রিসোর্স শেষ করে ফেলছে। আমাদের এই পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত রিসোর্স পুনরায় উৎপন্ন করতে পারে। কিন্তু আমাদের চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি। তার মানে একটা সময় আসবে পৃথিবীর সব রিসোর্স শেষ হয়ে যাবে। তখন সভ্যতাও বিলীন হয়ে যাবে।
বিজ্ঞানীদের এই অনুমান শুধু পৃথিবীর জন্য নয়। এলিয়েন সিভিলাইজেশনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এই মডেলকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন গ্রেট ফিল্টার মডেল। এই মডেলের মূল কথা হচ্ছে- একটি সভ্যতার অন্য একটি সভ্যতার সাথে দেখা করতে হলে হয় অনেক বেশি উন্নত হতে হবে, না হয় দীর্ঘস্থায়ী হতে হবে।
পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যাডাম ফ্র্যাঙ্ক সিভিলাইজেশনের গ্রোথকে চার ভাগে ভাগে করে দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আমরা রয়েছি চতুর্থ মডেলে, যার নাম কলাপস উইথ রিসোর্স চেইঞ্জ মডেল। এতে পরিবেশ পাল্টে যাবে মানুষের কারণে। মানুষ বিষয়টা জানবে, উদ্যোগীও হবে, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাবে। এতেই বোঝা যায়, এলিয়েনের দেখা পাওয়া বেশ দুষ্করই হবে আমাদের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আবার এই ইউএফও-এর ব্যাখ্যা খুঁজতে ২০২২ সালে ১৬ সদস্যের একটি আলাদা গবেষক দলই নিয়োগ করে বসেছে। এরইমধ্যে গবেষক দলটি একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে। ৩৬ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টের পুরোটা জুড়ে ছিলো বৈজ্ঞানিক নানা জটিল ব্যাখ্যা। রিপোর্টের একেবারে শেষের দিকে এসে তারা বলেছে, মহাকাশের শতশত ইউএফও নিয়ে নাসার গবেষণায় কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো না। তবে তারা এলিয়েন না থাকার বিষয়েও কোনো নিশ্চয়তা দেননি।
মহাবিশ্বের অসীমতায় আমরা একটি বিন্দুমাত্র। কে জানে, এই অসীমতার মাঝে আরও উন্নত কোনো জাতি অপেক্ষা করছে আমাদেরকে হ্যালো বলার জন্য। ততদিন পর্যন্ত, আমরা এই রহস্যময় মহাবিশ্বের আনাচে-কানাচে সন্ধান চালিয়ে যাবোই।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Do Aliens Really Exist?
Are we really alone in this huge universe? Or could there be other beings, maybe even more advanced than us, somewhere far away? When we think of aliens, we might picture Hollywood movies or science fiction stories. Scientists have different opinions on whether aliens exist. Some even think the idea of aliens is just something Hollywood uses to make money. Still, we wonder: do aliens really exist? And if they do, what might they look like?
One night on October 16, 1957, a Brazilian farmer named Antônio Boas was heading home after working in his fields. Suddenly, he noticed a red light in the sky. It got closer and grew bigger. Boas thought it was a spaceship. He tried to run away, but four beings about five feet tall caught him and took him on board. They put gel on his skin and took him to a medical room where they took blood samples before letting him go. After that, the spaceship disappeared.
A doctor named Dr. Olavo Fontes from Brazil’s National School of Medicine checked Boas afterward. He found radiation traces in Boas’s body and red sores that oozed yellow liquid. People believed Boas’s story, and some thought that aliens might live among us but were hard to notice.
A decade earlier, on June 24, 1947, an American pilot named Kenneth Arnold said he saw nine UFOs flying over the Seattle mountains at a speed of around 2,000 kilometers per hour. His report sparked major interest in UFOs across the U.S. The media talked about it, with some saying these sightings were just atomic energy from nearby nuclear tests.
Later that year, a man from New Mexico named Mac Brazel found wreckage from what he thought was a “flying disk.” Army officials arrived quickly and first said it was a UFO, but the next day, they changed their statement, calling it a weather balloon. Many people were skeptical of the sudden change, and the topic faded for a while. Years later, Major Jesse Marcel wrote in The Roswell Legacy that the Roswell wreckage wasn’t from Earth, bringing new questions about UFOs.
If stories like these are true, then aliens might exist. But in 1950, scientist Enrico Fermi asked a question that changed everything: if advanced civilizations are out there, why haven’t they contacted us? Known as the Fermi Paradox, this question led to serious research on alien life. By 1960, scientists began formal missions to search for extraterrestrial life.
There were also rumors about a disk-shaped spaceship that crashed after being hit by lightning, supposedly killing everyone inside. Some say the U.S. Army found one alien alive and secretly took it to a hidden location. People believe this place is Area 51, located in Nevada’s desert. This area is highly secure, and public access is prohibited, making it even more mysterious.
In 2019, a young man named Matty Roberts created a Facebook event called “Storm Area 51, They Can’t Stop All of Us.” It was a plan to reveal the truth about aliens by storming Area 51. The event went viral, with thousands signing up. Even though it started as a joke, some people wanted to go to Area 51 seriously. The government grew concerned, but in the end, the event turned into a music festival called “Alienstock” in a small Nevada town named Rachel. Some still tried to enter Area 51, but no one succeeded.
When discussing aliens, we can’t ignore a Swiss author named Erich von Däniken. In his book Chariots of the Gods, he claimed that aliens had once visited Earth, and ancient humans worshiped them as gods. Däniken believed that Peru’s Nazca Lines were alien runways and that aliens helped build Egypt’s pyramids because humans back then lacked tools to move such large stones.
Today, we can observe up to 46.5 billion light-years from Earth. Even if this isn’t the edge of the universe, that’s plenty of space to look for alien life. American astronomer Dr. Frank Drake even speculated that our Milky Way could have more than 10,000 alien civilizations.
In 1974, scientists used something called the Drake Equation to send a binary message to a planet named M13, 25,000 light-years away. Even traveling at light speed, it will take 25,000 years to reach M13 and another 25,000 years to get a reply—so 50,000 years in total. Stanford scientist Paul Ehrlich doubts our civilization will last that long. He suggests that Earth’s resources won’t be able to support our population of over 8 billion people forever.
This isn’t just a problem for Earth; it could affect alien civilizations too. This idea is called the “Great Filter” theory, which says that for civilizations to meet, one must be very advanced or long-lasting.
Physicist Adam Frank divided civilization growth into four stages. Right now, we’re in the fourth, called the “Collapse with Resource Change” model. This model shows that humans are changing the environment and may try to fix it, but it might be too late.
In 2022, NASA formed a team of 16 scientists to look into UFOs. They released a 36-page report with scientific explanations, saying they found no proof of alien life but didn’t rule it out either.
In this infinite universe, we’re just a tiny speck. Who knows, maybe a more advanced civilization is waiting to say “hello” someday. Until then, we’ll keep searching in this mysterious cosmos.
Take care, everyone!
Hi! I noticed you visited my site, so I’m returning the favor. I’m looking for ideas to improve my own site, and I appreciate the inspiration. Hope it’s okay if I take some cues from here.
“This post has helped me solve my issue, thanks a ton!”