২০২৪ এর ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলের আকাশটা ছিলো এমন। তিনশোরও বেশি বোম্বার ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় ইরান। হামলার দায় স্বীকারের পাশাপাশি ইরানের মানুষ দিনটিকে উদযাপন করেছে উৎসবের আদলে।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এতগুলো ড্রোন আর মিসাইল ছুঁড়েও ইসরায়েলের সামান্য ক্ষতি করতে পারেনি ইরান। নিহত হওয়া তো দূরের কথা, কোন ভবনেরও ক্ষতি হয়নি।
তাহলে এই হামলা কেন? ইরান কি বোকামি করলো?
আপনাদের হয়তো বিশ্বাস হবে না, একটা সময় ইরান ও ইসরায়েল ছিলো পরম বন্ধু । তখন ইরান-ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে তেল আর অস্ত্র কেনাবেচা করতো। কিন্তু কী এমন হলো, মধুর এই সম্পর্ক শত্রুতায় রূপ নিল? এই ঘটনা কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে, নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই, যা হয়তো আমরা টের পাচ্ছি না এখনো ।
ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের বহুরূপী রাজনীতি কোনো টিভি সিরিয়ালের গল্পের চেয়ে কম নয়। এখানে বন্ধু কখন শত্রু হচ্ছে, শত্রু কখন বন্ধু হয়ে যাচ্ছে, বোঝা কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ বাদ দিয়ে নেতাদের স্বার্থ রক্ষায় লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে যুদ্ধ।
২০২৪ সালের পহেলা এপ্রিলের ঘটনা। সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে থাকা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজা জাহিদিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় মারা যায় জাহিদি। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ডের শীর্ষ এই কমান্ডারের মৃত্যু ছিল ইরানের জন্য বিশাল এক ক্ষতি। কারণ তাকে ঘিরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন-অফিশিয়াল অপারেশন চালাতো ইরান। বলা হয়ে থাকে, জাহিদির মাস্টারপ্ল্যানেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। আর জাহিদিকে মেরে সেই হামলার প্রতিশোধ নিল ইসরায়েল।
এদিকে জাহিদির মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়ে ইরান। দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি সরাসরি প্রতিশোধের হুমকি দেন। শুরু হয় হামলার ছক কষা। অপারেশনের নাম দেয়া হয়- ট্রু প্রমিজ।
ইরান কবে হামলা চালাতে পারে, সেই তথ্য ছিলো ইসরায়েলের কাছে। তারা প্রস্তুত, হামলা প্রতিহত করতে। শুধু প্রস্তুতি থাকার কারণেই সাতটা মিসাইল বাদে বাকি ৩৩১ টি মিসাইল ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করতে সফল হয় ইসরায়েল।
ইরানের হামলা প্রতিহত করতে মাত্র দুই ধরনের ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেছে তারা। একটি আয়রন ডোম, অন্যটি এরো থ্রি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম।
আয়রন ডোম ৭০ কিলোমিটার বা তার থেকেও কম দূরত্বে থাকা মিসাইলকে ঠেকাতে পারে। আর এরো থ্রি ডিফেন্স সিস্টেম সর্বোচ্চ দুই হাজার রেডিয়াসের মধ্যে থাকা মিসাইল শণাক্ত করতে সক্ষম। দুইটা সিস্টেমই রাডারের সাহায্যে কাজ করে। রাডার মিসাইল শনাক্ত করে সেই তথ্য পাঠিয়ে দেয় কন্ট্রোল ইউনিটে। কন্ট্রোল ইউনিট মিসাইলের গতিবিধি দেখে প্ল্যান সেট করে। যদি দেখা যায়, কোন মিসাইল জনবসতিতে আঘাত করতে যাচ্ছে, তখনই ফায়ারিং ইউনিট থেকে আরেকটা ডিফেন্স মিসাইল দিয়ে আক্রমণকারী মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
এছাড়াও ইসরায়েলের কাছে ডেভিড’স স্লিং, প্যাট-রিয়ট এবং আয়রন বিমের মতো ডিফেন্স সিস্টেম। আয়রন বিম লেজারের মাধ্যমে মিসাইলকে আকাশেই ধ্বংসে করে দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখে। এতো গেল সামরিক শক্তির কথা, সেই সাথে প্রতিবেশি মুসলিম দেশ জর্ডানের সহযোগিতা তো আছেই। জন্মের দুশমন থাকা এই দেশটাও এখন স্বার্থের কারণে ইসরায়েলের সীমানার বড় একটি অংশ হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছে।
এতো সব ব্যাখ্যা শুনে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিফেন্স সিস্টেমের একটা। এই বিষয়টা ইরানও জানতো। তাই তারা আগে থেকেই ধরে নিয়েছিলো এই হামলা সফল হবে না। তাহলে এই হামলার দরকারটা কী ছিলো?
প্রথমত, ইরান ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা না করলেও অনেকগুলো প্রক্সি ওয়ারে যুক্ত ছিলো আগে থেকেই। এক্ষেত্রে ইরানের জায়গায় প্রক্সি দিয়েছে অন্যরা। যেমন- গাজায় হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনে হুথি, সিরিয়া আর ইরাকে শিয়া বিদ্রোহী কিছু গ্রুপ। তারাই ইসরায়েলকে ঠেকাতে ইরানের অর্ডার পালন করছে মাত্র। ইসরায়েলকে ঠেকানোর এই পুরো নেটওয়ার্কের নাম এক্সিস অব রেজিসট্যান্স।
দ্বিতীয়ত: ইরানের এই হামলার আরেকটা কারণ আমেরিকাকে সতর্ক করে রাশিয়ার গুডবুকে থাকা। ইরান এক্ষেত্রে সফল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তো বলেই ফেলেছেন, ইরান ইস্যুতে যদি বাইডেন ইসরায়েলকে সাপোর্ট করে, তাহলে চুপ থাকবে না রাশিয়া ।
অনেকে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, ১৯৭৯ এর আগ পর্যন্ত ইরান আর ইসরায়েল খুব ভালো বন্ধু ছিলো। এর কারণ দেশটির আগের প্রশাসকগণ প্রগতিশীল ইরান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছেন তারা। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল। এসব কারণে সেসময় ইরানের সাথে আমেরিকার ও ইসরায়েলের সুসম্পর্ক ছিলো। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামিক রেভ্যুলেশনের পর আয়াতুল্লাহ খোমেনি যখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হলেন, তখন সবকিছু পাল্টে যায়। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব নিয়ে সৌদি আরবের সাথে ইরানের প্রতিযোগিতাও শুরু হয়।
এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের এগিয়ে নিতেও কাজে দিয়েছে সাম্প্রতিক ইসরায়েলে হামলা। কারণ গত ছয় মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে মুসলিম দেশগুলোতে সমালোচনা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ব্যবস্থা নেয়ার সাহস করেনি কেউ। আর এই সুযোগটাই লুফে নিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে আক্রমণ করে মুসলিম বিশ্বের কাছে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছে তারা। এক্ষেত্রে মিসাইল ইসরায়েলের দিকে ছুঁড়লেও অদৃশ্য টার্গেট ছিল সৌদি আরব। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো, এই হামলা করে ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি নিজ দেশে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি, এন্টি-হিজাব মুভমেন্ট থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পেরেছেন।
এসব বিশ্লেষণের পর এখন আপনারাই বলুন, বিশ্ব রাজনীতির এত মারপ্যাচ, আমাদের কি বোকা বানিয়ে রাখছে?
ভিডিওর শুরুতেই বলেছিলাম, ইরানের হামলায় ক্ষতির চেয়ে মুনাফা বেশি হবে ইসরায়েলের। কারণ ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। বলা হচ্ছে এটাই বেস্ট। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় কিন্তু এই ডিফেন্স সিস্টেম ইসরায়েলকে রক্ষা করতে পারেনি। প্রায় ১২ শো মানুষ প্রাণ হারায়। এবারে ইরানের আক্রমণের ৯৯ ভাগ প্রতিহত করা গেছে এই সিস্টেমের কারণে। মিত্র অনেক দেশ এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেতে ইসরায়েলের সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছে।
হামাস ও ইরানের হামলায় ব্যক্তিগত ফায়দা হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। হামলা প্রতিহত করার সাফল্য দেখিয়ে তিনি তার অতীতের সব ব্যর্থতা আর সমালোচনা থেকে রেহাই পেয়ে গেলেন। যারা তার পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলো, তারাও নেতানিয়াহুর নেতৃত্বকে বাহবা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইসরায়েল ও আমেরিকা এই হামলাকে অন্যভাবে ক্যাশ করবে। সেটা হতে পারে, হামলার অজুহাত তুলে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ থামিয়ে দেয়া। যদিও, এই চান্সটা খুবই কম। এই চার্টটা দেখলে বুঝবেন।
২০২৪ এর জানুয়ারিতে প্রকাশিত চার্ট থেকে বোঝা যায়, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি চলে গেছে। ইরান যদি চায় ৫ সপ্তাহে তিনটা পারমাণবিক মিসাইল বানাতে পারবে। এই চার্ট আরও চার মাস আগের। তাই এখন অনুমান করাই যায়, ইরানের কাছে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
এই অবস্থায় ইসরায়েল কোন উপায়ে শোধ তুলবে তার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যত। কারণ ১৯৩৯ সালে জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। পরে এই যুদ্ধে অক্ষশক্তি হিসেবে জার্মানির সাথে যুক্ত হয় জাপান আর ইতালি। তাদের বিপরীতে মিত্র শক্তি হিসেবে লড়েছিল- ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন। অপরদিকে স্রেফ একটি হত্যাকাণ্ড ঘিরে সার্বিয়ার সাথে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
মজার ব্যাপার হলো, প্রথম দুটি বিশ্বযুদ্ধই কিন্তু শুরু হয়েছিলো ইউরোপে। সেটি যদি আমরা মাথায় রাখি তাহলে ইউরোপে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর মধ্যদিয়ে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা করোনা কালকেও হার মানিয়েছে।
আবার আরেকটা পক্ষ বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গত আট দশকে বিশ্বের মোট উৎপাদিত অস্ত্রের মজুদ না ফুরালে সেখানে নতুন অস্ত্র তৈরি হবে কিভাবে? তাই আরেকটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী।
এখন ইরান-ইসরায়েল নিয়েও স্পষ্ট দুটি মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দুটি পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাই দেশ দুটি শ্যাডো ওয়ার থেকে বেরিয়ে মুখোমুখি যুদ্ধের দামামা বাজাতে শুরু করেছে। তবে কি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মহড়া শুরু হয়ে গেল? কমেন্টে মতামত জানাতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Has World War III started?
The sky of Israel was like this on the night of April 13, 2024. Iran launched an ambush with more than three hundred bomber drones and missiles. In addition to claiming responsibility for the attack, the people of Iran celebrated the day like a festive mode.
But the interesting thing is, even after throwing so many drones and missiles, Iran could not do a little damage to Israel. No casualties were reported, and no buildings were damaged.
So why is this attack? Did Iran make a stupid move?
You may not believe, once Iran and Israel was a very good ally. At that time, Iran-Israel used to trade oil and arms between themselves. But what happened, this good relationship turned into enmity? Does this recent attack indicate the beginning of the third world war, or the third world war has already started, which we don’t realize yet.
The multifaceted politics of the Middle East centering on Israel is no less than a TV serial. It is difficult to understand when a friend becomes an enemy, when an enemy becomes a friend. In many cases, war is being used to protect the interests of the leaders, leaving aside the national interest.
On April 1, 2024, Israel attacked Brigadier General Reza Zahidi in the Iranian consulate in Damascus, Syria. Zahidi died in this attack. The death of this top commander of Iran’s Islamic Revolutionary Guard Corps was a huge loss for Iran. Iran used to conduct unofficial operations in various countries worldwide under his direction. It is said that Hamas attacked Israel on October 7, 2023 in Zahidi’s master plan. And Israel avenged that attack by killing Zahidi.
Meanwhile, Iran became agitated after losing an important person like Zahidi. The country’s supreme leader, Ayatollah Khamenei, threatened of direct retaliation. The attack began. The operation is called ‘True Promise’.
Israel had information about Iran’s probable attack time. They are ready to resist the attack. Israel succeeded in destroying the remaining 331 missiles and drones in the air, except for seven missiles, only because of their preparation.
They have used only two types of defense systems to resist Iran’s attacks. One is the Iron Dome, the other is the Arrow Three Missile Defense System.
Iron Dome can intercept missiles at a range of 70 km or less. And the Arrow 3 defense system is capable of detecting missiles within a maximum radius of 2,000. Both systems work with the help of radar. The radar detects the missiles and sends that information to the control unit. The control unit sets the plan by watching the movement of the missile. If it is seen that any missile is going to hit the residence area, immediately the attacking missile is destroyed by another defense missile from the firing unit.
Israel also has defense systems such as David’s Sling, Pat-Riot and Iron Beam. The iron beam has the ability to destroy missiles in mid-air through lasers. So much for military power, along with the cooperation of neighboring Muslim country Jordan. This country, a born enemy, has now taken responsibility for the custody of a large part of Israel’s borders due to its interests.
After hearing all these explanations, you must have understood that Israel’s air defense system is one of the most powerful defense systems in the world. Iran also knew this. So they already assumed, this attack would not succeed. So what was the need for this attack?
Firstly, although Iran did not attack Israel directly, it was already involved in many proxy wars. In this case, others gave proxy for Iran. For example, Hamas in Gaza, Hezbollah in Lebanon, Houthis in Yemen, some Shia rebel groups in Syria and Iraq. They are just following Iran’s orders to stop Israel. This entire network to stop Israel is called the Axis of Resistance.
Secondly, another reason for this attack by Iran is to be in Russia’s good book to warn America. Iran is successful in a sense. Russian President Vladimir Putin has already said that if Biden supports Israel on the Iran issue, then Russia will not remain silent.
Many may not believe, until 1979, Iran and Israel were very good allys. This is because of the country’s previous administrators have worked to create a progressive nation of Iran. Women were guaranteed freedom of dress and right to education. Because of these reasons, America and Israel had good relations with Iran at that time. But after the Islamic Revolution of 1979, when Ayatollah Khomeini became Iran’s supreme leader, everything has changed. Iran’s competition with Saudi Arabia for leadership of the Muslim world also began.
Recent attacks on Israel have also served to advance themselves in this competition. In the last six months, Israel’s activities in the Gaza Strip have been criticized in Muslim countries, but no one has dared to take action. And Iran has seized this opportunity. They have shown their strong position to the Muslim world by attacking Israel. In this case, although the missile was fired at Israel, the invisible target was Saudi Arabia. Like killing two birds with one stone, Iran’s leader Ayatollah Khamenei managed to divert public attention from the ongoing economic instability, inflation, anti-hijab movement in his country.
After this analysis, now you tell me, so many world politics are making us just fools?
I said at the beginning of the video that Israel will gain more than the loss from Iran’s attack. Because of Israel’s air defense system which is already recognised as the best. This defense system could not protect Israel in the attack of Hamas on October 7, 2023. About 12 people lost their lives. But this time, 99% of Iran’s attacks have been prevented due to this system. Many allied countries have already started contact with Israel to buy this defense system.
Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu has also personally benefited from attacks by Hamas and Iran. By showing success in resisting attacks, he escaped all his past failures and criticisms in the country. Those who come to the streets with the demand of his resignation are also applauding Netanyahu’s leadership now.
Experts fear that Israel and the US will cash it on this attack in other ways. That could be to stop Iran’s nuclear program as a pretext for an attack. However, this chance is very low. See this chart to understand.
The chart published in January 2024 suggests that Iran is very close to developing their nuclear weapons. Iran has ability to build three nuclear missiles in 5 weeks if they wants. This chart is four months old. So now it can be assumed that Iran must have nuclear weapons.
In this situation, the future depends on how Israel will pay back. Because the Second World War started in 1939 with Germany’s invasion of Poland. Later, Japan and Italy joined Germany as Axis powers in this war. Fought against them were the Allied Powers – France, Great Britain, the United States, the Soviet Union and China. On the other hand, World War I started with Austria-Hungary getting involved in the war with Serbia over a murder.
Interestingly, the first two world wars started in Europe. If we keep that in mind, the economic recession of the whole world during the start of the Russia-Ukraine war in Europe has defeated the corona crisis.
Another side says that if the stockpile of weapons produced in the world in the last eight decades since the Second World War is not exhausted, how will new weapons be made? So another war is inevitable.
Now there is a clear polarization between Iran and Israel. The powerful countries of the world have taken sides. So the two countries came out of the shadow war and started playing the drums of a real war. So the third world war has begun already? Don’t forget to give your feedback in the comment section.
Thanks everyone.
Stay healthy, stay well.