সম্প্রতি সুন্দর পিচাই গুগলে থাকছেন নাকি থাকছেন না এ নিয়ে বেশ কিছু সংবাদ এখন আমাদের সামনে। শোনা যাচ্ছে, জোর করে সিইও পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে। সুন্দর পিচাই কী এমন ভুল করলো যার কারণে, গুগল তার বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। তাকে সরিয়ে দিলে, কে হবেন গুগলের নেক্সট সিইও? চলুন উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
মূল গল্পে যাবার আগে জেনে আসি দক্ষিণ ভারতীয় এই মেধাবীর গুগল পর্যন্ত যাবার গল্প। তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে জন্ম সুন্দর পিচাইয়ের। বাবা রঘুনাথ পিচাই ছিলেন তড়িৎ প্রকৌশলী। মা, ভাইসহ চার সদস্যের পরিবারটি আর্থিকভাবে খুব যে স্বচ্ছল ছিল, তা বলা যাবে না। দুই রুমের ছোট্ট এক ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। সুন্দর ছোটবেলা থেকেই তুখোড় মেধাবী। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর ভর্তি হন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রকৌশল বিদ্যাপীঠ আইআইটি, খড়গপুরে। ব্যাচেলরের পাঠ চুকিয়ে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি বৃত্তি পেলেন সুন্দর। পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ভর্তি হলেন স্ট্যানফোর্ডে। সেখান পিএইচডির পরিবর্তে ধাতব বিজ্ঞানের ওপর মাস্টার্স করলেন। পিএইচডি করতে গিয়ে হলেন ড্রপ আউট। এরপর শুরু হয় চাকুরী জীবন।
ক্যারিয়ারে বহু চরাই-উৎরাইয়ের পর ২০১৫ সালে গুগলের সিইও’র দায়িত্ব পান সুন্দর পিচাই। দায়িত্ব নেয়ার ৭ বছরের মধ্যে তিনি গুগলের আয় ৭৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩০৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন। স্টক মার্কেটে গুগলের শেয়ারের দাম ৩৭ থেকে বেড়ে হয় ১৪৯ ডলার।
গুগলকে কাড়ি কাড়ি মুনাফা করে দেয়ার পরও কেন সুন্দর পিচাইকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার গুঞ্জন উঠেছে?
এতোদিন যাদের পকেট ভারী হয়েছে, সেই ইনভেস্টররাই চান না সুন্দর পিচাই আর গুগলে থাকুক। কারণ অনুসন্ধানের আগে জানতে হবে, তাকে কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নিয়োগ দিয়েছিলো বিনিয়োগকারীরা?
সুন্দর পিচাই সিলিকন ভ্যালির একটি সেমিকন্ডাকটর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেন ম্যাকেনজি এন্ড কোম্পানিতে। ২০০৪ সালে গুগলে যাত্রা শুরু হয় সুন্দরের। প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছিলো তার কাঁধে। টুলবার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তার মাথায় আসে গুগল ক্রোমের আইডিয়া।
নতুন ব্রাউজার তৈরির আইডিয়া শেয়ার করেন গুগলের কো-ফাউন্ডার সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের সাথে। তাদের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে সুন্দরের হাত ধরে ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে গুগল ক্রোম। ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়াতে অল্প সময়েই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই ইন্টারনেট ব্রাউজার। ফায়ারফক্স ও ইন্টারন্টে এক্সপ্লোরারকে পেছনে ফেলে বিশ্বের এক নাম্বার ব্রাউজার হয়ে ওঠে গুগল ক্রোম।
মজার ব্যাপার হলো, এই সাফল্যের কারণে সুন্দর পিচাইকে গুগলের সিইও বানানো হয়নি।
সুন্দর পিচাইকে নিয়োগ দেয়ার সময় গুগলের সিইও ছিলেন এরিক স্মিথ। কো-ফাউন্ডার ব্রিন ও পেজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্য কোম্পানি থেকে এনে তাকে সিইও পদে বসায় শেয়ার হোল্ডাররা। এরিক সিইও হলেও, দুই কো-ফাউন্ডার তাকে মানতেনই না। নিজেদের মতো করে কাজ করতেন। এরমধ্যেই ২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল দুই কো-ফাউন্ডার মিলে চালু করেন জি-মেইলের মতো দুর্দান্ত এক সার্ভিস। পরবর্তীতে একে একে এন্ড্রয়েড, ইউটিউব এবং গুগল ম্যাপসের মতো সাকসেসফুল কয়েকটা প্রজেক্ট দাঁড় করিয়ে গুগলকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান কো-ফাউন্ডাররা। এই সাকসেস স্টোরির সাথে এরিককে কোনভাবেই রাখতে চাননি ব্রিন ও পেজ। কারণ সিইও এরিক বিশ্বাস করতেন, কোর বিজনেস থেকে সরে গিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে নতুন সার্ভিস চালু করা কোম্পানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিন্তু নিজেদের সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা এমন একটা ইকোসিস্টেম বানান, যার কারণে গুগল মিট, ডক, শিটসের মতো প্রোডাক্টগুলোও জনপ্রিয় হতে থাকে।
২০০৪ সালে সুন্দর পিচাইয়ের নিয়োগের আগে থেকে ব্রাউজারের আইডিয়া নিয়ে ভেবেছিলেন ব্রিন ও পেইজ। কিন্তু এরিকের বাঁধায় বেশিদূর আগায়নি। সেই সাথে এই প্রজেক্ট চালানোর মতো যোগ্য ব্যক্তিও সেসময় গুগলে ছিলো না। সুন্দর পিচাই যখন প্রজেক্টটি নিয়ে কাজ শুরু করেন, তখন কো-ফাউন্ডাররা আশার আলো দেখতে পান। তারা সুন্দরকে সাপোর্ট দিতে থাকেন এবং বিষয়টি এরিকের কাছ থেকে গোপন রাখার পরামর্শ দেন। এভাবেই সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে গুগল ক্রোম।
২০০৯ সালে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মার্কেট শেয়ার ছিলো ৫৫ শতাংশ, মজিলা ফায়ার ফক্সের ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আর ক্রোমের ছিলো মাত্র ৫ শতাংশ। কিন্তু এখন ক্রোমের মার্কেট শেয়ার ৬৩ শতাংশ।
কো-ফাউন্ডারদের এমন সফলতায় বিপাকে পড়ে যান সিইও এরিক। বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকেন। কারণ, তিনি যে প্রজেক্টগুলোর বিরোধিতা করেছেন, সেই প্রজেক্টগুলোই সফল হয়েছে। এই অবস্থায় সিইও-র পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এরিককে। সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ দায়িত্ব নেন গুগলের সিইও-র। স্বপ্নবাজ ল্যারি- সেলফ ড্রাইভিং কার, গুগল গ্লাসের মতো ভবিষ্যত প্রযুক্তির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে মূল বিজনেস থেকে পিছিয়েও যায় । ঠিক ওই সময় ভোকাল কর্ডে সমস্যার কারণে ল্যারির কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন প্রেজেন্টেশন তো দূরের কথা ইনভেস্টরদের সাথে মিটিংও করতে পারছিলেন না তিনি।
আরেক কো-ফাউন্ডার সের্গেই ব্রিনকে বসানো হয় সিইও পদে। গুগল গ্লাসের নারী মার্কেটিং ডিরেক্টরের সাথে বিবাহ বির্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় কোম্পানি। সব মিলিয়ে গুগলের সিইও পদে নতুন মুখ হয়ে পড়ে অনিবার্য। এন্ড্রয়েডের প্রতিষ্ঠাতা এন্ডি রুবিন এই পদের জন্য যোগ্য হলেও যৌন হয়রানির অভিযোগ থাকায় সেই অপশনও বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে দৌড়ে না থেকেও ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট সুন্দর পিচাই হুট করে নিয়োগ পান সিইও হিসেবে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোম্পানিকে ভালো অবস্থানে নেবার ফল হিসেবে গুগলের মাদার কোম্পানি অ্যালফাবেটেরও সিইও হন তিনি। তার মেয়াদে কোম্পানির মধ্যকার বিবাদ কমে, গুগলের আয় বাড়ে ৪ থেকে ৫ গুণ।
কম আয় বাড়েনি সুন্দর পিচায়েরও। গুঞ্জন আছে, সুন্দর পিচাইয়ের বাৎসরিক আয় তিন হাজার কোটি টাকার আশেপাশে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আছে প্রাসাদের মতো বিলাসবহুল একটি বাড়ি। ইনফিনিটি পুল, জিমনেসিয়াম, স্পা’সহ কী নেই সেই বাড়িতে। মজার ব্যাপার হলো, এই বাড়িটির পুরো ইন্টেরিয়র করেছে সুন্দর পিচাইয়ের স্ত্রী অঞ্জলী। এখন বাড়িটির দাম নাকি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আর্থিকভাবে দু’পক্ষ লাভবান হলেও সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্ব গুগলকে শুধু আয়ের দিক থেকে এগিয়ে দিলেও পিছিয়ে দিয়েছে ইনোভেশনের দিক থেকে। এসময় গুগল সত্যিকার অর্থে সাকসেসফুল কোন প্রোডাক্ট আনতে পারেনি। অনেকে হয়তো গুগল পিক্সেল ফোনের কথা বলবেন। এই ফোনের পারফরমেন্স ভালো হলেও, মার্কেটিং পলিসি ছিলো খুবই দুর্বল।
২০২২ এর ৩০ নভেম্বর ওপেন এআই চ্যাট জিপিটি লঞ্চ করার পর বড় একটা ধাক্কা খায় গুগল। এতেই বিপাকে পড়ে যান কোম্পানির সিইও। ইনভেস্টরদের চাপ এবং প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে মাত্র চার মাসের মধ্যে তড়িঘড়ি করে চ্যাটজিপিটির বিপরীতে লঞ্চ করেন গুগল বার্ড। এটা ছিলো গুগলের বড় একটি ভুল। কারণ, অনেকে প্রযুক্তিটিকে চ্যাটজিপিটির আলাদা ভার্সন ভাবা শুরু করে। সেটাও মানা যায়। কিন্তু বার্ড যখন ভুল উত্তর দিতে শুরু করে তখন গুগলের এই আবিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু থাকে। গুগল বার্ডের এই ব্যর্থতার কারণে গুগলের শেয়ার ভ্যালু এক ধাক্কায় ১০০ বিলিয়ন নেমে যায়। সুন্দর পিচাই উদ্যোগী হয়ে বার্ডকে আরও আপডেট করেন। যুক্ত করেন নতুন ফিচার। নতুন ভার্সনটির নাম দেন গুগল জেমিনি। দিনশেষে জেমিনিও বিতর্কের জালে আটকায়। যার কারণে গুগলের ব্র্যান্ডভ্যালু আরও কমতে থাকে।
কিভাবে সেই গল্পটা বলি, একজন ইউজার জেমিনিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের ইমেজ জেনারেট করতে বলে। জেমিনি এমন একটি ইমেজ জেনারেট করে, যার সাথে জর্জ ওয়াশিংটনের কোন মিলই ছিল না। এমনকি ওই ইমেজে শ্বেতাঙ্গ ওয়াশিংটনকে কৃষ্ণাঙ্গ বানিয়ে দেয়া হয়। গুগলের এই প্রযুক্তি পোপের ছবিকেও বিকৃত করে দেয়। শরীরের কালার টোন ঠিক রাখতে না পারার বিষয়টি মানা গেলেও পোপকে নারী বানিয়ে দিলে অবস্থাটা কী হবে, একবার ভেবে দেখুন।
সমালোচনা মুখে জেমিনির টেক্সট টু ইমেজ অপশনটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় গুগল। এই ব্যর্থতার দায় কোনভাবেই নিতে চায় না ইনভেস্টররা। ধারণা করা হচ্ছে এসব কারণেই সুন্দর পিচাই বিপাকে পড়েছে। তারমধ্যে কো-ফাউন্ডার সের্গেই ব্রিনও নারী কেলেঙ্কারিসহ সব ধরনের বিতর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে এনে আবারও গুগলের শীর্ষ পদের প্রত্যাশায় আছেন। যা সুন্দর পিচাইয়ের জন্য দুঃসংবাদই বটে। এমন পরিস্থিতিতে গুগলের সিইও পদে কাকে রাখবেন, আর কাকে বাদ দিবেন সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ইনভেস্টরদের হাতেই।
ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Will Sundar Pichai be staying as the CEO of Google?
Recently, several news about whether Sundar Pichai is staying at Google or not are now in front of us. It is heard that he will be forcibly removed from the post of CEO. . What mistake did Sundar Pichai make that could lead to such actions by Google? If he is indeed being removed, who will be the next CEO of Google? Let’s try to find the answers.
Greetings to all.
Before diving into the main story, let’s take a look at the journey of this South Indian genius and how he made his way to Google.Sundar Pichai was born in Chennai, the capital of Tamil Nadu. His father, Raghunath Pichai, was an electrical engineer. Though the family of four, including his mother and brother, wasn’t particularly wealthy, they managed in a small two-room flat. Sundar demonstrated remarkable talent from a young age. After completing his higher secondary education, he secured admission to one of India’s top engineering colleges, IIT Kharagpur.
Upon finishing his bachelor’s degree, Sundar received a PhD scholarship from Stanford University in the United States. He moved to the US and enrolled at Stanford, but he decided to pursue a Master’s in Metallurgy instead of completing a PhD. Thus, he dropped out of the PhD program. This marked the beginning of his professional career.After many ups and downs in his career, Sundar Pichai became the CEO of Google in 2015. Within 7 years of taking over, he took Google’s revenue from $74 billion to $305 billion. In the stock market, Google’s share price increased from 37 to 149 dollars.
Why are there rumors that Sundar Pichai might be removed from his position despite leading Google to profitability? It seems that the very investors who have benefited greatly under his leadership now want him out. Before delving deeper, let’s understand that Sundar was appointed with the investors’ goals in mind.
Sundar Pichai began his career as a product manager at a semiconductor manufacturing company in Silicon Valley. He then worked as a consultant at McKinsey & Company. Sundar joined Google in 2004, initially taking on the role of Vice President of Product Management. During his work on the Google Toolbar, he conceived the idea for Google Chrome. Share the idea of creating a new browser with Google co-founder Sergey Brin and Larry Page. After receiving their green signal, Google Chrome started its journey in 2008 with Sundar’s hand. This internet browser has become very popular in a short time due to its user-friendly nature. Google Chrome has become the number one browser in the world leaving behind Firefox and Internet Explorer.
Interestingly, this success did not make Sundar Pichai the CEO of Google.
Eric Smith was the CEO of Google when Sundar Pichai was hired. Shareholders brought co-founders Brin and Page from other companies to the position of CEO to keep them in check. Although Eric was the CEO, the two co-founders did not respect him. They used to work in their own way. Meanwhile, on April 1, 2004, two co-founders launched a great service like Gmail. Later, the co-founders took Google to another height by setting up several successful projects like Android, YouTube and Google Maps. Brin and Page did not want to keep Eric in any way with this success story. Because CEO Eric believed that it would be risky for the company to move away from the core business and launch new services in the competitive market. But the two co-founders created an ecosystem with their own search engine, due to which products like Google Meet, Docs, Sheets also became popular.
Brin and Page had been thinking about the browser idea since before Sundar Pichai was hired in 2004. But Eric’s ban didn’t go far. At the same time, Google did not have a qualified person to run this project. When Sundar Pichai started working on the project, the co-founders saw a glimmer of hope. They continue to support Sundar and advise her to keep the matter a secret from Eric. This is how Google Chrome started its journey under the leadership of Sundar Pichai.
In 2009, Internet Explorer’s market share was 55 percent, Mozilla Firefox’s 31.56 percent, and Chrome’s only 5 percent. But now Chrome’s market share is 63 percent.
The success of the co-founders left CEO Eric in trouble. Investors continue to be questioned. Because the projects he opposed were successful. In this situation, Eric was removed from the post of CEO. Co-founder Larry Page took over as CEO of Google. Larry the dreamer – takes a step back from the core business while focusing more on futuristic technologies like self-driving cars, Google Glass. It was then that Larry stopped speaking due to a vocal cord problem. He could not even hold a meeting with investors let alone a new presentation.
Another co-founder, Sergey Brin, was appointed CEO. The company was forced to remove Google Glass after having an extramarital affair with its female marketing director. All in all, it is inevitable that a new face will become the CEO of Google. Android founder Andy Rubin was eligible for the position, but that option was also closed due to allegations of sexual harassment.
As a result, Sundar Pichai was suddenly appointed as CEO on August 11, 2015, without running. He also became the CEO of Google’s mother company Alphabet as a result of working tirelessly to take the company to a good position. During his tenure, disputes between companies decreased, and Google’s revenue increased 4 to 5 times.
Sundar Pichai’s low income did not increase. Rumor has it, Sundar Pichai’s annual income is around 3000 crore rupees. There is also a luxurious house like a palace in California, USA. The house has infinity pool, gymnasium, spa and what not. Interestingly, Sundar Pichai’s wife Anjali has done the entire interior of this house. Now the price of the house has exceeded thousands of crores of rupees.
Although both parties have benefited financially, Sundar Pichai’s leadership has only advanced Google in terms of income, but has left it behind in terms of innovation. Meanwhile, Google could not bring any truly successful product. Many people may talk about the Google Pixel phone. Although the performance of this phone was good, the marketing policy was very weak.
After launching Open AI Chat GPT on November 30, 2022, Google got a big shock. The CEO of the company fell into trouble. In order to survive the pressure of investors and competition in the market, Google Bird hastily launched against ChatGPT in just four months. It was a big mistake of Google. Because, many started to think of the technology as a different version of ChatGPT. That is also acceptable. But when Bird started giving wrong answers, Google’s discovery began to be questioned. Due to this failure of Google Bird, the share value of Google dropped by 100 billion in one blow. Sundar Pichai took initiative and updated the bard further. Added new features. Google named the new version Gemini. At the end of the day, Gemini also gets caught up in controversy. Due to which the brand value of Google continues to decrease.
To tell that story, a user asks Gemini to generate an image of US President George Washington. Gemini generated an image that George Washington had no match for. Even the white Washington is made black in that image. Google’s technology also distorts the image of the Pope. If the issue of not being able to keep the color tone of the body is accepted, what would happen if the Pope was made a woman, think for a moment.
Google was forced to close Gemini’s text-to-image option in the face of criticism. Investors do not want to take responsibility for this failure. It is believed that Sundar Pichai is in trouble due to these reasons. Among them, the co-founder Sergey Brin is also hoping for the top position of Google after removing himself from all kinds of controversies including the women’s scandal. Which is bad news for Sundar Pichai. In such a situation, the decision of who will be kept as Google’s CEO, and who will be left out, depends on the investors.
Thanks everyone
Stay well, stay healthy.